ঢাকা ০৯:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেলের জালে বিরল প্রজাতির ডোরাকাটা মাছ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর উপজেলার পাশে আড়িয়াল খাঁ নদীতে জেলের জালে কালো বর্ণের ডোরাকাটা এক বিরল প্রজাতির মাছ ধরা পড়েছে। মাছটিকে পাড়ে তুললেই উৎসুক জনতার ভিড় জমায়।

শুক্রবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে কটিয়াদি বাজারের পার্শ্ববর্তী আড়িয়াল খাঁ নদীতে মাছটি ধরেন জেলে সবুজ মিয়া।

সবুজ মিয়া বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে জাল দিয়ে আড়িয়াল খাঁ নদীতে যাই। এসময় কয়েকবার জাল পানিতে ফেলে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ পাই। হঠাৎ আরেকবার অন‌্যান‌্য মাছের সঙ্গে এই অদ্ভুত মাছও দেখতে পাই। কালো রঙয়ের মাছটির মাঝে ডোরাকাটা দাগ রয়েছে।

এটি প্রথমে দেখে ভয় পেয়ে যাই। পরে যখন মাছটি পাড়ে তুলে নিয়ে আসি, বাজারের মানুষজন এটা দেখতে ভিড় করে। তারা বিভিন্ন নাম দেয় এই মাছের। কেউ বলে রাক্ষুসে মাছ, কেউ বলে পাখি মাছ। পরে একজন মোবাইলে ছবি তুলে ইন্টারনেটে সার্চ করে জানায় এটা ‘সাকার ফিস’।’

মাছটি সম্পর্কে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ‘লোকমুখে মাছটি সর্ম্পকে জানতে পারি। পরে খোঁজ নিয়ে দেখি সেটি ‘সাকার ফিস’। এটি দেশীয় কোনো মাছ নয়। মাছটি অনেক সময়ই বিভিন্ন খাল-বিল ও নদী-নালায় জেলেদের জালে ধরা পড়ে।

মাছটির জীবনশক্তি অনেক প্রকট। এ মাছটি দেখতে যেমন ভয়ংকর, কাজেও ভয়ংকর। এ মাছটির বংশবিস্তার আমাদের দেশীয় মাছের জন‌্য হুমকি। মাছটি পানিতে থাকা অবস্থায় আশেপাশের ছোট মাছ খেয়ে ফেলে। যদি এমন আরও মাছ এ নদীতে থেকে থাকে তাহলে অন‌্যান‌্য দেশীয় মাছের জন‌্য ক্ষতিকারক হতে পারে।’

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

জেলের জালে বিরল প্রজাতির ডোরাকাটা মাছ

আপডেট সময় ১২:৫৯:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর উপজেলার পাশে আড়িয়াল খাঁ নদীতে জেলের জালে কালো বর্ণের ডোরাকাটা এক বিরল প্রজাতির মাছ ধরা পড়েছে। মাছটিকে পাড়ে তুললেই উৎসুক জনতার ভিড় জমায়।

শুক্রবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে কটিয়াদি বাজারের পার্শ্ববর্তী আড়িয়াল খাঁ নদীতে মাছটি ধরেন জেলে সবুজ মিয়া।

সবুজ মিয়া বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে জাল দিয়ে আড়িয়াল খাঁ নদীতে যাই। এসময় কয়েকবার জাল পানিতে ফেলে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ পাই। হঠাৎ আরেকবার অন‌্যান‌্য মাছের সঙ্গে এই অদ্ভুত মাছও দেখতে পাই। কালো রঙয়ের মাছটির মাঝে ডোরাকাটা দাগ রয়েছে।

এটি প্রথমে দেখে ভয় পেয়ে যাই। পরে যখন মাছটি পাড়ে তুলে নিয়ে আসি, বাজারের মানুষজন এটা দেখতে ভিড় করে। তারা বিভিন্ন নাম দেয় এই মাছের। কেউ বলে রাক্ষুসে মাছ, কেউ বলে পাখি মাছ। পরে একজন মোবাইলে ছবি তুলে ইন্টারনেটে সার্চ করে জানায় এটা ‘সাকার ফিস’।’

মাছটি সম্পর্কে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ‘লোকমুখে মাছটি সর্ম্পকে জানতে পারি। পরে খোঁজ নিয়ে দেখি সেটি ‘সাকার ফিস’। এটি দেশীয় কোনো মাছ নয়। মাছটি অনেক সময়ই বিভিন্ন খাল-বিল ও নদী-নালায় জেলেদের জালে ধরা পড়ে।

মাছটির জীবনশক্তি অনেক প্রকট। এ মাছটি দেখতে যেমন ভয়ংকর, কাজেও ভয়ংকর। এ মাছটির বংশবিস্তার আমাদের দেশীয় মাছের জন‌্য হুমকি। মাছটি পানিতে থাকা অবস্থায় আশেপাশের ছোট মাছ খেয়ে ফেলে। যদি এমন আরও মাছ এ নদীতে থেকে থাকে তাহলে অন‌্যান‌্য দেশীয় মাছের জন‌্য ক্ষতিকারক হতে পারে।’