ঢাকা ১২:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :

প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, আসামি মৃত্যুদণ্ড

নেত্রকোনায় এক স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে মো. কাওছার মিয়া নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, বারহাট্টা উপজেলার প্রেমনগর ছালিপুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী মুক্তি রানী বর্মন (১৬) দীর্ঘদিন ধরে কাওছার মিয়ার (১৮) প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আসছিল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০২৩ সালের ২ মে বিদ্যালয় ছুটির পর কংস নদীর পাড়ে ওঁৎ পেতে থাকা কাওছার ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায় মুক্তিকে।

স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় মুক্তিকে প্রথমে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মুক্তির বাবা নিখিল চন্দ্র বর্মন বাদী হয়ে বারহাট্টা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

রায়ে বিচারক বলেন, “আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদনসাপেক্ষে তার ফাঁসি কার্যকর করা হবে।”
রায় ঘোষণার পর আসামিকে সাজা পরোয়ানার মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

বিচারক আরও জানান, আসামি চাইলে সাত দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন।

এদিকে, মুক্তি রানী বর্মনের পরিবার আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে এবং ন্যায়বিচার পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

ট্যাগস

প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, আসামি মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় ০৬:০৫:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

নেত্রকোনায় এক স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে মো. কাওছার মিয়া নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, বারহাট্টা উপজেলার প্রেমনগর ছালিপুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী মুক্তি রানী বর্মন (১৬) দীর্ঘদিন ধরে কাওছার মিয়ার (১৮) প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আসছিল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০২৩ সালের ২ মে বিদ্যালয় ছুটির পর কংস নদীর পাড়ে ওঁৎ পেতে থাকা কাওছার ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায় মুক্তিকে।

স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় মুক্তিকে প্রথমে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মুক্তির বাবা নিখিল চন্দ্র বর্মন বাদী হয়ে বারহাট্টা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

রায়ে বিচারক বলেন, “আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদনসাপেক্ষে তার ফাঁসি কার্যকর করা হবে।”
রায় ঘোষণার পর আসামিকে সাজা পরোয়ানার মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

বিচারক আরও জানান, আসামি চাইলে সাত দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন।

এদিকে, মুক্তি রানী বর্মনের পরিবার আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে এবং ন্যায়বিচার পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে।