ঢাকা ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজধানীতে দুই শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টারঃ  রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় রামপুরা বনশ্রী ও বনানী কড়াইল বস্তিতে দুই শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে মরদেহ দুটি ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ।

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে অচেতন অবস্থায় নাদিয়াকে (২১) হাসপাতালে নিয়ে আসে তার বাবা শফিউল আলম। পরে চিকিত্সক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরিবারের বরাত দিয়ে বাচ্চু মিয়া জানান, নাদিয়া রামপুরা বনশ্রীর বি ব্লকের ছয় নম্বর রোডের ১০ নম্বর বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো। মতিঝিল সেন্টাল গভমেন্ট কলেজের বিজনেস ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলো সে। রাতে বাসাতেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

এদিকে কড়াইল বস্তির বউ বাজার ক ব্লকের একটি বাড়ি থেকে রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে পপি খাতুনের (১৩) মরদেহ উদ্ধার করে বনানী থানা পুলিশ।

মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনে বনানী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নওশাদ আলী উল্লেখ করেন, মায়ের সঙ্গে অভিমান করে রাতে ঘরের দরজা বন্ধ করে বাঁশের আঁড়ার সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় সে। পরে পরিবারের লোকজন দেখতে পেয়ে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে তাকে নামায়।

পপির বড় ভাই এখলাস মণ্ডল  জানান, স্থানীয় ইরান কনসেপ্ট একাডেমির ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিলো পপি। সে পড়ালেখা ঠিকমত করতো না, বাইরে ঘুরাঘুরি করতো, ঠিকমত খাবারও খেতো না। এইসব বিষয় নিয়ে রাতে মা তাকে বকাঝকা করে। এই কারণেই অভিমান করে সে ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দিয়ে।

ট্যাগস

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

রাজধানীতে দুই শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যু

আপডেট সময় ০২:৩১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

স্টাফ রিপোর্টারঃ  রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় রামপুরা বনশ্রী ও বনানী কড়াইল বস্তিতে দুই শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে মরদেহ দুটি ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ।

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে অচেতন অবস্থায় নাদিয়াকে (২১) হাসপাতালে নিয়ে আসে তার বাবা শফিউল আলম। পরে চিকিত্সক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরিবারের বরাত দিয়ে বাচ্চু মিয়া জানান, নাদিয়া রামপুরা বনশ্রীর বি ব্লকের ছয় নম্বর রোডের ১০ নম্বর বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো। মতিঝিল সেন্টাল গভমেন্ট কলেজের বিজনেস ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলো সে। রাতে বাসাতেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

এদিকে কড়াইল বস্তির বউ বাজার ক ব্লকের একটি বাড়ি থেকে রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে পপি খাতুনের (১৩) মরদেহ উদ্ধার করে বনানী থানা পুলিশ।

মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনে বনানী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নওশাদ আলী উল্লেখ করেন, মায়ের সঙ্গে অভিমান করে রাতে ঘরের দরজা বন্ধ করে বাঁশের আঁড়ার সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় সে। পরে পরিবারের লোকজন দেখতে পেয়ে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে তাকে নামায়।

পপির বড় ভাই এখলাস মণ্ডল  জানান, স্থানীয় ইরান কনসেপ্ট একাডেমির ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিলো পপি। সে পড়ালেখা ঠিকমত করতো না, বাইরে ঘুরাঘুরি করতো, ঠিকমত খাবারও খেতো না। এইসব বিষয় নিয়ে রাতে মা তাকে বকাঝকা করে। এই কারণেই অভিমান করে সে ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দিয়ে।