স্টাফ রিপোর্টা : এক লাখ টাকার জাল নোট তৈরিতে খরচ মাত্র ৪ হাজার টাকা। পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি হয় ১৫ হাজার টাকায়। কয়েক হাত ঘুরে ভোক্তা পর্যায়ে গিয়ে হয়ে যায় পুরো এক লাখ টাকা। রাজধানীর ভাটারায় জাল নোট তৈরির পর সারা দেশে ছড়িয়ে দিতো রহিম-ফাতেমা দম্পতি।
রাজধানীর ভাটারার নূরের চালা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে জাল টাকা তৈরি করতেন রহিম-ফাতেমা দম্পতি। এক নয় দুই নয়, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে তারা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। সারা দেশে জাল টাকা ছড়িয়ে দিতে তাদের রয়েছে ডিলার। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়েক কোটি টাকা বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের।
রহিম জানান, ২০১০ সালে ঢাকা আসার পর মানুষের কাছ থেকে কিনে দোকোনে দোকানে টাকা ভাঙানোর কাজ করতাম। কাজটা যখন শিখি, দীর্ঘ ৬ মাস ধরে আমি আলাদাভাবে কাজটা করি। এর আগে আমি যখন দোকানে ভাঙানোর কাজ করতাম সেই সময় দুবার গ্রেপ্তার হয়েছিলাম।
রহিমের স্ত্রী জানান, ঘরের কাজের ফাঁকে তাকে কিছুটা সহযোগিতা করেছি। অভিযান চালিয়ে ৪৩ লাখ জাল টাকা ও টাকা তৈরির উপকরণ জব্দ করার কথা জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।
তিনি বলেন, জাল টাকা ৪৩ লাখ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে টাকা ক্রয় করা জন্য ৩ জন ব্যক্তি এসেছিল। প্রাথমিকভাবে তারা জানায়, ঈদুল আজহা আসছে, তাই জাল টাকা বানানোর কাজ তারা শুরু করে দেয়।
এ দম্পতি এর আগেও জাল টাকা তৈরি করতে গিয়ে একাধিকারবার গ্রেপ্তার হয়েছিল। পুলিশ বলছে, এ ধরনের অপরাধীরা যেন সহজে জামিনে বের হতে না পারেন সেজন্য নতুন আইন দরকার। ডিবির গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, তাদের অনেক পাইকারবারি ট্রেলর আছে।
গরুর হাট বা আলো-আধারির অন্ধকারে যখন কম শিক্ষিত মানুষ কেনাবেচা করে, তাদের মধ্যে তারা ভালো টাকা মন্দ টাকা মিলিয়ে দিতে থাকে। কোরবানি পশুর হাটে নগদ টাকা লেনেদেনে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ পুলিশের।