রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীর গোদাগাড়ী মডেল থানার চাঞ্চল্যকর এসিড হামলা মামলার একমাত্র আসামি ভিকটিমের স্বামী মুরাদ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫।
শুক্রবার (২ অক্টোবর) দিনগত গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে র্যাব সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তাকে র্যাব-৫এর সদর দপ্তরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে দুপুরের আগেই গোদাগাড়ী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের কথা রয়েছে। শনিবার (৩ অক্টোবর) সকালে মুরদকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৫এর কোম্পানি কমান্ডার এটিএম মাইনুল ইসলাম।
শুক্রবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রাণীনগর গ্রামে এসিড ছুঁড়ে গৃহবধূর মুখ ঝলসে দেন স্বামী।
গুরুতর আহত ওই গৃহবধূকে ওইদিন সকালে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এসিড দগ্ধ গৃহবধূর নাম মাহবুবা খাতুন (১৫)। তার বাবার নাম মাবুদ আলী।
তিনি একজন ট্রাকচালক। আর মাহবুবার স্বামীর নাম মুরাদ আলী। তিনি ট্রাকের হেলপার। মুরাদের বাবার নাম রাফিকুল। গোদাগাড়ীর কুমরপুর গ্রামে তাদের বাড়ি।
প্রায় দেড় বছর আগে ভালোবেসে মুরাদ ও মাহবুবা বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু কয়েকমাস ধরে তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। তাই চার মাস ধরে মাহবুবা রাণীনগর গ্রামে তার বাবার বাড়িতেই ছিলেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাতে জানালা দিয়ে ঘুমন্ত স্ত্রীর মুখে এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যান স্বামী মুরাদ। এসময় মাহবুবার মুখ ঝলসে গেলেও সামান্য আহত হন তার মা ও ছোট ভাই।
পরে চিৎকার করলে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাকে প্রেমতলী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার সকালে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। মাহাবুবা গোদাগাড়ীর রানীনগরের একটি মাদ্রাসায় দশম শ্রেণির ছাত্রী।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী প্রেমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার মো. হাফিজুর রহমান বলেন, দাহ্য পদার্থে গৃহবধূ মাহাবুবার মুখের বাম পাশে এবং জিহ্বা ও বুকের কিছু অংশ ঝলসে গেছে। তারপর তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়।