ঢাকা ০৬:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাদারীপুরে নিখোঁজের ১১ মাস পর স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার

মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুরের ডাসারে নিখোঁজের ১১ মাস পর প্রেমিকের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৯ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে ডাসার থানার পূর্ব বোতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মামলার অভিযোগ ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, পূর্ব বোতলা গ্রামের চাঁনমিয়া হাওলাদারের দশম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে মুর্শিদা আক্তারের সঙ্গে একই গ্রামের মজিদ আকনের ছেলে সাহাবুদ্দিন আকনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

সেই সূত্র ধরে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মুর্শিদাকে বাড়ি থেকে চিকিৎসা করানোর কথা বলে নিয়ে যায় সাহাবুদ্দিন। এরপর নিখোঁজ হয় মুর্শিদা।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদার পরিবার ডাসার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে ৪ মার্চ সাহাবুদ্দিনসহ পাঁচজনকে আসামি করে ডাসার থানায় মামলা করেন মুর্শিদার মা মাহিনুর বেগম।

পরিবার সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন মামলার কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তরের আবেদন করে বাদীপক্ষ।

গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর মাদারীপুর গোয়েন্দা পুলিশ মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে। এরপর গত ৩০ ডিসেম্বর মামলার আসামি সাহাবুদ্দিন আকন জামিন নিতে গেলে আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই তারিকুল ইসলাম আসামি সাহাবুদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

আদালত দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শনিবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে সাহাবুদ্দিন হত্যা ও মরদেহ গুম করার কথা স্বীকার করে। তার দেয়া তথ্যে রাতে সাহাবুদ্দিনের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মুর্শিদার গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত স্কুলছাত্রীর মামা টিপু সুলতান বলেন, ‘আমার ভাগ্নিকে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সাহাবুদ্দিন তুলে নিয়ে যায়। এরপর দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকার পর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ অসহযোগিতা করে।

পরে মামলা নিলেও আসামি গ্রেফতার করেনি। গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তভার গ্রহণের পর ক্লু উদ্ধার করা হয়েছে।’মাদারীপুর জেলা ডিবি পুলিশের অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) চৌধুরী রেজাউল করিম বলেন, ‘আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।

আদালত তাকে জামিন দেয়নি। পরে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন। আমরা তার তথ্যে মরদেহ উদ্ধার করেছি। তবে হত্যাকাণ্ডের পুরো ঘটনা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা সম্ভব হয়নি।’

ট্যাগস

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

মাদারীপুরে নিখোঁজের ১১ মাস পর স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় ০২:৫৫:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ জানুয়ারী ২০২১

মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুরের ডাসারে নিখোঁজের ১১ মাস পর প্রেমিকের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৯ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে ডাসার থানার পূর্ব বোতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মামলার অভিযোগ ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, পূর্ব বোতলা গ্রামের চাঁনমিয়া হাওলাদারের দশম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে মুর্শিদা আক্তারের সঙ্গে একই গ্রামের মজিদ আকনের ছেলে সাহাবুদ্দিন আকনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

সেই সূত্র ধরে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মুর্শিদাকে বাড়ি থেকে চিকিৎসা করানোর কথা বলে নিয়ে যায় সাহাবুদ্দিন। এরপর নিখোঁজ হয় মুর্শিদা।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদার পরিবার ডাসার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে ৪ মার্চ সাহাবুদ্দিনসহ পাঁচজনকে আসামি করে ডাসার থানায় মামলা করেন মুর্শিদার মা মাহিনুর বেগম।

পরিবার সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন মামলার কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তরের আবেদন করে বাদীপক্ষ।

গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর মাদারীপুর গোয়েন্দা পুলিশ মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে। এরপর গত ৩০ ডিসেম্বর মামলার আসামি সাহাবুদ্দিন আকন জামিন নিতে গেলে আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই তারিকুল ইসলাম আসামি সাহাবুদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

আদালত দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শনিবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে সাহাবুদ্দিন হত্যা ও মরদেহ গুম করার কথা স্বীকার করে। তার দেয়া তথ্যে রাতে সাহাবুদ্দিনের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মুর্শিদার গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত স্কুলছাত্রীর মামা টিপু সুলতান বলেন, ‘আমার ভাগ্নিকে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সাহাবুদ্দিন তুলে নিয়ে যায়। এরপর দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকার পর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ অসহযোগিতা করে।

পরে মামলা নিলেও আসামি গ্রেফতার করেনি। গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তভার গ্রহণের পর ক্লু উদ্ধার করা হয়েছে।’মাদারীপুর জেলা ডিবি পুলিশের অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) চৌধুরী রেজাউল করিম বলেন, ‘আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।

আদালত তাকে জামিন দেয়নি। পরে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন। আমরা তার তথ্যে মরদেহ উদ্ধার করেছি। তবে হত্যাকাণ্ডের পুরো ঘটনা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা সম্ভব হয়নি।’