ঢাকা ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পৃথক দুই মামলায় চিত্রনায়িকা একার রিমান্ড নামঞ্জুর

স্টাফ রিপোর্টার : হত্যার উদ্দেশে মারধর ও মাদকদ্রব্য আইনে করা পৃথক দুই মামলায় চিত্রনায়িকা একার রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১ আগস্ট) তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর হাতিরঝিল থানায় হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর ও মাদকদ্রব্য আইনে করা পৃথক দুই মামলার সুষ্ঠুতদন্তের জন্য তাকে তিন দিন করে ছয় দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ।

শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

এর আগে শনিবার তার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) হাতিরঝিল থানায় দুটি মামলা হয়েছে। নির্যাতনের অভিযোগে তার গৃহকর্মী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। অপর মামলাটি একার বাসায় মাদক পাওয়ার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে করেছে।

এদিন সন্ধ্যায় গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে চিত্রনায়িকা একাকে আটক করে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। এ সময় তার বাসা থেকে পাঁচ পিস ইয়াবা, পঞ্চাশ গ্রাম গাঁজা এবং অর্ধেক বোতল কেরু মদ জব্দ করা হয়।

জানা গেছে, একার বাসায় তিন মাস ধরে কাজ করেন এক গৃহকর্মী। এক মাসের বেতন দিলেও দুই মাসের বকেয়া বেতন চাইতে গেলে ইট দিয়ে আঘাত করে গৃহকর্মীকে আহত করেন নায়িকা একা।

শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওই গৃহকর্মী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

আহত গৃহকর্মীর দেবর আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভাবি গত তিন মাস ধরে নায়িকা একার বাসায় কাজ করতেন।

প্রথমে তার বেতন তিন হাজার টাকা হলেও পরবর্তীতে কাজ বেড়ে যাওয়ায় পাঁচ হাজার টাকা ঠিক হয়। প্রথম মাসের বেতন তিন হাজার টাকা দিলেও গত দুই মাসের বেতন একসঙ্গে চাইতে গেলে নায়িকা একা ভাবিকে ইট দিয়ে আঘাত করে। এরপর সন্ধ্যার দিকে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’

আহত গৃহকর্মীর গ্রামের বাড়ি শেরপুর সদরের হরিণধরা গ্রামে। তার স্বামীর নাম রফিক। বর্তমানে রাজধানীর পূর্ব উলুন রামপুরা বন্ধু নিবাস এলাকায় থাকেন।

হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ বলেন, ‘৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে পুলিশের মোবাইল টিমের সদস্যরা সেখানে গিয়ে দেখে, ওই গৃহকর্মী বাসার নিচে বসে কান্নাকাটি করছেন।

এলাকার লোকজন বাসা ঘেরাও করে রেখেছে। পুলিশ দরজা ভেঙে একার বাসায় ঢোকে। প্রায় তিন মাস ধরে ওই বাসায় কাজ করতেন গৃহকর্মী। বকেয়া বেতন দেয়া নিয়ে তাকে মারধর করা হয়েছে। তার হাতে, পায়ে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’

ট্যাগস

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

পৃথক দুই মামলায় চিত্রনায়িকা একার রিমান্ড নামঞ্জুর

আপডেট সময় ০৪:১১:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অগাস্ট ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : হত্যার উদ্দেশে মারধর ও মাদকদ্রব্য আইনে করা পৃথক দুই মামলায় চিত্রনায়িকা একার রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১ আগস্ট) তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর হাতিরঝিল থানায় হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর ও মাদকদ্রব্য আইনে করা পৃথক দুই মামলার সুষ্ঠুতদন্তের জন্য তাকে তিন দিন করে ছয় দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ।

শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

এর আগে শনিবার তার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) হাতিরঝিল থানায় দুটি মামলা হয়েছে। নির্যাতনের অভিযোগে তার গৃহকর্মী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। অপর মামলাটি একার বাসায় মাদক পাওয়ার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে করেছে।

এদিন সন্ধ্যায় গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে চিত্রনায়িকা একাকে আটক করে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। এ সময় তার বাসা থেকে পাঁচ পিস ইয়াবা, পঞ্চাশ গ্রাম গাঁজা এবং অর্ধেক বোতল কেরু মদ জব্দ করা হয়।

জানা গেছে, একার বাসায় তিন মাস ধরে কাজ করেন এক গৃহকর্মী। এক মাসের বেতন দিলেও দুই মাসের বকেয়া বেতন চাইতে গেলে ইট দিয়ে আঘাত করে গৃহকর্মীকে আহত করেন নায়িকা একা।

শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওই গৃহকর্মী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

আহত গৃহকর্মীর দেবর আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভাবি গত তিন মাস ধরে নায়িকা একার বাসায় কাজ করতেন।

প্রথমে তার বেতন তিন হাজার টাকা হলেও পরবর্তীতে কাজ বেড়ে যাওয়ায় পাঁচ হাজার টাকা ঠিক হয়। প্রথম মাসের বেতন তিন হাজার টাকা দিলেও গত দুই মাসের বেতন একসঙ্গে চাইতে গেলে নায়িকা একা ভাবিকে ইট দিয়ে আঘাত করে। এরপর সন্ধ্যার দিকে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’

আহত গৃহকর্মীর গ্রামের বাড়ি শেরপুর সদরের হরিণধরা গ্রামে। তার স্বামীর নাম রফিক। বর্তমানে রাজধানীর পূর্ব উলুন রামপুরা বন্ধু নিবাস এলাকায় থাকেন।

হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ বলেন, ‘৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে পুলিশের মোবাইল টিমের সদস্যরা সেখানে গিয়ে দেখে, ওই গৃহকর্মী বাসার নিচে বসে কান্নাকাটি করছেন।

এলাকার লোকজন বাসা ঘেরাও করে রেখেছে। পুলিশ দরজা ভেঙে একার বাসায় ঢোকে। প্রায় তিন মাস ধরে ওই বাসায় কাজ করতেন গৃহকর্মী। বকেয়া বেতন দেয়া নিয়ে তাকে মারধর করা হয়েছে। তার হাতে, পায়ে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’