বিদ্যুৎ ও গ্যাস নিরবচ্ছিন্নভাবে পেতে হলে, এগুলো কিনতে বা উৎপাদন করতে যা খরচ হয়, সে দাম গ্রাহককে বহন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘কত আর ভর্তুকি দেয়া যাবে। জনগণের টাকায় তো এত ভর্তুকি দেয়া যায় না।’
রোববার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর প্রান্তসীমা পূর্বাচলে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৭তম আসরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের এ বিষয়ে নজর দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমাদের ভৌগোলিক অবস্থানটি এত চমৎকার জায়গায় যে আমরা পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণে সব দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারি। চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে খাদ্য মন্দা চলছে। সেই সঙ্গে খাদ্যপণ্যের দামও বেড়ে গেছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য একটি সুযোগ আছে।
তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা খাদ্য প্রক্রিয়াজাতের শিল্প গড়ে তুলুন। তাতে আমাদের দেশীয় উৎপাদকরা যেমন লাভবান হবেন এবং দেশে কর্মসংস্থান হবে, পাশাপাশি রফতানির জন্য নতুন পণ্যও তৈরি হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য আর টেকসই বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা, অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ সব ধরনের নীতি সহায়তা দিচ্ছে সরকার। আর টানা ক্ষমতায় থাকার সুবাদে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় আসীন।
এসময় ব্যবসায়ীদের পণ্যের বহুমুখীকরণ ও নতুন বাজার খোঁজার তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।
বিনিয়োগের স্বার্থে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, কৃষিজমির ওপরও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। তাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়লে কোনো সেবা মিলবে না।
রাজধানীর প্রান্তসীমা পূর্বাচলে নতুন ঠিকানায় দ্বিতীয়বারের মতো শুরু হয়েছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আসর। এবারের মেলায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশসহ ১০টি দেশের তিন শতাধিক স্টল।