মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: নিখোঁজ হওয়ার এক মাস ২০ দিন পর মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে রফিকুল ইসলাম রনি (৪৮) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
৩ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানায় নিখোঁজের একটি ডায়েরি করেছিলেন তার ভাই।পুলিশ তদন্ত করে মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত রনি ফতুল্লা এলাকার মৃত কাজি জাহির উদ্দিনের ছেলে।এ ঘটনায় অভিযুক্ত নিহতের খালা রুমা (৫১) ও গৃহপরিচারিকা আম্বিয়া (৩৬) নামে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জ সদরের রামপাল ইউনিয়নের শিকদারবাড়ি গ্রামের একটি পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ জানিয়েছে, রনির সঙ্গে তার খালা রুমার দীর্ঘদিনের অনৈতিক সম্পর্ক চলছিল। ঢাকার বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা রুমা মুন্সিগঞ্জের রামপালের পৈত্রিক বাড়িতে রনির সঙ্গে অবস্থান করে আসছিলেন।
৪ নভেম্বর সকালে রুমার বাড়িতে আসেন রনি। এসময় স্থানীয় কামাল নামে এক ব্যক্তি তার বাড়িতে আসেন। এরপর ভয় পেয়ে রনি বাড়ির বিছানার নিচে থাকা কাঠের বাক্সের ভেতরে লুকিয়ে পড়েন। কাঠের বাক্সটি বাহির থেকে বন্ধ হয়ে যায় এবং সেখানেই দেড় ঘণ্টার মতো আটকে থাকেন রনি। এরপর কামাল নামে ওই ব্যক্তি চলে গেলে রুমা খোঁজাখুজি করে অচেতন অবস্থায় রনিকে দেখতে পান। তারপর জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করলেও সাড়া শব্দ না করায় রনিকে কাপড়ে পেঁচিয়ে নিকটস্থ পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংকের ভেতর ফেলে দেন। আর এ কাজে গৃহপরিচারিকা সহযোগী হিসেবে ছিলেন বলে জানায় পুলিশ।
মুন্সিগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান জানান, ৪ নভেম্বর দিবাগত রাতে খালা ও গৃহপরিচারিকা রনিকে কাপড় পেঁচিয়ে সেপটিক ট্যাংকের ভেতর ফেলে দেয়। এর আগে ৩ নভেম্বর ফতুল্লা থানায় নিহতের ভাই একটি জিডি করেছিল। পুলিশ বিস্তারিত খতিয়ে দেখছে। মরদেহ মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।