ঢাকা ০৩:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্ভোগ লাগবে শতাধিক গ্রামের মানুষ স্বেচ্ছায় খাল কাটতে এগিয়ে এলো

দীর্ঘ ১৫ কিলোমিটার খাল কাটার কাজ করছে গ্রামবাসী

স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ ।।  পানি নিস্কাশনের ক্যানেল ভরাট হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় ফসল । এভাবেই চলছে গত ৩০ বছর ধরে । স্থানীয়দের অভিযোগ ভোটের আগে খালকাটার প্রতিশ্রুতির কমতি থাকে না কিন্ত তার পর আর খোঁজ নেই ।

অবশেষে নিজেদের সমস্যা সমাধানে শতাধিক গ্রামের মানুষ ১৫ কিলোমিটার খাল কাটতে এগিয়ে এসেছে নওগাঁয়।  গ্রাম বাসীর এমন উদ্যেগ কে উৎসাহ দিচ্ছে স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা ।

পানি নিস্কাশনের পথ না থাকায়   সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে আছে কাংখিত ফসল। ঘাম ঝড়া শ্রমে স্বপ্নের ফসল ঘরে তোলার আগে এমন দুর্ভোগ মোকাবিলা করতে হচ্ছে নওগাঁর বক্তার  ইউনিয়নের অন্তত শতাধিক গ্রামের মানুষ কে । স্থানীয় মুক্তার পাড়া গ্রামের কৃষক মামুন, মান্নান, মিল্টন জানান, ফসল লাগানোর পর আতংকে থাকতে হয় । কখন উজানের পানি এসে তা নষ্ট করে দেয় । এভাবেই চলছে যুগের পর যুগ । 

খাল ভরাট ও দখল করায় বন্ধ হয়ে গেছে  উজান থেকে নেমে আসা পানি প্রবাহের  পথ । ফলে  প্রতি বছর মাঠের ফসল ঘরে তোলা নিয়তির উপর ছেড়ে দেয় গ্রাম বাসী । এ অবস্থায় ভরাট খাল খননের জন্য  সরকারের বিভিন্ন দফতরে গ্রামবাসীরা আবেদন করে আসছে । কিন্ত তাতে সারা না পাওয়ায় নিজেরাই কোদাল খুন্থি নিয়ে রোববার ভরাট খাল  খাল খননে  এগিয়ে আসে । স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসা এসব গ্রামবাসীর  দাবী নিজেদের  খনন করা খাল টেকসই করতে সরকারে সহযোগিতা দরকার ।

গ্রামের মানুষ উচ্ছাস নিয়ে কাজে নেমে পড়ে

বক্তার পুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: সারোয়ার কামাল চঞ্চল বলেন, ১৫ কিলোমিটার এ খাল খুবই গুরুত্বপুর্ন । এখন যে পরিমান খনন করা হচ্ছে তা পর্যাপ্ত নয় । ভাল ভাবে খাল কাটার জন্য টেকসই প্রকল্প দরকার ।

স্থানীয়দের মতে পাঁচ বাড়িয়ে বিল থেকে নেমে আসা পানি ফলিমারা বিলে প্রবাহের জন্য ১৯৯০ সালের দিকে ১৫ কিলোমিটারের খাল খনন করা হয় । কিন্ত পরে দখল আর সংস্কারের অভাবে তা  ভরাট হয়ে যায় ।

 

ট্যাগস

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

দুর্ভোগ লাগবে শতাধিক গ্রামের মানুষ স্বেচ্ছায় খাল কাটতে এগিয়ে এলো

আপডেট সময় ০১:৩৩:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ মে ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ ।।  পানি নিস্কাশনের ক্যানেল ভরাট হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় ফসল । এভাবেই চলছে গত ৩০ বছর ধরে । স্থানীয়দের অভিযোগ ভোটের আগে খালকাটার প্রতিশ্রুতির কমতি থাকে না কিন্ত তার পর আর খোঁজ নেই ।

অবশেষে নিজেদের সমস্যা সমাধানে শতাধিক গ্রামের মানুষ ১৫ কিলোমিটার খাল কাটতে এগিয়ে এসেছে নওগাঁয়।  গ্রাম বাসীর এমন উদ্যেগ কে উৎসাহ দিচ্ছে স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা ।

পানি নিস্কাশনের পথ না থাকায়   সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে আছে কাংখিত ফসল। ঘাম ঝড়া শ্রমে স্বপ্নের ফসল ঘরে তোলার আগে এমন দুর্ভোগ মোকাবিলা করতে হচ্ছে নওগাঁর বক্তার  ইউনিয়নের অন্তত শতাধিক গ্রামের মানুষ কে । স্থানীয় মুক্তার পাড়া গ্রামের কৃষক মামুন, মান্নান, মিল্টন জানান, ফসল লাগানোর পর আতংকে থাকতে হয় । কখন উজানের পানি এসে তা নষ্ট করে দেয় । এভাবেই চলছে যুগের পর যুগ । 

খাল ভরাট ও দখল করায় বন্ধ হয়ে গেছে  উজান থেকে নেমে আসা পানি প্রবাহের  পথ । ফলে  প্রতি বছর মাঠের ফসল ঘরে তোলা নিয়তির উপর ছেড়ে দেয় গ্রাম বাসী । এ অবস্থায় ভরাট খাল খননের জন্য  সরকারের বিভিন্ন দফতরে গ্রামবাসীরা আবেদন করে আসছে । কিন্ত তাতে সারা না পাওয়ায় নিজেরাই কোদাল খুন্থি নিয়ে রোববার ভরাট খাল  খাল খননে  এগিয়ে আসে । স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসা এসব গ্রামবাসীর  দাবী নিজেদের  খনন করা খাল টেকসই করতে সরকারে সহযোগিতা দরকার ।

গ্রামের মানুষ উচ্ছাস নিয়ে কাজে নেমে পড়ে

বক্তার পুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: সারোয়ার কামাল চঞ্চল বলেন, ১৫ কিলোমিটার এ খাল খুবই গুরুত্বপুর্ন । এখন যে পরিমান খনন করা হচ্ছে তা পর্যাপ্ত নয় । ভাল ভাবে খাল কাটার জন্য টেকসই প্রকল্প দরকার ।

স্থানীয়দের মতে পাঁচ বাড়িয়ে বিল থেকে নেমে আসা পানি ফলিমারা বিলে প্রবাহের জন্য ১৯৯০ সালের দিকে ১৫ কিলোমিটারের খাল খনন করা হয় । কিন্ত পরে দখল আর সংস্কারের অভাবে তা  ভরাট হয়ে যায় ।