ঢাকা ০৭:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo বরিশালে বসতঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার Logo সরকারি সুবিধা নিয়ে এয়ারকন্ডিশনের ভেতরে বসে তারা সংস্কারের কথা বলছে Logo এবারের বছরটি স্মরণীয়, এরপর থেকে বাংলাদেশ এভাবেই চলবে: সংস্কৃতি উপদেষ্টা Logo নওগাঁয় বাংলা বর্ষবরণ ও আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত Logo মারা গেছেন পেরুর নোবেলজয়ী ঔপন্যাসিক মারিও বার্গাস ইয়োসা Logo আনন্দ উল্লাসে শেষ হলো ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ Logo নাটোরে মাদ্রাসা থেকে শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার Logo এবার বিনিয়োগ সম্মেলনে ৩১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে: আশিক Logo বাংলাদেশি পাসপোর্টে ইসরায়েল ভ্রমণ করা যাবে না: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় Logo রাজনৈতিক হয়রানিমূলক ৭১৮৪ মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ

আন্দোলনে নামে সহিংসতা করলে রেহাই পাবে না বি এন পি – জামায়াত : প্রধানমন্ত্রী

  • স্টাফ রিপোটার
  • আপডেট সময় ১১:৩৫:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৫৭৯ Time View

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে আন্দোলনের নামে কোনো ধরনের অগ্নিসংযোগ, জ্বালাও-পোড়াও, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বা সহিংসতা করলে রেহাই দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিরোধীদের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আন্দোলনে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। সন্ত্রাসবাদে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যা এবং দেশের সম্পত্তি নষ্ট করাই তাদের আন্দোলন। এর আগে ২৯ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের জীবন নিয়ে এমন কোনো চেষ্টা করা হলে কোনো ক্ষমা করা হবে না।

আরও পড়ুন: যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র অব্যাহত রাখতে হবে: প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা বলেন, আন্দোলনের নামে নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসবাদ বা একইভাবে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা বা হামলার ঘটনা ঘটলে রেহাই দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। ২০১৩-১৪ সালের ঘটনা ঘটলে আর কোনো সহনশীলতা দেখানো হবে না।প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, বিএনপি-জামায়াত জোট ২০১৩-১৪ সালে আন্দোলনের নামে যাত্রীবাহী বাস, ট্রেন ও লঞ্চসহ বহু যানবাহনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে জনগণকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করেছিল। সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করে সারাদেশে তাণ্ডব চালিয়েছিল।

স্থানীয় সময় সোমবার (২ অক্টোবর) লন্ডনের মেথোডিস্ট সেন্ট্রাল হল ওয়েস্টমিনস্টারে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে আয়োজিত এক কমিউনিটি সংবর্ধনায় তিনি এসব কথা বলেন।আরও পড়ুন: যুদ্ধ ও সংঘাতের পথ পরিহার করে ঐক্যের ডাক প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজেদুর রহমান ফারুক।

শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্রের কথা বলা বিএনপির পক্ষে শোভা পায় না। কারণ, তারা জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে ধোকাবাজি খেলেছে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি একটি প্রহসনমূলক নির্বাচন করে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার দেড় মাসের মধ্যেই দেশের জনগণ তাদের ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে। দেশের জনগণ কখনোই ভোট কারচুপিকারীদের ক্ষমতায় বসতে দেয় না।প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার নিয়ে ভোটার তালিকা তৈরি করে এবং সেই তালিকা দিয়ে নির্বাচন করার চেষ্টা করেছিল। উল্টো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করেছেন। তাদের অনেকেই জীবন উৎসর্গ করেছেন।

আরও পড়ুন: আরও স্যাংশনস দেবে, দিতে পারে, এটা তাদের ইচ্ছা

প্রধানমন্ত্রী একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, তার সরকার নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য আইন প্রণয়নের পাশাপাশি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য সব সংস্কার করেছে।তিনি বলেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তারা স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স চালু করেছে এবং ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরি করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি এখন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর আন্দোলন করছে। সরকারপ্রধান হিসেবে আমার ওপর ন্যস্ত নির্বাহী ক্ষমতা দিয়ে এতিমদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ড স্থগিত করার পর খালেদা জিয়াকে বাড়িতে থাকতে দিয়েছি।তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে আমার কিছুই করার নেই। আমি আইনের মধ্যে যতটুকু করা যায় করেছি। অনেকেই এখন যুক্তি দিচ্ছেন, আইন নিজের গতিতে চললেও খালেদা জিয়ার প্রতি আমি বেশি সহানুভূতি দেখাতে পারি।

