ঢাকা ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ময়মনসিংহে ৯ মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

ময়মনসিংহের ফুলপুরে ৯ মাস পর কবর থেকে আব্দুল মান্নান নামে এক কৃষকের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

হত্যার অভিযোগে মামলা করায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার সিংহেশ্বর ইউনিয়নের ধনারভিটা মাইজ পাড়া গ্রাম থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়।

জানা যায়, উপজেলার সিংহেশ্বর ইউনিয়নের ধনারভিটা মাইজ পাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নান (৪৮) এর সঙ্গে একই গ্রামের মইজ উদ্দিনের সাথে পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগের তার টানানো নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছিল। পরে গত বছরের ৭ মার্চ সকাল  ১১টায় প্রতিপক্ষরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে পিটিয়ে ডান হাত ভেঙ্গে রক্তাক্ত করে।

পরে চিকিৎসারত অবস্থায় ফুলপুর রংধনু জেনারেল হাসপাতালে ওই বছরের ১৩ জুলাই হাতের অপারেশন করে মারা যান আব্দুল মান্নান। কিন্তু তার লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়নি। ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার লাশ জানাজা শেষে দাফন করা হয়।

এ ব্যাপারে নিহতের ছেলে মো. মোবারক হোসেন ওই বছরের ১৪ জুলাই মইজ উদ্দিন গং ও রংধনু জেনারেল হাসপাতালের মালিক মো. সুমন মিয়া ও ম্যানেজার খলিলুর রহমানসহ ১০ জনকে আসামি করে ময়মনসিংহ আদালতে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।

পরে আদালতের অনুমতিক্রমে বৃহস্পতিবার দুপুরে ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান, ফুলপুর থানার সেকেন্ড অফিসার আ. মোতালিব, (ওসি) তদন্ত মো. মাহবুর আলম, সিংহেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান ডা. এম এ মোতালিবসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আব্দুল মান্নানের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওসি ইমারত হোসেন গাজী লাশ উত্তোলনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আব্দুল মান্নানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পরই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

ট্যাগস

ময়মনসিংহে ৯ মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

আপডেট সময় ০৪:২১:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মার্চ ২০২১

ময়মনসিংহের ফুলপুরে ৯ মাস পর কবর থেকে আব্দুল মান্নান নামে এক কৃষকের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

হত্যার অভিযোগে মামলা করায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার সিংহেশ্বর ইউনিয়নের ধনারভিটা মাইজ পাড়া গ্রাম থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়।

জানা যায়, উপজেলার সিংহেশ্বর ইউনিয়নের ধনারভিটা মাইজ পাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নান (৪৮) এর সঙ্গে একই গ্রামের মইজ উদ্দিনের সাথে পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগের তার টানানো নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছিল। পরে গত বছরের ৭ মার্চ সকাল  ১১টায় প্রতিপক্ষরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে পিটিয়ে ডান হাত ভেঙ্গে রক্তাক্ত করে।

পরে চিকিৎসারত অবস্থায় ফুলপুর রংধনু জেনারেল হাসপাতালে ওই বছরের ১৩ জুলাই হাতের অপারেশন করে মারা যান আব্দুল মান্নান। কিন্তু তার লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়নি। ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার লাশ জানাজা শেষে দাফন করা হয়।

এ ব্যাপারে নিহতের ছেলে মো. মোবারক হোসেন ওই বছরের ১৪ জুলাই মইজ উদ্দিন গং ও রংধনু জেনারেল হাসপাতালের মালিক মো. সুমন মিয়া ও ম্যানেজার খলিলুর রহমানসহ ১০ জনকে আসামি করে ময়মনসিংহ আদালতে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।

পরে আদালতের অনুমতিক্রমে বৃহস্পতিবার দুপুরে ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান, ফুলপুর থানার সেকেন্ড অফিসার আ. মোতালিব, (ওসি) তদন্ত মো. মাহবুর আলম, সিংহেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান ডা. এম এ মোতালিবসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আব্দুল মান্নানের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওসি ইমারত হোসেন গাজী লাশ উত্তোলনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আব্দুল মান্নানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পরই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।