ঢাকা ১০:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :

সংবিধান কারও বাপের না: সারজিস আলম

সংবিধান কারও বাপের না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

বাহাত্তরের সংবিধানকে ‘কবর দেওয়ার’ কথা গ্রহণযোগ্য নয়- ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্যদের সন্তানদের এমন বিবৃতির একটি স্ক্রিনশটও যুক্ত করেন সারজিস আলম।সারজিস আলম লিখেছেন, ‘সংবিধান কারো বাপের না। বংশগত আর রক্তের বড়াই দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের যে অসম সুবিধা দেওয়া হতো, আজকাল সংবিধান কমিটির সদস্যদের সন্তানদের সেরকম অসমভাবে মুজিববাদী সংবিধানের পক্ষে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই অন্যতম সমন্বয়ক আরও লিখেছেন, ‘আর, যে কমিটি এই ৭২ এর সংবিধান করেছে, সে কমিটি পাকিস্তানের সংবিধান বানানোর ম্যান্ডেট নিয়ে তারা ভোট পেয়েছিলেন।

না মানে মনে করাই দিলাম।’তারা বলেন, আমরা এ–ও মনে করি, ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানে এ পর্যন্ত অনেক সংশোধনী আনা হয়েছে, যার সব কটি দেশ ও জনগণের স্বার্থে করা হয়নি। সংবিধানকে অধিকতর গণতান্ত্রিক করা এবং দেশের গণতন্ত্র সুসংহত করতে জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে এই সংবিধানে সংশোধন ও পরিমার্জন, পরিবর্তন করতে পারেন। কিন্তু সংবিধান ‘পুনর্লিখন’ বা ‘ছুড়ে ফেলে দেওয়া’ কিংবা ‘কবর দেওয়া’র মতো কথা বলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

ট্যাগস

বনি আমার প্রেমিক ছিল না,ওর সঙ্গে আর সিনেমা করব না: ঋত্বিকা সেন

সংবিধান কারও বাপের না: সারজিস আলম

আপডেট সময় ০১:৫৫:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫

সংবিধান কারও বাপের না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

বাহাত্তরের সংবিধানকে ‘কবর দেওয়ার’ কথা গ্রহণযোগ্য নয়- ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্যদের সন্তানদের এমন বিবৃতির একটি স্ক্রিনশটও যুক্ত করেন সারজিস আলম।সারজিস আলম লিখেছেন, ‘সংবিধান কারো বাপের না। বংশগত আর রক্তের বড়াই দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের যে অসম সুবিধা দেওয়া হতো, আজকাল সংবিধান কমিটির সদস্যদের সন্তানদের সেরকম অসমভাবে মুজিববাদী সংবিধানের পক্ষে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই অন্যতম সমন্বয়ক আরও লিখেছেন, ‘আর, যে কমিটি এই ৭২ এর সংবিধান করেছে, সে কমিটি পাকিস্তানের সংবিধান বানানোর ম্যান্ডেট নিয়ে তারা ভোট পেয়েছিলেন।

না মানে মনে করাই দিলাম।’তারা বলেন, আমরা এ–ও মনে করি, ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানে এ পর্যন্ত অনেক সংশোধনী আনা হয়েছে, যার সব কটি দেশ ও জনগণের স্বার্থে করা হয়নি। সংবিধানকে অধিকতর গণতান্ত্রিক করা এবং দেশের গণতন্ত্র সুসংহত করতে জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে এই সংবিধানে সংশোধন ও পরিমার্জন, পরিবর্তন করতে পারেন। কিন্তু সংবিধান ‘পুনর্লিখন’ বা ‘ছুড়ে ফেলে দেওয়া’ কিংবা ‘কবর দেওয়া’র মতো কথা বলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।