এইচ.এম. শাহরীয়ার, বিশেষ প্রতিনিধিঃ যারা ১৯৭১ সালে আমারদের বোনকে ধরে নিয়ে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে উপহার দিয়েছিল ভোগ করার জন্য। সেই সাম্প্রদায়িক জামাত-শিবিরের প্রেতাত্নারা আজও বেঁচে আছে, তাদের পৃষ্টপোষক বিএনপি আজও বেঁচে আছে। তারা শান্তিপুর্ণ বাংলাদেশে অশান্তি সৃষ্টি করছে। শেখ হসিনার সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক ভাবে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য ওই শক্তি যারা স্বাধীনতা বিশ্বাস করেনা, যারা গণতন্ত্রের বিশ্বাস করেনা, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিশ্বাস করেনা, যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে চায়, সেই অপশক্তি বিএনপি এই দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধাতে চায়।
শুক্রবার দুপুরে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল এসব কথা বলেন।
এসএম কামাল আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বলা হতো আওয়ামীলীগ ভারতের দালাল। আওয়ামীলীগ কখনো ক্ষমতায় আসলে উলুদধ্বনি শোনা যাবে। আজান বন্ধ হয়ে যাবে। তালেবান আম স্লোগান উঠলো বাংলাদেশে হবে আফগানিস্তান। কিন্তু আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলো মসজিদে আজান আরও বেড়ে গেলো। বিএনপি-জামাত ২৮ বছর ক্ষমতায় ছিলো, একটা মসজিদ নির্মাণ করেছে? কওমী মাদ্রাসার স্বীকৃতি দিয়েছে? শেখ হাসিনা ৫৬০টি আধুনিক মসজিদ নির্মান করেছে। যার ব্যয় হয়েছে ৮হাজার ৭শ ২২ কোটি টাকা।
এই করোনা মধ্যে ননএমপিও ভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারি এবং এবতেদায়ি মাদ্রাসায় ৭৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে শুধু করোনার মধ্যে ভাতা দেওয়ার জন্য। কিন্তু যারা ইসলামের জন্য বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম বলে বক্তৃতা শুরু করেন। তারা কি কি কাজ করেছেন। বাইতুল মোকারমের সংস্কার করেছেন শেখ হাসিনা।
এসএম কামাল আরও বলেন; বঙ্গবন্ধু মদ, জুয়া, হাউজি নিষিদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী মেজর জিয়া মদ, জুয়া, হাউজি চালু করেছেন। বিএনপির নেত্রী এতিমের টাকা আত্নসাত করার কারনে আজকে জেল খানায়, তার আরেক নেতা হাওয়া ভবন তৈরি করে ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ বাংলাদেশকে জঙ্গীবাদের বাংলাদেশ বানিয়েছিলো, ৫০০ বোমায় দেশের ৬৩ জেলায় ক্ষতবিক্ষত, রক্তাক্তক করেছিল, হাওয়া ভবন তৈরি করে খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া, নেজামিরা কোর্টের বারান্দায় বিচারপতিকে হত্যা করেছিল, যে বাংলাদেশকে অকার্যকর বাংলাদেশ বলে বিবেচিত হয়েছিল।
যে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দিতে পারছিলো না। কৃষককে হত্যা করা হয়েছিল আপনাদের পাশেই চাপাইনবঞ্জে। যে বাংলাদেশের কৃষককে সার দিতে পারত না। গুলি করে জামালপুরে ১৮ জন কৃষককে হত্যা হরা হয়েছিল। সেই বিএনপি আজকে চোখে মুখে দিশেহারা হয়ে এক এক সময় এক এক পথ ধরেন ষরযন্ত্রের।
নজিপুর সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল খালেক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক, নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও পত্নীতলা-ধামইরহাট আসনের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক ওমর ফারুক, নওগাঁ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিমান কুমার রায়, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান, ধামইরহাট উপজেলা আওয়ামীলগের সভাপতি মো. দেলদার হোসেন প্রমুখ।
সম্মেলনে নওগাঁ জেলা আওয়ামীলীগ ও পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন এবং ১ টি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্যায়ে আব্দুল খালেক চৌধুরীকে সভাপতি ও আব্দুল গাফ্ফারকে সাধারণ সম্পাদক করে পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামীলীগের আংশিক কমিটি ঘোষনা করা হয়।