স্টাফ রিপোর্টার :নায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি নাসির ইউ মাহমুদ বোট ক্লাবের আড়ালে নারী নির্যাতনের মূল হোতা। এরিমধ্যে ঢাকা বোট ক্লাবের নির্বাহী কমিটি থেকে তাকে বহিষ্কার করেছে কৃর্তপক্ষ।
পুলিশের অভিযোগ, ক্লাব ব্যবসার আড়ালে নারী কেলেঙ্কারি ও মদ-ইয়াবা ব্যবসা করতো নাসির। এছাড়া বাসা ভাড়া করে বার বা ড্যান্সক্লাব চালাতেন নাসির।
নাসির ইউ মাহমুদ ঢাকা বোট ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তিনি ৩৭ বছর ধরে আবাসন ব্যবসায় জড়িত। ১০ বছর ধরে কুঞ্জ ডেভেলপার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে। কুঞ্জ ডেভেলপার্সের আগে তিনি মাহমুদ বিল্ডার্স অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
এছাড়াও তিনি গণপূর্ত অধিদফতর, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর -এলজিইডি, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর, রাজউক, রেলওয়েসহ সরকারি-বেসরকারি নানা ঠিকাদারি কাজ করেন।
নাসির ইউ মাহমুদ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রির-বিএসিআই সাবেক নির্বাহী পরিষদের সদস্য। তিনি ২০১৫, ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে উত্তরা ক্লাবের নির্বাচিত সভাপতি, লায়ন ক্লাবের ঢাকা জোনের চেয়ারম্যানও ছিলেন। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়ামেরও একজন সদস্য নাসির ইউ মাহমুদ।
পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলার পর নির্বাহী কমিটি থেকে নাসিরকে বহিষ্কার করেছে ঢাকা বোট ক্লাব। সে সহ তার অপর দুই সহযোগী এবং মামলার আসামি তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শাহ এস আলমের সদস্য পদ স্থগিত করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ অস্বীকার করে নাসির ইউ মাহমুদ দাবি করেন, পরীমনি মাতাল অবস্থায় বাসায় মদ নিয়ে যেতে চাইলে, তাতে বাধা দেয়ায় বিপাকে পড়েন তিনি।