ঢাকা ১২:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেত্রকোনায় ঝুলন্ত স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে শয়নক্ষের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২০ জুলাই) সকালে উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের কুড়ালিয়া এলাকা থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন— সোহাগ মিয়া (২৩) ও ঝুমা আক্তার (১৯)।

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সোহাগ মিয়া উপজেলার চকলেঙ্গরা গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের ছেলে। আর ঝুমা আক্তার কুড়ালিয়া গ্রামের রহিম উদ্দিনের মেয়ে। প্রায় তিন বছর আগে সোহাগ ও ঝুমার বিয়ে হয়। তাদের দুই বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। গতকাল শনিবার রাত একটা থেকে দুইটার মধ্যে কোনো এক সময় ওই দম্পতির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

এলাকাবাসী, থানা-পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সোহাগ মিয়া বিয়ের পর থেকে তার শ্বশুর বাড়ি কুড়ালিয়াতে স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছিলেন। সেখানে থেকে তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। অভাব অনটনের কারণে সম্প্রতি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে সোহাগের শ্বশুর আবদুল কুদ্দুস উভয়কে শান্ত করেন। এরপর তিনি সোহাগ ও ঝুমাকে নিয়ে পাশের কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। ওই দিন রাত ২টার দিকে শিশুটি ঘুম থেকে কেঁদে উঠে মায়ের কাছে যেতে চাইলে কুদ্দুস সেখানে গিয়ে দেখেন ঝুমা ও সোহাগের লাশ আড়ার সঙ্গে পৃথকভাবে ঝুলে আছে। পরে প্রতিবেশীদের তিনি বিষয়টি জানান। স্থানীয়রা থানা পুলিশকে খবর দিলে আজ সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ দুটির উদ্ধার করে।

স্থানীয় লোকজনের ধারণা, অভাব অনটনের জেরে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। দাম্পত্য কলহের জেরে সোহাগ ঝুমাকে শ্বাসরোধ হত্যা করে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে পরে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে মনে হল দাম্পত্য কলহের জেরে এ ঘটনা হতে পারে।

বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। লাশ দুটির সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। তবে হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে চূড়ান্তভাবে বলা যাবে।

ট্যাগস

নেত্রকোনায় ঝুলন্ত স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার

আপডেট সময় ১২:৫০:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে শয়নক্ষের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২০ জুলাই) সকালে উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের কুড়ালিয়া এলাকা থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন— সোহাগ মিয়া (২৩) ও ঝুমা আক্তার (১৯)।

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সোহাগ মিয়া উপজেলার চকলেঙ্গরা গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের ছেলে। আর ঝুমা আক্তার কুড়ালিয়া গ্রামের রহিম উদ্দিনের মেয়ে। প্রায় তিন বছর আগে সোহাগ ও ঝুমার বিয়ে হয়। তাদের দুই বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। গতকাল শনিবার রাত একটা থেকে দুইটার মধ্যে কোনো এক সময় ওই দম্পতির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

এলাকাবাসী, থানা-পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সোহাগ মিয়া বিয়ের পর থেকে তার শ্বশুর বাড়ি কুড়ালিয়াতে স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছিলেন। সেখানে থেকে তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। অভাব অনটনের কারণে সম্প্রতি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে সোহাগের শ্বশুর আবদুল কুদ্দুস উভয়কে শান্ত করেন। এরপর তিনি সোহাগ ও ঝুমাকে নিয়ে পাশের কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। ওই দিন রাত ২টার দিকে শিশুটি ঘুম থেকে কেঁদে উঠে মায়ের কাছে যেতে চাইলে কুদ্দুস সেখানে গিয়ে দেখেন ঝুমা ও সোহাগের লাশ আড়ার সঙ্গে পৃথকভাবে ঝুলে আছে। পরে প্রতিবেশীদের তিনি বিষয়টি জানান। স্থানীয়রা থানা পুলিশকে খবর দিলে আজ সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ দুটির উদ্ধার করে।

স্থানীয় লোকজনের ধারণা, অভাব অনটনের জেরে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। দাম্পত্য কলহের জেরে সোহাগ ঝুমাকে শ্বাসরোধ হত্যা করে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে পরে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে মনে হল দাম্পত্য কলহের জেরে এ ঘটনা হতে পারে।

বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। লাশ দুটির সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। তবে হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে চূড়ান্তভাবে বলা যাবে।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471