ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে সাপাহারে জামায়াতে ইসলামি নেতার হত্যাকারীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে চাঁপাই নবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ এলাকা থেকে জড়িতদের নিজ বাড়ী হতে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত চাঁপাই নবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ বালিয়া দিঘী গ্রামের ভুল্লু ওরফে ভুলুর ছেলে রেজাউল ইসলাম রেজা (৪৮) ও তার স্ত্রী সায়মা খাতুন (৪৪)।
সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পলাশ দেব জানান গত ৩০আগষ্ট রাত ১০ টার দিকে সাপাহার উপজেলার আশড়ন্দবাজার হতে উপজেলা জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশ সাপাহার উপজেলা শাখার সেক্রেটারী আব্দুল্লাহিল কাফি ও তার সহযোগী মোটরসাইকেল যোগে সাপাহার সদরে আসছিলেন। পথে একদল ছিনতাইকারী দূবৃত্ত তাদের পথ রোধ করে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং জামায়াত নেতার মাথায় আঘাত করে। রাতেই তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎনাধীনাবস্থায় ৩১আগষ্ট সেখানে তার মৃত্যু হয়। পরে দলের পক্ষ থেকে সাপাহার থানায় একটি ছিনতাই ও খুনের মামলা দায়ের করা হয়।
নিহত জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহিল কাফির ছিনতাই হওয়া ওই মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পুলিশের সাপাহার সার্কেল এম এম সবুজ রানা ও অফিসার ইনচার্জ পলাশ দেব সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বালিয়া দিঘী গ্রামের বাড়ী হতে হত্যা মামলার ডাকাত রেজাউলকে এবং নিহত জামায়াত নেতার ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন ডাকাতের স্ত্রীর সায়মার নিকট হতে উদ্ধার করে। ডাকাত রেজাউল ও তার স্ত্রী সায়মা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে। কুখ্যাত ডাকাত রেজাউল এর বিরুদ্ধে ৪ টি ডাকাতি মামলা সহ মোট ৬ টি মামলা চলমান রয়েছে।
বুধবার গ্রেফ্তারাৃক ডাকাত দম্পতিকে পুলিশ নওগাঁ কোর্টে প্রেরণের পর রিমান্ড চেয়ে আবেদন করবেন বলে অফিসার ইচার্জ পলাশ দেব জানিয়েছেন।