ঢাকা ১২:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo ঝালকাঠিতে সম্পত্তি লিখে নিতে বাবাকে ৮ দিন তালাবদ্ধ করে রাখলেন মেয়েরা Logo চীন সরকারের আমন্ত্রণে, চীন সফরে গেলেন জামায়াত ও অন্যান্য দলের প্রতিনিধিরা Logo ১৫ বছর পর রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে লিভারপুলের জয় Logo ২০০ টাকার হিসাব দিতে না পারায় স্বামীর হাতে প্রাণ গেল স্ত্রীর Logo কর ফাঁকির ২ মামলা থেকে তারেক রহমানকে অব্যাহতি Logo এই ইসকন জঙ্গি, তারা স্বৈরাচারের সঙ্গী: হাসনাত আবদুল্লাহ Logo জটিলতা কাটিয়ে হিলি দিয়ে আসছে পেঁয়াজ Logo নওগাঁর পত্নীতলায় আমনের ভালো ফলন কাঙ্ক্ষিত দাম নিশ্চিত করার দাবি চাষিদের Logo সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা Logo ইসকন নিষিদ্ধ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন

ইনজেকশন দেওয়ার পর খিচুনি দিয়ে শিশুর মৃত্যু

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভুল চিকিৎসায় সুমনা নামে চার বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভাঙচুর চালিয়েছেন তার স্বজনরা।

মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সকালে উপজেলার শ্যামলীপাড়ায় অবস্থিত জননী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভাঙচুর চালান তারা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

শিশুর মা সুমা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে সুমনার পিঠে ফোঁড়া ওঠে। সোমবার রাত ৮টার দিকে আমার ভাইকে নিয়ে ফোঁড়ার অপারেশনের জন্য স্থানীয় জননী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক আহসানুল হকের কাছে যাই। সেখানে চিকিৎসক আমার মেয়েকে দেখে রক্ত পরীক্ষাসহ নানা ধরনের পরীক্ষা করতে দেয়।

পরে পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে চিকিৎসক আহসানুল হক সুমনার পিঠে পরপর পাঁচটি অবশের ইনজেকশন প্রয়োগ করেন। এ সময় আমার মেয়ে চিৎকার করে বলে, মা আমি আর বাঁচব না। ইনজেকশন পুশ করার পর আমার মেয়ের খিঁচুনি শুরু হয় এবং ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

শিশু সুমনার মামা মুনিয়া মিয়া বলেন, আমার ভাগনিকে নিয়ে যখন ক্লিনিকে গেলাম তখন চিকিৎসক তাকে দেখে অপারেশনের কথা বলেন এবং কিছু ওষুধ আনতে বলেন। এরপর অবশের জন্য সুমনাকে পরপর পাঁচটা ইনজেকশন প্রয়োগ করেন। বলেন, একটু ঠান্ডা হলে নিয়ে আসবেন ফোঁড়া কেটে বের করে দেওয়া হবে।

এরপর সুমনার খিঁচুনি শুরু হয়। তখন অক্সিজেন দেওয়ার জন্য তাকে একটা রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর ডাক্তার এসে বলেন সুমনার অপারেশনের জন্য আপনাদের একটা স্বাক্ষর লাগবে। ডাক্তার এ কথা বলে আমাদের কাছ থেকে জোর করে স্বাক্ষর নিয়ে নেন। পরে আমাদের আর রুমের ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। আমরা এ চিকিৎসকের শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে জননী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ারুল ইসলাম মুক্তা বলেন, শিশুটি মৃগী রোগী ছিল। ডাক্তার তাকে অবশ করার ইনজেকশন দিলে তার খিঁচুনি ওঠে। পরে তাকে আইসিইউতে রাখা দরকার মনে করে এখান থেকে রেফার করা হয়। পরে তাকে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় বলে শুনেছি। এ বিষয়ে কোনো দায় নিলে চিকিৎসক নিবেন। কিন্তু আমার প্রতিষ্ঠানে কেন ভাঙচুর করে ক্ষতি করা হলো। এ নিয়ে আমি সাধারণ ডায়েরি করবো।

