ঢাকা ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন: উপদেষ্টা নাহিদ Logo ঈদ ছাড়াও সিনেমা সুপারহিট হয়: শাকিব খান Logo যুক্তরাজ্যে গেলেই গ্রেপ্তার হবেন নেতানিয়াহু! Logo নওগাঁ ছাত্র -জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা Logo নির্বাচন দ্রুত হওয়া প্রয়োজন, নয়তো ষড়যন্ত্র বাড়বে: তারেক রহমান Logo আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি Logo ইউক্রেনের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া Logo সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্ভাষণ জানালেন ড. ইউনূস Logo সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুলবুল গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার Logo সাফ চ্যাম্পিয়ন তিন নারী খেলোয়াড়কে সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা

লক্ষ্মীপুরে শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার:  লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি শাহ আলম রুবেলকে (২৫) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। আরেক আসামি বোরহান উদ্দিনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহা. সিরাজুদ্দৌলাহ কুতুবী মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে এই রায় দেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আবুল বাশার।

তিনি জানান, দ্বিতীয় শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রীকে হত্যা ও ধর্ষণ মামলায় দীর্ঘ শুনানি ও ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আসামি শাহ আলম রুবেলকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এ ছাড়া আরও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। পাশাপাশি দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় আরও ৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় আসামি শাহ আলম রুবেলকে।

তবে এ রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে মামলার বাদী ও ওই ছাত্রীর মা রেহানা আক্তার ও চাচা আকবর হোসেন বলেন, যেন আসামি শাহ আলম রুবেলের মৃত্যুদণ্ডের রায় দ্রুত কার্যক্রম করা হয়। এ ছাড়া উচ্চ আদালতেও যেন এ রায় বহাল থাকে। সেটাই তাদের প্রত্যাশা।

এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. কাউছারুজ্জামান জানান, আলোচিত এ হত্যা মামলায় আসামি শাহ আলম রুবেলকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৩ মার্চ দুপুরে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এর তিন দিন পর উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের একটি ডোবা থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় শিশুটির মরদেহ অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।

পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। এরপর ২৭ মার্চ শিশুর মা রেহানা আক্তার বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় মামলা করেন। আসামি করা হয় শিশুর দূর সম্পর্কের আত্মীয় শাহ আলম রুবেল ও স্থানীয় অটোরিকশাচালক বোরহান উদ্দিনকে।

এরপর একই বছরের ১ জুলাই শাহ আলম রুবেল ও বোরহান উদ্দিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তৎকালীন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. কাউছারুজ্জামান।

প্রায় সাড়ে তিন বছর পর এই আলোচিত মামলার রায় প্রকাশ হলো। এ ঘটনার বিচারের দাবিতে লক্ষ্মীপুর ও ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করা হয় সে সময়।

ট্যাগস

বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন: উপদেষ্টা নাহিদ

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

লক্ষ্মীপুরে শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় ০১:৪৬:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার:  লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি শাহ আলম রুবেলকে (২৫) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। আরেক আসামি বোরহান উদ্দিনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহা. সিরাজুদ্দৌলাহ কুতুবী মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে এই রায় দেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আবুল বাশার।

তিনি জানান, দ্বিতীয় শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রীকে হত্যা ও ধর্ষণ মামলায় দীর্ঘ শুনানি ও ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আসামি শাহ আলম রুবেলকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এ ছাড়া আরও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। পাশাপাশি দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় আরও ৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় আসামি শাহ আলম রুবেলকে।

তবে এ রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে মামলার বাদী ও ওই ছাত্রীর মা রেহানা আক্তার ও চাচা আকবর হোসেন বলেন, যেন আসামি শাহ আলম রুবেলের মৃত্যুদণ্ডের রায় দ্রুত কার্যক্রম করা হয়। এ ছাড়া উচ্চ আদালতেও যেন এ রায় বহাল থাকে। সেটাই তাদের প্রত্যাশা।

এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. কাউছারুজ্জামান জানান, আলোচিত এ হত্যা মামলায় আসামি শাহ আলম রুবেলকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৩ মার্চ দুপুরে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এর তিন দিন পর উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের একটি ডোবা থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় শিশুটির মরদেহ অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।

পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। এরপর ২৭ মার্চ শিশুর মা রেহানা আক্তার বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় মামলা করেন। আসামি করা হয় শিশুর দূর সম্পর্কের আত্মীয় শাহ আলম রুবেল ও স্থানীয় অটোরিকশাচালক বোরহান উদ্দিনকে।

এরপর একই বছরের ১ জুলাই শাহ আলম রুবেল ও বোরহান উদ্দিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তৎকালীন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. কাউছারুজ্জামান।

প্রায় সাড়ে তিন বছর পর এই আলোচিত মামলার রায় প্রকাশ হলো। এ ঘটনার বিচারের দাবিতে লক্ষ্মীপুর ও ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করা হয় সে সময়।