ঢাকা ১২:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীন আনল বিশ্বের দ্রুততম ট্রেন ম্যাগলেভ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বের দ্রুততম স্থলযান ‘ম্যাগলেভ ট্রেন’ সামনে আনল চীন। এর সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৬০০ কিলোমিটার। মঙ্গলবার (২০ জুলাই) চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ম্যাগলেভ ট্রেন চলবে বিদ্যুৎ-চুম্বকীয় শক্তি (ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক ফোর্স) ব্যবহার করে। তবে সেটি রেললাইনকে স্পর্শ করবে না। ঘর্ষণজনিত তাপ এড়াতে ট্রেন এবং লাইনের মধ্যে কিছুটা ফাঁক থাকবে। অর্থাৎ লাইনের ওপর ভাসমান অবস্থায় চলাচল করবে অত্যাধুনিক ট্রেনটি।

চীনের নিজস্ব আবিষ্কৃত এবং উপকূলীয় শহর কিংদাওয়ে তৈরি এই ট্রেনটি সর্বোচ্চ গতিতে চললে সেটি হবে বিশ্বের মধ্যে স্থলভাগে চলাচলকারী যানবাহনের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততম।

চীন প্রায় দুই দশক ধরে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসছে, তবে তা খুবই সীমিত পরিসরে। সাংহাইয়ের একটি বিমানবন্দর থেকে শহরের ভেতর চলাচলের জন্য ছোটখাটো ম্যাগলেভ লাইন রয়েছে। তবে চীনে এখনো এমন কোনো আন্তঃশহর বা আন্তঃপ্রদেশ ম্যাগলেভ লাইন তৈরি হয়নি, যা দ্রুতগতির এই ট্রেনের সদ্ব্যবহার করতে পারে।

এ ধরনের লাইন তৈরি হলে বেইজিং থেকে সাংহাইয়ের মধ্যকার এক হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে মাত্র আড়াই ঘণ্টা। এর সঙ্গে তুলনা করলে প্লেনে এই পথ যেতে সময় লাগে তিন ঘণ্টা এবং উচ্চগতির ট্রেনে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা।

চীনের পাশাপাশি জাপান এবং জার্মানির মতো দেশগুলোও ম্যাগলেভ নেটওয়ার্ক তৈরির চেষ্টা করছে। তবে অতিরিক্ত খরচ এবং অবকাঠামোগত দুর্বলতা এর মাঝে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ট্যাগস

চীন আনল বিশ্বের দ্রুততম ট্রেন ম্যাগলেভ

আপডেট সময় ০৭:০৯:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুলাই ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বের দ্রুততম স্থলযান ‘ম্যাগলেভ ট্রেন’ সামনে আনল চীন। এর সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৬০০ কিলোমিটার। মঙ্গলবার (২০ জুলাই) চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ম্যাগলেভ ট্রেন চলবে বিদ্যুৎ-চুম্বকীয় শক্তি (ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক ফোর্স) ব্যবহার করে। তবে সেটি রেললাইনকে স্পর্শ করবে না। ঘর্ষণজনিত তাপ এড়াতে ট্রেন এবং লাইনের মধ্যে কিছুটা ফাঁক থাকবে। অর্থাৎ লাইনের ওপর ভাসমান অবস্থায় চলাচল করবে অত্যাধুনিক ট্রেনটি।

চীনের নিজস্ব আবিষ্কৃত এবং উপকূলীয় শহর কিংদাওয়ে তৈরি এই ট্রেনটি সর্বোচ্চ গতিতে চললে সেটি হবে বিশ্বের মধ্যে স্থলভাগে চলাচলকারী যানবাহনের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততম।

চীন প্রায় দুই দশক ধরে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসছে, তবে তা খুবই সীমিত পরিসরে। সাংহাইয়ের একটি বিমানবন্দর থেকে শহরের ভেতর চলাচলের জন্য ছোটখাটো ম্যাগলেভ লাইন রয়েছে। তবে চীনে এখনো এমন কোনো আন্তঃশহর বা আন্তঃপ্রদেশ ম্যাগলেভ লাইন তৈরি হয়নি, যা দ্রুতগতির এই ট্রেনের সদ্ব্যবহার করতে পারে।

এ ধরনের লাইন তৈরি হলে বেইজিং থেকে সাংহাইয়ের মধ্যকার এক হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে মাত্র আড়াই ঘণ্টা। এর সঙ্গে তুলনা করলে প্লেনে এই পথ যেতে সময় লাগে তিন ঘণ্টা এবং উচ্চগতির ট্রেনে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা।

চীনের পাশাপাশি জাপান এবং জার্মানির মতো দেশগুলোও ম্যাগলেভ নেটওয়ার্ক তৈরির চেষ্টা করছে। তবে অতিরিক্ত খরচ এবং অবকাঠামোগত দুর্বলতা এর মাঝে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে।