ঢাকা ০৯:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বান্ধবীর বাড়ীতে বেড়াতে এসে গণধর্ষনের শিকার এক গার্মেন্টসকর্মী; গ্রেফতার ২

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ  ঢাকার নারায়ণগঞ্জ থেকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সহকর্মী বান্ধবীর বাড়ীতে বেড়াতে এসে সংঘবন্ধ গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক গার্মেন্টস কর্মী

এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মুল আসামি সোহেল মিয়া (৪০) সহ ওই কিশোরীর বান্ধবী আদুরী বেগমকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোহেল পলাশবাড়ী উপজেলার বাসুদেবপুর ভগবানপুর গ্রামের কমির মিয়ার ছেলে এবং আদুরী শাখাহার ইউনিয়নের চক মানিকপুর গ্রামের লুুৎফর রহমানের মেয়ে এবং জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী।

পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের দিঘিরহাট চক মানিকপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের মেয়ে আদুরী বেগম তার স্বামীসহ ঢাকার নারায়ণগঞ্জে ভাড়া বাসায় থেকে গার্মেন্টসে কাজ করে। একই বাসায় ভাড়া থেকে গার্মেন্টসে কাজ করে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী। এই সুবাদে আদুরীর সাথে ওই কিশোরীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়।

গত ১৩ নভেম্বর আদুরী বেগম গাইবান্ধায় তার বাবার বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে ওই কিশোরীকে নিয়ে আসে। আদুরীর সম্পর্কের দুলাভাই সোহেলের সাথে ওই কিশোরীকে ফুসলিয়ে শুক্রবার সোহেল মোটরসাইকেলযোগে ঘুরতে নিয়ে যায়। দিনভর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে রাতে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে সোহেলসহ তার ৪ জন বন্ধু মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে।

পরে ওই রাতে উপজেলার বালুয়াবাজার বাংলালিংক টাওয়ারের সামনে ধর্ষিতাকে ফেলে রেখে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। ওই রাস্তায় চলাচলকারি লোকজন শুক্রবার রাত ১টায় ওই কিশোরীর মুখে ঘটনা শুনে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং ধর্ষিতার বিবরণ মোতাবেক ৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়।

গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মেহেদী হাসান জানান, থানায় মামলা হওয়ার পর শনিবার অভিযান চালিয়ে সোহেল মিয়া ও আদুরী বেগমকে গ্রেফতার করা হয়।

এব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে ধর্ষিতার শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

ট্যাগস

বান্ধবীর বাড়ীতে বেড়াতে এসে গণধর্ষনের শিকার এক গার্মেন্টসকর্মী; গ্রেফতার ২

আপডেট সময় ০৬:১২:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ  ঢাকার নারায়ণগঞ্জ থেকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সহকর্মী বান্ধবীর বাড়ীতে বেড়াতে এসে সংঘবন্ধ গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক গার্মেন্টস কর্মী

এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মুল আসামি সোহেল মিয়া (৪০) সহ ওই কিশোরীর বান্ধবী আদুরী বেগমকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোহেল পলাশবাড়ী উপজেলার বাসুদেবপুর ভগবানপুর গ্রামের কমির মিয়ার ছেলে এবং আদুরী শাখাহার ইউনিয়নের চক মানিকপুর গ্রামের লুুৎফর রহমানের মেয়ে এবং জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী।

পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের দিঘিরহাট চক মানিকপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের মেয়ে আদুরী বেগম তার স্বামীসহ ঢাকার নারায়ণগঞ্জে ভাড়া বাসায় থেকে গার্মেন্টসে কাজ করে। একই বাসায় ভাড়া থেকে গার্মেন্টসে কাজ করে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী। এই সুবাদে আদুরীর সাথে ওই কিশোরীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়।

গত ১৩ নভেম্বর আদুরী বেগম গাইবান্ধায় তার বাবার বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে ওই কিশোরীকে নিয়ে আসে। আদুরীর সম্পর্কের দুলাভাই সোহেলের সাথে ওই কিশোরীকে ফুসলিয়ে শুক্রবার সোহেল মোটরসাইকেলযোগে ঘুরতে নিয়ে যায়। দিনভর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে রাতে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে সোহেলসহ তার ৪ জন বন্ধু মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে।

পরে ওই রাতে উপজেলার বালুয়াবাজার বাংলালিংক টাওয়ারের সামনে ধর্ষিতাকে ফেলে রেখে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। ওই রাস্তায় চলাচলকারি লোকজন শুক্রবার রাত ১টায় ওই কিশোরীর মুখে ঘটনা শুনে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং ধর্ষিতার বিবরণ মোতাবেক ৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়।

গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মেহেদী হাসান জানান, থানায় মামলা হওয়ার পর শনিবার অভিযান চালিয়ে সোহেল মিয়া ও আদুরী বেগমকে গ্রেফতার করা হয়।

এব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে ধর্ষিতার শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।