ঢাকা ০৭:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাছ ধরার জাহাজ ডুবি নিয়ে রহস্য

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতুর উজানে বড় বড় ঢেউ নেই। ঝড়ও ছিল না। এমন নদীতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডুবে গেছে সাগরে মাছ ধরার একটি জাহাজ। প্রতিকূল আবহাওয়া বা সংঘর্ষ ছাড়াই নদীতে অবস্থানরত জাহাজটি ডুবে যাওয়া নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে।

ডুবে যাওয়া মাছ ধরার জাহাজটির নাম এফভি ক্রিস্টাল-৮। জাহাজটির মালিকানা হামিদা দোজা লিমিটেডের। এটি চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহীমের পারিবারিক গ্রুপ ক্রিস্টাল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ঋণখেলাপি। মোরশেদ মুরাদ দেশ ছেড়ে কানাডায় পাড়ি জমিয়েছেন বছর খানেক আগে। এখন জাহাজটি আরেকটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এমভি প্রিন্স অব সীমান্ত -১ জাহাজের নাবিক শামীম মিয়া আজ বুধবার সকালে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে জাহাজটি কাত হয়ে যেতে দেখে তারা টর্চ লাইট ফেলে সতর্ক করেন। কোনো সাড়া শব্দ পাননি। একপর্যায়ে জাহাজটি ধীরে ধীরে ডুবে যেতে থাকে। কোনো জাহাজের সঙ্গেও সংঘর্ষ হয়নি বলে তিনি জানান।

যেখানে জাহাজটি ডুবেছে তা বন্দর জলসীমার আওতায় পড়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, জাহাজটি যেখানে ডুবেছে সেখানে বয়া দিয়ে চিহ্নিত করে দেওয়া হচ্ছে। জাহাজটি যেখানে ডুবেছে সেখানে সমুদ্রগামী জাহাজ চলাচল করে না। ফলে জাহাজ চলাচলে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

সদরঘাট নৌ পুলিশের ওসি এ বি এম মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, রাতে মাছ ধরার ট্রলারটি ডুবে গেছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

ট্যাগস

মাছ ধরার জাহাজ ডুবি নিয়ে রহস্য

আপডেট সময় ১২:৫০:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুন ২০২১

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতুর উজানে বড় বড় ঢেউ নেই। ঝড়ও ছিল না। এমন নদীতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডুবে গেছে সাগরে মাছ ধরার একটি জাহাজ। প্রতিকূল আবহাওয়া বা সংঘর্ষ ছাড়াই নদীতে অবস্থানরত জাহাজটি ডুবে যাওয়া নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে।

ডুবে যাওয়া মাছ ধরার জাহাজটির নাম এফভি ক্রিস্টাল-৮। জাহাজটির মালিকানা হামিদা দোজা লিমিটেডের। এটি চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহীমের পারিবারিক গ্রুপ ক্রিস্টাল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ঋণখেলাপি। মোরশেদ মুরাদ দেশ ছেড়ে কানাডায় পাড়ি জমিয়েছেন বছর খানেক আগে। এখন জাহাজটি আরেকটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এমভি প্রিন্স অব সীমান্ত -১ জাহাজের নাবিক শামীম মিয়া আজ বুধবার সকালে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে জাহাজটি কাত হয়ে যেতে দেখে তারা টর্চ লাইট ফেলে সতর্ক করেন। কোনো সাড়া শব্দ পাননি। একপর্যায়ে জাহাজটি ধীরে ধীরে ডুবে যেতে থাকে। কোনো জাহাজের সঙ্গেও সংঘর্ষ হয়নি বলে তিনি জানান।

যেখানে জাহাজটি ডুবেছে তা বন্দর জলসীমার আওতায় পড়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, জাহাজটি যেখানে ডুবেছে সেখানে বয়া দিয়ে চিহ্নিত করে দেওয়া হচ্ছে। জাহাজটি যেখানে ডুবেছে সেখানে সমুদ্রগামী জাহাজ চলাচল করে না। ফলে জাহাজ চলাচলে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

সদরঘাট নৌ পুলিশের ওসি এ বি এম মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, রাতে মাছ ধরার ট্রলারটি ডুবে গেছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।