দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা শুরুর প্রথম দিনেই বরিশাল-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী জাহিদ ফারুক ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে নগরীর পলাশপুর গুচ্ছগ্রাম মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নৌকার সমর্থক হালিম খলিফা বলেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধনের জন্য আমি লোকজনকে দাওয়াত দিচ্ছিলাম।
এ সময়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থী সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী আমিন হাওলাদার আমাকে বলেন- তোর বাবা (সাদিক) নির্বাচন করতেছে তুই জানিস না? এ নিয়ে আমাদের দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আমিন কয়েকজন নিয়ে এসে আমাকে মারধর করেন। আমি এ ঘটনায় কাউনিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ ঘটনার সূত্র ধরে জাহিদ ফারুক অনুসারী নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে ৭ নম্বর গুচ্ছগ্রামের সাদিক অনুসারী আমিন হাওলাদারের বাসার সামনে জড়ো হয়ে তাকে খুঁজতে থাকেন। রাত ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে আমিনকে মারধর করা হয়।
আমিন হাওলাদার বলেন, বিনা কারণে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে হালিম খলিফা। তিনি নৌকার প্রচারণার নাম করে এলাকায় অপপ্রচার চালাচ্ছিলেন। আমার ভাই আসিবকে বেদম পিটিয়েছে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতে গেলে তাকে বহনকারী অটোরিকশাটি ভাঙচুর করে এবং রাব্বির মোটরসাইকেলটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় মন্ত্রীপন্থি লোকজন।
এ ব্যাপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) ফজলুল করিম জানান, ঘটনার পর পলাশপুর এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দুপক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।