এইচএম শাহরীয়ার, বিশেষ প্রতিনিধি: নওগাঁর পত্নীতলায় আত্মসাৎ হওয়া ১৩ লাখ টাকা উদ্ধার সহ ১ জনকে গ্রেফতার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে । আটককৃত হলো বেসরাকারী সংস্থা ঘাসফুল এর মধইল শাখার জুনিয়র অফিসার( হিসাব রক্ষক) কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া থানার রোসাইপাড়া কৈয়ারবিল গ্রামের মৃত. আমিন উল্লাহ’র ছেলে ইউসুফ কুতবী(২৬)।
এ ঘটনায় গত ১ ডিসেম্বর পত্নীতলা থানায় একটি মামলা রুজু হয়। উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ বিষয়ে পত্নীতলা থানা পুলিশ বেলা ১১ টায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্তারিত জানান পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আলম শাহ।
আাসমী ইউসুফ প্রতিদিনই জনতা ব্যাংক মধইল শাখা হইতে অন্য কর্মচারীর সহায়তায় টাকা উত্তোলন করিয়া জমা প্রদান করিতো। ৩০ নভেম্বর সদস্যদের মাঝে ঋণ বিতরণের জন্য টাকা উত্তোলনের জন্য যান।
টাকার পরিমাণ বেশি হওয়াই অন্য কর্মচারীকে নিয়ে টাকা উত্তোলনের নির্দেশ প্রদান করা হলেও আসামি কোন কর্মচারীকে সঙ্গে না নিয়ে ওই দিন সকাল ১০.৪৫ ঘটিকার সময় একাই জনতা ব্যাংক মধইল শাখায় যান এবং ব্যাংক হইতে ঘাসফুল একাউন্ট হতে টাকা উত্তোলন করেন।
দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর উক্ত আসামী টাকা নিয়ে ফিরে না আসায় তারা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান। পরবর্তীতে আসামী অন্য একজনের ফোন থেকে বাদীকে ফোন করে বলে সে জয়পুরহাট রেলস্টেশন আছে।
বাদীর অফিস হইতে জয়পুরহাট যাইতে দেরি হবে বিধায় তাদের বদলগাছী শাখার ব্যবস্থাপক মো: হারুন অর রশীদকে যাওয়ার জন্য বলেন এবং সে অনুযায়ী খোঁজাখুঁজি করার পরেও তাকে কোথাও পাওয়া যায় নাই।
এই ঘটনায় পত্নীতলা থানায় মামলা হলে পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া,র প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনায় মামলার তদন্ত ও আসামী গ্রেপ্তার ও আত্মসাৎ হওয়া টাকা উদ্ধারের চেষ্টা কালে আত্মগোপন করে এলাকা হইতে পালিয়ে যাচ্ছে মর্মে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত আসামী ইউসুফ কুতবীকে ১ ডিসেম্বর ভোর ৪টায় নজিপুর বাস স্ট্যান্ড হতে আটক করা হয় ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ঘটনার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তিনি আরো বলেন চট্রগ্রাম থকে মধইল শাখায় অনেক দুরে বদলী করায় তার মনে ক্ষোভের জন্ম হয়। সেই সাথে আত্মসাৎকৃত টাকা সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে কক্সবাজার প্রেরণ করার ৯ ঘন্টার মধ্য ঘাসফুল সংস্থার ১৩ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।