পত্নীতলা উপজেলায় এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।উপজেলার মাঠে মাঠে শুরু হয়েছে ধান কাটা’র ধুম। আর বাড়ীতে বাড়ীতে কৃষানীদের ব্যস্ততা।গৃহিনীরা সেই ধান ঝেড়ে বেছে গোলায় ভরতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আর ধান বিক্রি করে পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজনীয় নতুন কাপড় সাংসারিক বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রী কেনার রঙিন স্বপ্ন বুনছেন।
নতুন ধান উঠায় চলছে নবান্ন উৎসব, শীতের পিঠাপুলি খাওযার ধুম পড়েছে, গ্রামীণ মেলা, ছেলে মেয়েদের বিয়ের অনুষ্ঠান,দোকানে দোকানে হালখাতা পরিশোধ, গ্রামীণ জীবনে নেমে এসেছে যেন উৎসবের আমেজ ।উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে,চলতি বছর উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ১১ টি ইউনিয়নে ২৩ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে কৃষকরা কৃষি বিভাগের পরামর্শ মোতাবেক স্বর্না ৫, ব্রি-ধান-৪৯, ব্রি-ধান-৭৫, ব্রি-ধান-৮৭, ব্রি-ধান-৯০, ব্রি-ধান-৯৯, ব্রি-ধান-৯৫, ব্রি-ধান-১০৩ এবং স্থানীয় জাতের মধ্যে বিন্নাফুল, বিনা ধান-১৭ এবং চিনি আতপ জাতের ধান চাষ করেছেন।
এবার লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশী হয়েছে আবাদ।এসব ধানের স্বাভাবিক ফলন হচ্ছে ২০ থেকে ২১ মণ হারে। উল্লিখিত পরিমাণ জমি থেকে চলতি মওসুমে ১ লাখ ২২ হাজার ৩৯৬ মেট্রিক টন ধান উৎপাদিত হবে। চালের আকারে যার পরিমাণ ৮১ হাজার ৯৫৬ মেট্রিকটন।মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) উপজেলার নাদৌড়, কাঞ্চন, পদ্মপুকুর, পুইয়া সহ কয়েকটি মাঠে ঘুরে দেখা যায়,কৃষক শ্রমিকরা ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষক নাজমুল হোসেন জানান,এবার ধানের ভালো ফলন হয়েছে।
বাজারে ধানের দামও ভালো আছে।একাধিক কৃষক বলেন এবার আবহাওয়া ভাল ছিল সার কিটনাশক সঠিকবাবে পাওয়ায় এবং উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ নিয়মিতভাবে তদারকি ও পরামর্শে ধান চাষাবাদ করে ফলন ভাল হয়েছে। তারা বলেন প্রতি বিঘা জমি চাষাবাদে ১০/১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তাই ধানের দাম প্রতিমণ ১৫/ ১৬শ থাকলে লাভ । এদিকে বাজারে ১২৮০ থেকে ১৩শ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে নতুন ধান।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন বলেন এ বছর ভাল আবহাওয়া ও পর্যাপ্ত বৃষ্টপাত হওয়ায় রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমন কম হয়েছে তাই ফলন অত্যান্ত ভাল হয়েছে।