ঢাকা ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধামইরহাটে ভূয়া পশু চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গরু মেরে ফেলার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ:  নওগাঁর ধামইরহাটে ভূয়া পশু চিকিৎসকে ছয়লাব হয়ে গেছে। কোন প্রকার প্রশিক্ষণ ও নিবন্ধণ ছাড়াই দেদারছে চলছে এসব চিকিৎসা নামের অপচিকিৎসা, ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে গ্রামের সাধারণ মানুষ।

সকাল বেলায় হাফ ডজণ খানেক ইনজেকশন, রাতেই বেলায় গরুর ইন্তেকাল, ক্ষতি প্রায় লাখ টাকা। এমন ঘটনা ঘটেছে রোববার দিবাগত রাতে।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, উপজেলার রামরামপুর (মনিপুর) গ্রামের মৃত আফতাব উদ্দিনের ভান্ডারির ছেলে হাবিবুর রহমানের ঘাড় গরু অসুস্থ হলে ২৭ ডিসেম্বর সকাল ৯ টায়স্থানীয় পশু চিকিৎসক নামের ভূয়া চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম সেবা দিতে এসে ৫টি ইনজেকশন পুশ করে।

রাতেই গরুটি মারা গেলে ২৮ ডিসেম্বর সকালে উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসে গরুটি নিয়ে আসলে প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. এমরান আলী ভূয়া পশু চিকিৎসককে মোবাইল কোর্টে নেন।

এ সময় মোবাইল কোর্টের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট  ভূয়া পল্লী পশু চিকিৎসক আমিনুল ইসলামকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। তবে গরুর মালিক হতভাগার কপালে কিছুই জোটে নি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ভূয়া চিকিৎসক তার নিবন্ধন না করার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি অন্যায় করেছি, তার জন্য জরিমানাও গুনেছি, আর আমার মত আরও শতাধিক নিবন্ধন বিহীন চিকিৎসক আছে।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. এমরান আলী বলেন, প্রাণি সম্পদ অফিসে না এসে ভূয়া প্রশিক্ষণ বিহীন হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে ভুল চিকিৎসার জন্য এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে, নাম সর্বস্ব ওই চিকিৎসকের নিবন্ধন না থাকায় তার জরিমানা করা হয়েছে, পর্যায়ক্রমে সকলকেই আইনের আওতায় আনা হবে।

ট্যাগস

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

ধামইরহাটে ভূয়া পশু চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গরু মেরে ফেলার অভিযোগ

আপডেট সময় ০৮:০৩:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ:  নওগাঁর ধামইরহাটে ভূয়া পশু চিকিৎসকে ছয়লাব হয়ে গেছে। কোন প্রকার প্রশিক্ষণ ও নিবন্ধণ ছাড়াই দেদারছে চলছে এসব চিকিৎসা নামের অপচিকিৎসা, ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে গ্রামের সাধারণ মানুষ।

সকাল বেলায় হাফ ডজণ খানেক ইনজেকশন, রাতেই বেলায় গরুর ইন্তেকাল, ক্ষতি প্রায় লাখ টাকা। এমন ঘটনা ঘটেছে রোববার দিবাগত রাতে।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, উপজেলার রামরামপুর (মনিপুর) গ্রামের মৃত আফতাব উদ্দিনের ভান্ডারির ছেলে হাবিবুর রহমানের ঘাড় গরু অসুস্থ হলে ২৭ ডিসেম্বর সকাল ৯ টায়স্থানীয় পশু চিকিৎসক নামের ভূয়া চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম সেবা দিতে এসে ৫টি ইনজেকশন পুশ করে।

রাতেই গরুটি মারা গেলে ২৮ ডিসেম্বর সকালে উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসে গরুটি নিয়ে আসলে প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. এমরান আলী ভূয়া পশু চিকিৎসককে মোবাইল কোর্টে নেন।

এ সময় মোবাইল কোর্টের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট  ভূয়া পল্লী পশু চিকিৎসক আমিনুল ইসলামকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। তবে গরুর মালিক হতভাগার কপালে কিছুই জোটে নি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ভূয়া চিকিৎসক তার নিবন্ধন না করার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি অন্যায় করেছি, তার জন্য জরিমানাও গুনেছি, আর আমার মত আরও শতাধিক নিবন্ধন বিহীন চিকিৎসক আছে।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. এমরান আলী বলেন, প্রাণি সম্পদ অফিসে না এসে ভূয়া প্রশিক্ষণ বিহীন হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে ভুল চিকিৎসার জন্য এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে, নাম সর্বস্ব ওই চিকিৎসকের নিবন্ধন না থাকায় তার জরিমানা করা হয়েছে, পর্যায়ক্রমে সকলকেই আইনের আওতায় আনা হবে।