ঢাকা ১২:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :

মাছ পরিষ্কার করেই চলে সংসার

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ:  মাছের আঁইশ ছাড়ানোর ঝামেলায় অনেকেই পছন্দের মাছ খেতে পারেন না। হাত নোংরা হয়ে যাওয়া, হাতে আঁইশের গন্ধ হওয়ার ভয়ে মাছ কাটতে অনীহা অনেকেরই।

অনেক বাসা-বাড়িতে মাছ পরিষ্কারের ঝামেলা এড়াতে মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। তবে বাজারেই মাছ পরিষ্কারের ব্যবস্থা থাকায় এ ঝামেলা থেকে মুক্ত হয়েছেন গৃহিণীরা।

পরিষ্কার করা মাছ বাড়িতে নিয়ে গেলে একদিকে গৃহিণীরা যেমন খুশি হন, অন্যদিকে মাছ পরিষ্কার করেই জীবিকা নির্বাহ করছে একশ্রেণির মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নওগাঁ শহরের খুচরা মাছ বাজারে মাছ পরিষ্কারের জন্য রয়েছে ১৯টি স্টল। সেখানে ৩০ জন মাছ পরিষ্কার করাকে জীবিকা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে মাছ পরিষ্কার করার কাজ। এ কাজ করে প্রতিজন ৩০০-৫০০ বা তারও বেশি টাকা আয় করেন।

সাহাপুর গ্রামের মাছ পরিষ্কারক বিনয় সরকার  বলেন, ‘দিন খাটি দিন খাই। গত ১৫ বছর থেকে মাছ পরিষ্কার করে জীবিকা নির্বাহ করেছি। ছেলেমেয়েরা আলাদা হয়েছে। বাবাও এই পেশায় ছিলেন।’

তিনিসহ এখন চারজন একসঙ্গে মাছ পরিষ্কার করার কাজ করেন। দিন শেষে জনপ্রতি ৩০০-৫০০ টাকা ভাগে পান। এ দিয়েই বেশ ভালোভাবে তাদের দিন চলে যায়।

প্রতাপ চন্দ্র নামের একজন বললেন, ‘অনেক দিন থেকেই মাছ পরিষ্কার করার কাজ করছি। ছোট পরিবার। এখান থেকে যে আয় হয় তা দিয়ে সংসার ভালোই চলে।’

পরিষ্কারক বাবলু সরদার বয়সে প্রবীণ। তিনি  বলেন, ‘বাজারে যতক্ষণ মাছ থাকবে ততক্ষণ আমরা থাকি। মানুষ যত মাছ নিয়ে আসবে, আমরা তত টাকা পাব।

আমাদের নির্ধারিত কোনো রেট বান্ধা নাই। ক্রেতা চুক্তি করে মাছ পরিষ্কার করিয়ে নেয়। তারপরও বড়মাছ ২০ টাকা পিস, ছোটমাছ ১০ টাকা পিস ও খুচরা মাছ চুক্তিতে পরিষ্কার করা হয়। যতজন আমরা কাজ করি প্রতিদিন কমপক্ষে সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা আয় করে থাকি।’

প্রায় দুই কেজি ওজনের একটি সিলভার কার্প মাছ কিনে পরিষ্কার করিয়ে নিচ্ছিলেন শহরের মাস্টার পাড়ার বাসিন্দা সারোয়ার আলম।

তিনি  বলেন, ‘বাড়িতে গৃহিণীর পক্ষে এতো বড় মাছ পরিষ্কার করা কষ্টকর। কিছু টাকা খরচ হলেও ১০ মিনিটের মধ্যে বাজার থেকেই পরিষ্কার করে নিয়েছি।’

ট্যাগস

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

মাছ পরিষ্কার করেই চলে সংসার

আপডেট সময় ০৭:২১:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ:  মাছের আঁইশ ছাড়ানোর ঝামেলায় অনেকেই পছন্দের মাছ খেতে পারেন না। হাত নোংরা হয়ে যাওয়া, হাতে আঁইশের গন্ধ হওয়ার ভয়ে মাছ কাটতে অনীহা অনেকেরই।

অনেক বাসা-বাড়িতে মাছ পরিষ্কারের ঝামেলা এড়াতে মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। তবে বাজারেই মাছ পরিষ্কারের ব্যবস্থা থাকায় এ ঝামেলা থেকে মুক্ত হয়েছেন গৃহিণীরা।

পরিষ্কার করা মাছ বাড়িতে নিয়ে গেলে একদিকে গৃহিণীরা যেমন খুশি হন, অন্যদিকে মাছ পরিষ্কার করেই জীবিকা নির্বাহ করছে একশ্রেণির মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নওগাঁ শহরের খুচরা মাছ বাজারে মাছ পরিষ্কারের জন্য রয়েছে ১৯টি স্টল। সেখানে ৩০ জন মাছ পরিষ্কার করাকে জীবিকা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে মাছ পরিষ্কার করার কাজ। এ কাজ করে প্রতিজন ৩০০-৫০০ বা তারও বেশি টাকা আয় করেন।

সাহাপুর গ্রামের মাছ পরিষ্কারক বিনয় সরকার  বলেন, ‘দিন খাটি দিন খাই। গত ১৫ বছর থেকে মাছ পরিষ্কার করে জীবিকা নির্বাহ করেছি। ছেলেমেয়েরা আলাদা হয়েছে। বাবাও এই পেশায় ছিলেন।’

তিনিসহ এখন চারজন একসঙ্গে মাছ পরিষ্কার করার কাজ করেন। দিন শেষে জনপ্রতি ৩০০-৫০০ টাকা ভাগে পান। এ দিয়েই বেশ ভালোভাবে তাদের দিন চলে যায়।

প্রতাপ চন্দ্র নামের একজন বললেন, ‘অনেক দিন থেকেই মাছ পরিষ্কার করার কাজ করছি। ছোট পরিবার। এখান থেকে যে আয় হয় তা দিয়ে সংসার ভালোই চলে।’

পরিষ্কারক বাবলু সরদার বয়সে প্রবীণ। তিনি  বলেন, ‘বাজারে যতক্ষণ মাছ থাকবে ততক্ষণ আমরা থাকি। মানুষ যত মাছ নিয়ে আসবে, আমরা তত টাকা পাব।

আমাদের নির্ধারিত কোনো রেট বান্ধা নাই। ক্রেতা চুক্তি করে মাছ পরিষ্কার করিয়ে নেয়। তারপরও বড়মাছ ২০ টাকা পিস, ছোটমাছ ১০ টাকা পিস ও খুচরা মাছ চুক্তিতে পরিষ্কার করা হয়। যতজন আমরা কাজ করি প্রতিদিন কমপক্ষে সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা আয় করে থাকি।’

প্রায় দুই কেজি ওজনের একটি সিলভার কার্প মাছ কিনে পরিষ্কার করিয়ে নিচ্ছিলেন শহরের মাস্টার পাড়ার বাসিন্দা সারোয়ার আলম।

তিনি  বলেন, ‘বাড়িতে গৃহিণীর পক্ষে এতো বড় মাছ পরিষ্কার করা কষ্টকর। কিছু টাকা খরচ হলেও ১০ মিনিটের মধ্যে বাজার থেকেই পরিষ্কার করে নিয়েছি।’