বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলো খেলার মাঠে তাদের দর্শক-ভক্তদের কাছ থেকে পাচ্ছে উষ্ণ সমর্থন; কিন্তু সে সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পাকিস্তান। ভিসা জটিলতার কারণে বিশ্বকাপ খেলা দেখতে ভারত আসতে পারেননি পাকিস্তানের দর্শক এবং সাংবাদিকরা। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই বাবর আজমরা মাঠে নিজেদের সমর্থকদের দেখতে পায়নি।
নিজ দেশের দর্শকদের মাঠে না দেখে যেন আত্মবিশ্বাসহীনতায় ভুগছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। এতে হতাশা প্রকাশ করেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড পিসিবিও।তবে আইসিসি বলছে, ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিসিসিআই) বিশ্বকাপে আসার অপেক্ষায় থাকা পাকিস্তানের সাংবাদিক ও দর্শকদের ভিসা প্রদানের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে।
এবারের আসরে প্রায় ৬০ জন পাকিস্তানি সাংবাদিক বিশ্বকাপের সংবাদ সংগ্রহ করতে আসার কথা। যদিও গতকাল শুক্রবার হায়দরাবাদে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তাদের উদ্বোধনী ম্যাচে প্রচুর স্থানীয় সমর্থক ছিল। তবে সেখানে মিডিয়া কভারেজের জন্য কোনো পাকিস্তানি সাংবাদিকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় নি। ছিল না কোনো পাকিস্তানি সর্মথকও।
তবে পাকিস্তানী সমর্থকদের ‘পোস্টার বয়’ হিসেবে খ্যাত বশির চাচাকে মাঠে দেখা গেছে। করাচিতে জন্মগ্রহণকারী এই ভক্ত বর্তমানে পাকিস্তানের পাশাপাশি মার্কিন নাগরিকও। তিনি সেই আমেরিকার ভিসা নিয়েই ভারতে এসেছেন পাকিস্তানকে সমর্থন জানাতে।আইসিসির একজন মুখপাত্র প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) বলেছেন, ‘ভিসা প্রদান করা বিশ্বকাপের আয়োজক (বিসিসিআই) এর একটি আবশ্যিক কাজ। তবে ভিসা প্রদানের জন্য তারা কঠোর পরিশ্রম করছে। এটি সম্পন্ন করার তারা সব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে।’তবে ১৪ অক্টোবর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগেই ভিসা পাওয়ার প্রত্যাশা করছে পিসিবি।
পিসিবির মুখ্পাত্র বলেছেন, ‘আমরা গত তিন বছর ধরেই ভক্ত এবং সাংবাদিকদের ভিসা প্রদানের বিষয়ে আইসিসিকে জানিয়েছি। এ সমস্ত জটিলতার বিষয়গুলো নিয়ে কর্তৃপক্ষের সাথেও উদ্বেগ প্রকাশ করে যাচ্ছি।’‘বর্তমান পরিস্থিতি দেখে আসলেই হতাশ পকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। কেননা পাকিস্তানি সাংবাদিক এবং ভক্তরা বিশ্বকাপে পাকিস্তানের উদ্বোধনী খেলার জন্য ভারতের ভিসা পায়নি। খেলার মাঠে ভক্ত ও সাংবাদিকদের উপস্থিতির গুরুত্ব আমরা বুঝতে পারি। তাদের উপস্থিতি ক্রিকেটারদেরকে অনুপ্রাণিত করে। আমরা আশা করি, শিগগিরই তাদের উপস্থিতি দেখতে পাব।’- মুখপাত্র যোগ করেন।
উল্লেখ্য যে, পাকিস্তানের পাসপোর্টধারীর ভিসার আবেদন স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র এবং ক্রীড়া সহ একাধিক ভারতীয় মন্ত্রণালয় কর্তৃক যাচাই করা প্রয়োজন। কারণ পাকিস্তানের কোন নাগরিককে ভারতে আসতে হলে বেশ কিছু যাচাইয়ের সম্মুখীন হতে হয়। পাকিস্তানকে ভারত ‘প্রিয়র রেফারেন্স ক্যাটাগরি (পিআরসি) তালিকায় রেখেছে। যেখানে ব্যাংক স্টেটমেন্টসহ আরো কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।