ক্রীড়া ডেস্ক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখনও ঊর্ধ্বমুখী বিশ্বের অনেক দেশে। খোদ জাপানও নিরাপদ নয়। এর মধ্যেই রাজধানী টোকিওতে ১১ হাজারের বেশি ক্রীড়াবিদকে নিয়ে দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ অলিম্পিক আয়োজনের কঠিন চ্যালেঞ্জটাই হাতে নিয়েছে আইওসি (ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি)।
বুধবার থেকেই শুরু হয়ে গেছে অলিম্পিকের কিছু ইভেন্টের খেলা। তবে গেমসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন আজ। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পর্দা উঠবে গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের ৩২তম আসরের। কিন্তু করোনার কারণে অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকেও স্রেফ নামকাওয়াস্তে করে তুলতে হয়েছে।
দর্শক প্রবেশের অনুমতি নেই। করোনার কারণে কঠোর নিয়ম এবং স্বাস্থ্যবিধি তৈরি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে পুরো আসরটাই শুরুর আগে অনেকটা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে অলিম্পিক। অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী অ্যাথলেটের সংখ্যা ১১ হাজার প্লাস। নিয়মানুযায়ী প্রতিটি দেশের অ্যাথলেটরাই মার্চপাস্টে অংশগ্রহণ করে থাকেন।
জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের এটা অন্যতম একটি আকর্ষণ। আয়োজক কর্মকর্তা-কর্মচারি, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কলা-কুশলীসহ আরও কয়েক হাজার মানুষ জড়িত থাকেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সঙ্গে। এছাড়া স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা অনুসারে দর্শক তো থাকেনই।
সব মিলিয়ে অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়ে থাকে দারুণ জমজমাট। কিন্তু এবার এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য বেশ কিছু গাইডলাইন তৈরি করেছে আয়োজকরা। অলিম্পিক প্যারেডের সময় অ্যাথলেটদের উপস্থিতি করা হয়েছে ঐচ্ছিক। কর্মকর্তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি থাকবেন জাপানের রাজা নারুহিতো। কিছু বিশেষ অতিথি উপস্থিত থাকবেন অনুষ্ঠানের মঞ্চে। প্রতিটি দলের অ্যাথলেট, কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক যে পর্বটা থাকবে, তার শিল্পী, কলা-কুশলীরা উপস্থিত থাকবেন এবং সবাইকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে হবে।
এবারের অলিম্পিকে ৩৩টি খেলার ৫০টি ডিসিপ্লিনে ৩৩৯টি ইভেন্ট তথা স্বর্ণপদকের জন্য লড়বেন প্রায় ২০৫টি দেশের ১১ হাজার ৩২৪ জন ক্রীড়াবিদ। বাংলাদেশ থেকে ৬ জন ক্রীড়াবিদ রয়েছেন এবারের অলিম্পিকে।