এ বিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। কিন্তু আমি বাইরে একটি মিটিংয়ে থাকায় বিস্তারিত বলতে পারছি না।

তবে শুনেছি ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার থেকে থানায় অভিযোগ দিতে আসা হয়েছে। আমি কার্যালয়ে ফিরে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

ঝালকাঠিতে সম্পত্তি লিখে নিতে বাবাকে ৮ দিন তালাবদ্ধ করে রাখলেন মেয়েরা

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

ইনজেকশন দেওয়ার পর খিচুনি দিয়ে শিশুর মৃত্যু

আপডেট সময় ০৪:৩০:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভুল চিকিৎসায় সুমনা নামে চার বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভাঙচুর চালিয়েছেন তার স্বজনরা।

মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সকালে উপজেলার শ্যামলীপাড়ায় অবস্থিত জননী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভাঙচুর চালান তারা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

শিশুর মা সুমা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে সুমনার পিঠে ফোঁড়া ওঠে। সোমবার রাত ৮টার দিকে আমার ভাইকে নিয়ে ফোঁড়ার অপারেশনের জন্য স্থানীয় জননী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক আহসানুল হকের কাছে যাই। সেখানে চিকিৎসক আমার মেয়েকে দেখে রক্ত পরীক্ষাসহ নানা ধরনের পরীক্ষা করতে দেয়।

পরে পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে চিকিৎসক আহসানুল হক সুমনার পিঠে পরপর পাঁচটি অবশের ইনজেকশন প্রয়োগ করেন। এ সময় আমার মেয়ে চিৎকার করে বলে, মা আমি আর বাঁচব না। ইনজেকশন পুশ করার পর আমার মেয়ের খিঁচুনি শুরু হয় এবং ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

শিশু সুমনার মামা মুনিয়া মিয়া বলেন, আমার ভাগনিকে নিয়ে যখন ক্লিনিকে গেলাম তখন চিকিৎসক তাকে দেখে অপারেশনের কথা বলেন এবং কিছু ওষুধ আনতে বলেন। এরপর অবশের জন্য সুমনাকে পরপর পাঁচটা ইনজেকশন প্রয়োগ করেন। বলেন, একটু ঠান্ডা হলে নিয়ে আসবেন ফোঁড়া কেটে বের করে দেওয়া হবে।

এরপর সুমনার খিঁচুনি শুরু হয়। তখন অক্সিজেন দেওয়ার জন্য তাকে একটা রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর ডাক্তার এসে বলেন সুমনার অপারেশনের জন্য আপনাদের একটা স্বাক্ষর লাগবে। ডাক্তার এ কথা বলে আমাদের কাছ থেকে জোর করে স্বাক্ষর নিয়ে নেন। পরে আমাদের আর রুমের ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। আমরা এ চিকিৎসকের শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে জননী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ারুল ইসলাম মুক্তা বলেন, শিশুটি মৃগী রোগী ছিল। ডাক্তার তাকে অবশ করার ইনজেকশন দিলে তার খিঁচুনি ওঠে। পরে তাকে আইসিইউতে রাখা দরকার মনে করে এখান থেকে রেফার করা হয়। পরে তাকে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় বলে শুনেছি। এ বিষয়ে কোনো দায় নিলে চিকিৎসক নিবেন। কিন্তু আমার প্রতিষ্ঠানে কেন ভাঙচুর করে ক্ষতি করা হলো। এ নিয়ে আমি সাধারণ ডায়েরি করবো।

এ বিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। কিন্তু আমি বাইরে একটি মিটিংয়ে থাকায় বিস্তারিত বলতে পারছি না।

তবে শুনেছি ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার থেকে থানায় অভিযোগ দিতে আসা হয়েছে। আমি কার্যালয়ে ফিরে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।