এম আর রকি : টেবিলে কনুইয়ের উপর ভর করে প্রতিপক্ষ কে শক্ত হাতে মোকাবিলা করার লড়াই । মুষ্টি বদ্ধ হাতে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার ছিল টান টান উত্তজেনা ।
গ্রামীণ ঐতিহ্য বাহি খেলা পাঞ্জা লড়াইয়ের জমকালো আয়োজন হয়ে গেল নওগাঁর মহাদেবপুরের পল্লীতে। আর এ খেলা দেখতে ঢল নামে অগনিত দর্শনার্থীর । তরুণ প্রজন্ম কে দেশীয় সুস্থ ধারার খেলায় ফেরাতে এ আয়োজন বলছে আয়োজকরা ।
কার্তিকের হেমন্ত বিকেলে গ্রামীণ জনপদের মানুষের সময় টা কাটছে কিছুটা অখন্ড অবসরে । আর সেই অবসর সময় টাকে মাতিয়ে তুলতে শক্রবার নওগাঁর মহাদেবপুর আলি দেওনা গ্রামে আয়োজন করা হয় আবহমান বাংলার পাঞ্জা লড়ায় খেলা।
ওই গ্রামের কৃতি সন্তান ইঞ্জিনিয়ার ফায়সাল থাকেন ঢাকায় । ক্রীড়ানুরাগী ফায়সাল দেশীয় খেলা ধুলা নতুন প্রজম্মের কাছে তুলে ধরতে মানব কল্যান সংস্থা নামে একটি সংগঠন গড়েন । এ সংগঠনের উদ্যেগে আয়োজন পাঞ্জা লড়াই প্রতিযোগিতা ।
মাঠের চার পাশের অগনিত দর্শকের দৃষ্টি টেবিলের উপর কনুই দিয়ে ভর করা দু হাতের দিকে । মুষ্টি বদ্ধ শক্ত হাতে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জোর চেষ্টা । রেফারী বাঁশিতে ফুঁক দেওয়ার সাথে প্রতিপক্ষের হাতটি দমিয়ে রাখতে যখন ব্যস্ত খেলোয়ার, তখন দর্শকরা দিতে থাকে উৎসাহ ধ্বণী । অনেক দিন পর এমন আয়োজন দেখে আনন্দিত দর্শনার্থীরা । খেলা দেখতে আসা বেশ কয়েক জন জানান, অনেক দিন পর এমন আয়োজন দেখে তারা খুশি । সে সাথে ধন্যবাদ দেন আয়োজকদের ।
সুস্থধারার এমন খেলার আরো বেশি বেশি আয়োজন চান খেলোয়ারা । খেলায় অংশ নেওয়া সুকুমার জানান, এ খেলার মাধ্যমে শরীরে শক্তি অনুভত হয় । দেশীয় খেলা ধুলার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম কে অপ সংস্কৃতি থেকে দুরে রাখতে এ আয়োজন বলছে আয়োজকরা । মানব কল্যান সংস্থার প্রতিষ্টাতা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ফায়সাল জানান, করোনার এ সময় গ্রামের মানুষের মাঝে কিছু বিনোদন দেওয়া । তা ছাড়া এ খেলার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ঘটবে । যা করোনা কালে খুব জরুরী । সংস্থার উপ- পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, আমরা এর ধারা বাহিকতা ধরে রাখতে চেষ্টা করবো ।
খাজুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: বেলাল হোসেন বলেন, আমরা চাই দেশীয় খেলা ধুলায় সরকারী পৃষ্ট পোষকতা । যার মাধ্যমে তুরণ দের বিপথ গামী পথ থেকে ফেরানো যাবে ।
বিপুল দর্শনার্থী খেলা উপভোগ করে
স্থানীয় মানব কল্যান সংস্থা আয়োজিত খেলায় ১৬ জন পাঞ্জা প্রতি যোগি অংশ নেয় । ফাইণাল খেলায় ফটিক কে হারিয়ে সুকুমার বিজয়ী হয় ।