ঢাকা ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাবিতে মাদক সেবন নিয়ে গভীর রাতে ছাত্রলীগের মারামারি

স্টাফ রিপোর্টারঃ   মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে গুরুতর আহতের খবর পাওয়া যায়নি।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) মধ্যরাতে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষেরর পর সভাপতি কামাল উদ্দিন রানা ও সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনের সমন্বয়ে বিষয়টি সাময়িক সুরাহা করা হয়।

সূত্রে জানা যায়, প্রায় সময় ছাদে মাদক সেবন করে থাকেন হল ছাত্রলীগের কর্মীরা। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার সময় সভাপতি গ্রুপের কর্মী থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ফরিদ জামান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাকিবুর রহমান সায়েম, লোক প্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল হোসেন সাগরসহ কয়েকজন মাদক সেবন করছেন হলের প্রধান ভবনের ছাদে।

একই সময়ে ছাদের অন্যপাশে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের তৃতীয় বর্ষের পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান রাহি, ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের আব্দুর রহিম শান্ত, অ্যাকাউন্টিং বিভাগের রাজিব রবিনসহ আরও অনেকে বিয়ার সেবন করছিলেন এবং গান গাচ্ছিলেন।

এমন সময় সভাপতি গ্রুপের ফরিদ এসে তাদের চলে যেতে বলেন। একপর্যায়ে রাহিকে চড় দেন এবং পরে এটি দুই পক্ষের মাঝে হাতাহাতি ও সংঘর্ষে রূপ নেয়।

হাতাহাতির ঘটনা হলে ছড়িয়ে পড়লে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রলীগের কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। লাঠিসোঁটা নিয়ে দু-পক্ষই দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় মহড়া দিতে থাকে। এমন সময় হলের সভাপতি ও সম্পাদক এলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। পরে হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। তারা রাত আনুমানিক তিনটার দিকে হলের প্রধান অতিথি কক্ষে বিষয়টি নিয়ে সমন্বয় করেন৷

এ বিষয়ে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘ছাদে গতকাল রাতে গান গাওয়া নিয়ে সিনিয়র-জুনিয়রদের মাঝে একটু কথা কাটাকাটি হয়। আমরা সেখানে দ্রুত গিয়ে সমাধানের চেষ্টা করি। কিছুক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়ে যায়। কেউ মাদক সেবন করেনি ওখানে।’

সার্বিক বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহিম ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমি সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। রাতে তারা বিষয়টি সমাধান করেছে বলে জানতে পেরেছি। ভবিষ্যতে এরকম কিছু ঘটবে না বলেও তারাও আমাকে আশ্বাস দিয়েছে। আপাতত হলের পরিবেশের সাথে যায় না এরকম কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে তাই হলের ছাদ বন্ধ করে দেওয়া হবে।’

ট্যাগস

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

ঢাবিতে মাদক সেবন নিয়ে গভীর রাতে ছাত্রলীগের মারামারি

আপডেট সময় ০৬:৪৭:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অগাস্ট ২০২২

স্টাফ রিপোর্টারঃ   মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে গুরুতর আহতের খবর পাওয়া যায়নি।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) মধ্যরাতে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষেরর পর সভাপতি কামাল উদ্দিন রানা ও সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনের সমন্বয়ে বিষয়টি সাময়িক সুরাহা করা হয়।

সূত্রে জানা যায়, প্রায় সময় ছাদে মাদক সেবন করে থাকেন হল ছাত্রলীগের কর্মীরা। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার সময় সভাপতি গ্রুপের কর্মী থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ফরিদ জামান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাকিবুর রহমান সায়েম, লোক প্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল হোসেন সাগরসহ কয়েকজন মাদক সেবন করছেন হলের প্রধান ভবনের ছাদে।

একই সময়ে ছাদের অন্যপাশে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের তৃতীয় বর্ষের পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান রাহি, ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের আব্দুর রহিম শান্ত, অ্যাকাউন্টিং বিভাগের রাজিব রবিনসহ আরও অনেকে বিয়ার সেবন করছিলেন এবং গান গাচ্ছিলেন।

এমন সময় সভাপতি গ্রুপের ফরিদ এসে তাদের চলে যেতে বলেন। একপর্যায়ে রাহিকে চড় দেন এবং পরে এটি দুই পক্ষের মাঝে হাতাহাতি ও সংঘর্ষে রূপ নেয়।

হাতাহাতির ঘটনা হলে ছড়িয়ে পড়লে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রলীগের কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। লাঠিসোঁটা নিয়ে দু-পক্ষই দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় মহড়া দিতে থাকে। এমন সময় হলের সভাপতি ও সম্পাদক এলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। পরে হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। তারা রাত আনুমানিক তিনটার দিকে হলের প্রধান অতিথি কক্ষে বিষয়টি নিয়ে সমন্বয় করেন৷

এ বিষয়ে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘ছাদে গতকাল রাতে গান গাওয়া নিয়ে সিনিয়র-জুনিয়রদের মাঝে একটু কথা কাটাকাটি হয়। আমরা সেখানে দ্রুত গিয়ে সমাধানের চেষ্টা করি। কিছুক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়ে যায়। কেউ মাদক সেবন করেনি ওখানে।’

সার্বিক বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহিম ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমি সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। রাতে তারা বিষয়টি সমাধান করেছে বলে জানতে পেরেছি। ভবিষ্যতে এরকম কিছু ঘটবে না বলেও তারাও আমাকে আশ্বাস দিয়েছে। আপাতত হলের পরিবেশের সাথে যায় না এরকম কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে তাই হলের ছাদ বন্ধ করে দেওয়া হবে।’