আরও পড়ুন: অক্টোবরেই সরকারের পতন ঘটাতে চায় বিএনপি

প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী বাংলাদেশিদের ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানান এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাদের অবদানের কথা স্মরণ করেন।চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির পটভূমিতে অনুমোদন এবং পাল্টা নিষেধাজ্ঞায় তিনি খাদ্যের জন্য অন্যের ওপর নির্ভরতা কমাতে সবাইকে আবাদ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, প্রতি ইঞ্চি জমি ব্যবহার করে আপনি যা পারেন তা উৎপাদন করেন।

বাংলাদেশকে আর্থ-সামাজিকভাবে উন্নত করতে তার সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল ও ডিজিটাল দেশে রূপান্তরিত করেছি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছি।

বরিশালে বসতঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

আন্দোলনে নামে সহিংসতা করলে রেহাই পাবে না বি এন পি – জামায়াত : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ১১:৩৫:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে আন্দোলনের নামে কোনো ধরনের অগ্নিসংযোগ, জ্বালাও-পোড়াও, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বা সহিংসতা করলে রেহাই দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিরোধীদের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আন্দোলনে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। সন্ত্রাসবাদে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যা এবং দেশের সম্পত্তি নষ্ট করাই তাদের আন্দোলন। এর আগে ২৯ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের জীবন নিয়ে এমন কোনো চেষ্টা করা হলে কোনো ক্ষমা করা হবে না।

আরও পড়ুন: যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র অব্যাহত রাখতে হবে: প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা বলেন, আন্দোলনের নামে নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসবাদ বা একইভাবে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা বা হামলার ঘটনা ঘটলে রেহাই দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। ২০১৩-১৪ সালের ঘটনা ঘটলে আর কোনো সহনশীলতা দেখানো হবে না।প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, বিএনপি-জামায়াত জোট ২০১৩-১৪ সালে আন্দোলনের নামে যাত্রীবাহী বাস, ট্রেন ও লঞ্চসহ বহু যানবাহনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে জনগণকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করেছিল। সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করে সারাদেশে তাণ্ডব চালিয়েছিল।

স্থানীয় সময় সোমবার (২ অক্টোবর) লন্ডনের মেথোডিস্ট সেন্ট্রাল হল ওয়েস্টমিনস্টারে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে আয়োজিত এক কমিউনিটি সংবর্ধনায় তিনি এসব কথা বলেন।আরও পড়ুন: যুদ্ধ ও সংঘাতের পথ পরিহার করে ঐক্যের ডাক প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজেদুর রহমান ফারুক।

শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্রের কথা বলা বিএনপির পক্ষে শোভা পায় না। কারণ, তারা জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে ধোকাবাজি খেলেছে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি একটি প্রহসনমূলক নির্বাচন করে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার দেড় মাসের মধ্যেই দেশের জনগণ তাদের ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে। দেশের জনগণ কখনোই ভোট কারচুপিকারীদের ক্ষমতায় বসতে দেয় না।প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার নিয়ে ভোটার তালিকা তৈরি করে এবং সেই তালিকা দিয়ে নির্বাচন করার চেষ্টা করেছিল। উল্টো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করেছেন। তাদের অনেকেই জীবন উৎসর্গ করেছেন।

আরও পড়ুন: আরও স্যাংশনস দেবে, দিতে পারে, এটা তাদের ইচ্ছা

প্রধানমন্ত্রী একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, তার সরকার নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য আইন প্রণয়নের পাশাপাশি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য সব সংস্কার করেছে।তিনি বলেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তারা স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স চালু করেছে এবং ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরি করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি এখন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর আন্দোলন করছে। সরকারপ্রধান হিসেবে আমার ওপর ন্যস্ত নির্বাহী ক্ষমতা দিয়ে এতিমদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ড স্থগিত করার পর খালেদা জিয়াকে বাড়িতে থাকতে দিয়েছি।তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে আমার কিছুই করার নেই। আমি আইনের মধ্যে যতটুকু করা যায় করেছি। অনেকেই এখন যুক্তি দিচ্ছেন, আইন নিজের গতিতে চললেও খালেদা জিয়ার প্রতি আমি বেশি সহানুভূতি দেখাতে পারি।

আরও পড়ুন: অক্টোবরেই সরকারের পতন ঘটাতে চায় বিএনপি

প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী বাংলাদেশিদের ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানান এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাদের অবদানের কথা স্মরণ করেন।চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির পটভূমিতে অনুমোদন এবং পাল্টা নিষেধাজ্ঞায় তিনি খাদ্যের জন্য অন্যের ওপর নির্ভরতা কমাতে সবাইকে আবাদ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, প্রতি ইঞ্চি জমি ব্যবহার করে আপনি যা পারেন তা উৎপাদন করেন।

বাংলাদেশকে আর্থ-সামাজিকভাবে উন্নত করতে তার সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল ও ডিজিটাল দেশে রূপান্তরিত করেছি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছি।