ঢাকা ০৩:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo চিন্ময়কে মুক্তি না দিলে সীমান্ত অবরোধের হুমকি বিজেপির Logo কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায়, অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত Logo ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ৬ Logo কারাগার থেকে বিএসএস পরীক্ষার নেওয়ার অনুমতি পেলেন রাজবাড়ীর সাবেক মেয়র Logo মাত্র ৭ রানে করেই অলআউট, টি-টোয়েন্টিতে লজ্জার বিশ্বরেকর্ড Logo যোগ্য মামলা না নিলে ওসিকে এক মিনিটে বরখাস্ত করে দেবো: ডিএমপি Logo রাজধানীতে ফের ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ Logo সাবেক আইজিপি মামুন ফের ৩ দিনের রিমান্ডে Logo গুগল ম্যাপ দেখে চলতে গিয়ে নির্মাণাধীন একটি সেতু থেকে গাড়ি পড়ল নদীতে, নিহত ৩ Logo অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা হবে বললেন সিইসি

নিলামে ওঠেছে ১২টি বিমান, কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পেলে কেজি দরে বিক্রি!

ডেক্স রিপোর্ট : ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে ১২টি বিমান। এর মধ্যে দশটি বিমান গত ৮ বছর ধরে কার্গো ভিলেজের জায়গা দখল করে আছে।

এসব পরিত্যক্ত প্লেনের (বিমান) কারণে কার্গোর মাল ওঠা-নামায় সমস্যা হয়। তাই জায়গা খালি করতে দীর্ঘদিন ধরে উপায় খুঁজছিল বেবিচক। ফলে জায়গা খালি করতে এবার বিমানগুলো নিলামে তুলবে বেবিচক। আর নিলামে কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পেলে কেজি দরে বিক্রি করে দেওয়া হবে।

সোমবার (১২ জুলাই) বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্র গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে নিলামের প্রক্রিয়া ঠিক করতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি নিলামের কর্মপদ্ধতি এবং সুপারিশমালাও দিয়েছে। এখন কেবল নিলাম আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পালা।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বর্তমানে বিমানবন্দরে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ৮টি, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের দুটি, জিএমজি এয়ারলাইন্স ও অ্যাভিয়েনা এয়ারলাইন্সের একটি করে প্লেন দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে। এদের মধ্যে রিজেন্ট বাদে সবগুলোই ৮ বছর ধরে একই অবস্থায় স্থান দখল করে আছে।

বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, এই প্লেনগুলোর পার্কিং চার্জ ও সারচার্জ বাবদ ৭৫০ কোটি টাকার মতো বকেয়া। তারা এই টাকা দিচ্ছে না।

বরং দীর্ঘদিন ধরে কার্গোর জায়গা দখল করে বেবিচকের রাজস্ব আদায়ের অন্যান্য পথ বন্ধ করে রেখেছে। এক অ্যাসেসমেন্টে বেবিচক দেখেছে, এই জায়গাগুলোতে মোট ৪টি সচল কার্গো অবস্থান করতে পারবে, যাতে আয় বাড়বে তাদের। তাই প্লেনগুলো নিলামের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদ-উল আহসান গণমাধ্যমকে বলেন, এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠানগুলো যদি প্লেনগুলো সেখান থেকে সরিয়ে না নেয় এবং টাকাও পরিশোধ না করে সেক্ষেত্রে সিভিল এভিয়েশনের রুল অনুযায়ী চেয়ারম্যান প্লেনগুলো বাজেয়াপ্ত করে নিলাম করার ক্ষমতা রাখেন।

এয়ারলাইন্সগুলোকে বেশ কয়েকবার প্লেন রাখার জন্য অর্থ পরিশোধ করতে অথবা প্লেন সরিয়ে নিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ‘প্লেনগুলো বাজেয়াপ্ত করা হবে’ বলে সতর্কও করা হয়েছে।

তারা কোনো সাড়া দেয়নি। বর্তমানে প্লেনগুলোর ডি-রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে বেবিচকের কমিটি যে কর্মপদ্ধতি সুপারিশ করেছে, সেই অনুযায়ী নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।

বেবিচকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে তারা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ থেকে ১৯০ কোটি, জিএমজি এয়ারলাইন্স থেকে ৩৬০ কোটি এবং রিজেন্ট থেকে ২০০ কোটি টাকা পাবে।

এই টাকা আদায়ের জন্যে তারা প্লেনগুলো নিলামে তুলতে চায়। কেউ যদি নিলামে প্লেনগুলো কিনতে আগ্রহী না হয় তাহলে ভাঙারি হিসেবে কেজি দরে বিক্রি করা হবে। শিগগিরই বিক্রির কর্মপদ্ধতির বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বেবিচক।

ট্যাগস

চিন্ময়কে মুক্তি না দিলে সীমান্ত অবরোধের হুমকি বিজেপির

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

নিলামে ওঠেছে ১২টি বিমান, কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পেলে কেজি দরে বিক্রি!

আপডেট সময় ০৫:০৩:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১

ডেক্স রিপোর্ট : ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে ১২টি বিমান। এর মধ্যে দশটি বিমান গত ৮ বছর ধরে কার্গো ভিলেজের জায়গা দখল করে আছে।

এসব পরিত্যক্ত প্লেনের (বিমান) কারণে কার্গোর মাল ওঠা-নামায় সমস্যা হয়। তাই জায়গা খালি করতে দীর্ঘদিন ধরে উপায় খুঁজছিল বেবিচক। ফলে জায়গা খালি করতে এবার বিমানগুলো নিলামে তুলবে বেবিচক। আর নিলামে কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পেলে কেজি দরে বিক্রি করে দেওয়া হবে।

সোমবার (১২ জুলাই) বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্র গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে নিলামের প্রক্রিয়া ঠিক করতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি নিলামের কর্মপদ্ধতি এবং সুপারিশমালাও দিয়েছে। এখন কেবল নিলাম আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পালা।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বর্তমানে বিমানবন্দরে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ৮টি, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের দুটি, জিএমজি এয়ারলাইন্স ও অ্যাভিয়েনা এয়ারলাইন্সের একটি করে প্লেন দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে। এদের মধ্যে রিজেন্ট বাদে সবগুলোই ৮ বছর ধরে একই অবস্থায় স্থান দখল করে আছে।

বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, এই প্লেনগুলোর পার্কিং চার্জ ও সারচার্জ বাবদ ৭৫০ কোটি টাকার মতো বকেয়া। তারা এই টাকা দিচ্ছে না।

বরং দীর্ঘদিন ধরে কার্গোর জায়গা দখল করে বেবিচকের রাজস্ব আদায়ের অন্যান্য পথ বন্ধ করে রেখেছে। এক অ্যাসেসমেন্টে বেবিচক দেখেছে, এই জায়গাগুলোতে মোট ৪টি সচল কার্গো অবস্থান করতে পারবে, যাতে আয় বাড়বে তাদের। তাই প্লেনগুলো নিলামের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদ-উল আহসান গণমাধ্যমকে বলেন, এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠানগুলো যদি প্লেনগুলো সেখান থেকে সরিয়ে না নেয় এবং টাকাও পরিশোধ না করে সেক্ষেত্রে সিভিল এভিয়েশনের রুল অনুযায়ী চেয়ারম্যান প্লেনগুলো বাজেয়াপ্ত করে নিলাম করার ক্ষমতা রাখেন।

এয়ারলাইন্সগুলোকে বেশ কয়েকবার প্লেন রাখার জন্য অর্থ পরিশোধ করতে অথবা প্লেন সরিয়ে নিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ‘প্লেনগুলো বাজেয়াপ্ত করা হবে’ বলে সতর্কও করা হয়েছে।

তারা কোনো সাড়া দেয়নি। বর্তমানে প্লেনগুলোর ডি-রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে বেবিচকের কমিটি যে কর্মপদ্ধতি সুপারিশ করেছে, সেই অনুযায়ী নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।

বেবিচকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে তারা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ থেকে ১৯০ কোটি, জিএমজি এয়ারলাইন্স থেকে ৩৬০ কোটি এবং রিজেন্ট থেকে ২০০ কোটি টাকা পাবে।

এই টাকা আদায়ের জন্যে তারা প্লেনগুলো নিলামে তুলতে চায়। কেউ যদি নিলামে প্লেনগুলো কিনতে আগ্রহী না হয় তাহলে ভাঙারি হিসেবে কেজি দরে বিক্রি করা হবে। শিগগিরই বিক্রির কর্মপদ্ধতির বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বেবিচক।