মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নির্মিত এশিয়ার মর্যাদাপূর্ণ বুসান চলচ্চিত্র উৎসবের ২৮তম আসরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ বা ‘অটোবায়োগ্রাফি’ ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার।
৮ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫ টা ৩০ মিনিটে বুসান সিনেমা সেন্টারের সিনেমাথেকে ‘অটোবায়োগ্রাফি’র প্রথম শো প্রদর্শিত হয়। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আগত সিনেমানির্মাতা, প্রযোজক, অভিনয়শিল্পী, কলাকুশলীসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন প্রদর্শনীতে। ৯ ও ১১ অক্টোবর লোটেতে প্রদর্শিত হবে ‘অটোবায়োগ্রাফি’র দ্বিতীয় ও তৃতীয় শো। সিনেমা দেখা শেষে পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা ও প্রযোজক রেদওয়ান রনি দর্শক ও উপস্থাপকের নানান প্রশ্নের উত্তর দেন।
হলভর্তি দর্শক, সঙ্গে ইলহাম ও নুসরাত ইমরোজ তিশাকে নিয়ে ‘অটোবায়োগ্রাফি’দেখার অনুভূতি মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর জন্য একদম ভিন্ন ছিল। তিনি বলেন, ‘দারুণ একটি আয়োজন ছিল। শোয়ে দর্শকের প্রতিক্রিয়াও ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রশ্নোত্তর পর্ব, সবার নানা মন্তব্য, প্রশংসা আমাদের অনেক উৎসাহিত করেছে।’
চরকির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘দিনটি বাংলা সিনেমার জন্য যেমন গৌরবের, তেমন চরকির জন্য অত্যন্ত আনন্দের। অটোবায়োগ্রাফি দেখার আগে–পরে দর্শকদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। সবাই প্রশংসা করছে। বাংলা ভাষার কনটেন্ট বিশ্বব্যাপী মানুষের কাছে সমাদৃত হবে, এ লক্ষ্য নিয়েই চরকি প্রথম থেকে কাজ করছে। নিজস্ব ও লোকাল গল্প দিয়ে কনটেন্ট নির্মাণ করে পৃথিবীর সব দর্শকের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে, তবেই আমাদের স্বার্থকতা।’
‘অটোবায়োগ্রাফি’ বুসান চলচ্চিত্র উৎসবের ‘কিম জিসোক’ প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত হয়েছে। এ বিভাগে ‘অটোবায়োগ্রাফি’ এশিয়ার প্রতিষ্ঠিত চলচ্চিত্রনির্মাতাদের নির্মিত এ বছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্রগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। যার মধ্যে ফিলিপিনো মাস্টার ফিল্মমেকার ব্রিলান্টে মেন্ডোজা, শ্রীলঙ্কার পাওয়ার হাউস প্রসন্ন ভিটানেজ, ইন্দোনেশিয়ার ইয়োসেপ অ্যাঙ্গি নোয়েনসহ আরও অনেকে। ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ চলচ্চিত্র উৎসব চলবে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত।
চরকিতে ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রজেক্টে জনপ্রিয় ১২ জন নির্মাতা ভালোবাসার গল্প নিয়ে ১২টি চরকি অরিজিনাল ফিল্ম বানাচ্ছেন। এ পুরো প্রকল্পের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি নিজেই নির্মাণ করছেন ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ বা ‘অটোবায়োগ্রাফি’ ও ‘লাস্ট ডিফেন্ডার অব মনোগামী’ বা ‘মনোগামী’ নামের দুটি সিনেমা।
পরিচালক ফারুকী প্রথমবারের মতো অভিনয় করেছেন সিনেমায়। ট্রেইলার দেখে মনে হয়েছে অভিনয় দিয়েও জয় করবেন দর্শকের হৃদয়। ‘অটোবায়োগ্রাফি’ সিনেমায় ফারুকী-তিশা একসঙ্গে অভিনয় করার পাশাপাশি চিত্রনাট্যে লেখার কাজটিও করেছেন দুজন মিলে।