ঢাকা ১২:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মান্দায় পশুচিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভূল চিকিৎসায় গরু মৃত্যুর অভিযোগ

ভূল চিকিৎসায় একটি ষাঁড় গরুর মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ: নওগাঁর মান্দায় ভূল চিকিৎসায় ভূমিহীন পরিবারের একটি ষাঁড় গরুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে কথিত পশুচিকিৎসকের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে একমাত্র সম্বল গরুটি হারিয়ে দিশোহারা হয়ে পড়েছে পরিবারটি। ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী জামাল হোসেন।

স্থানীয়রা জানান, ভূমিহীন জামাল হোসেন পাকুড়িয়া গ্রামে সরকারি একটুকু সম্পত্তিতে ছোট্ট বসতঘর নির্মাণ করে সপরিবারে বসবাস করে আসছিলেন।

জামাল হোসেনের শারীরিক পরিশ্রমের আয় দিয়ে কোন রকমে সংসারের ভরণ-পোষণ চলে। তাদের এ দুরাবস্থায় বেসরকারি সংস্থা আশ্রয় একটি বাছুর গরু দান করে।

গরুটি প্রতিপালন করে বড় করছিল তারা। ভূল চিকিৎসা দিয়ে গরুটি মেরে ফেলায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে পরিবারটি।

ভুক্তভোগী জামাল হোসেন জানান, ‘আমার ঘরে বিবাহযোগ্য একটি মেয়ে রয়েছে। গরু বিক্রির টাকায় মেয়ের বিয়ে দেব এমন সিদ্ধান্ত ছিল আমাদের।

কিন্তু এক মাস আগে গরুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে গ্রামীণ পশু চিকিৎসক সাহাপুর গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্মরণাপন্ন হই। তখন গরুটিকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলেন তিনি।

এজন্য আমার নিকট থেকে ৭ হাজার টাকা বিল আদায় করা হয়েছে।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে আলমগীর ডাক্তার আমার বাড়িতে গিয়ে গরুর খোঁজখবর নেন।

এ সময় আমি বলি গরু সুস্থ রয়েছে।এরপরও আমার অনিচ্ছার বিরুদ্ধে ভিটামিনের কথা বলে তিনি গরুকে কয়েকটি ইনজেকশন পুশ করেন। এর দু’এক মিনিটের মধ্যেই মাটিতে পড়ে সটফট করতে করতে মারা যায় গরুটি।

এ ঘটনা দেখে অমার হাত থেকে ইনজেকশনের অ্যাম্পুলটি নিয়ে সটকে পড়েন আলমগীর হোসেন। এ ঘটনায় জামাল হোসেন বাদি হয়ে কথিত পশুচিকিৎসক আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে সুবিচার চেয়ে অভিযোগ দাখিল করেছেন।

এ বিষয়ে কথিত পশুচিকিৎসক আলমগীর হোসেন বলেন, গরুটিকে আমি শুধুমাত্র ভিটামিন ইনজেকশন পুশ করেছি। এতে গরুটি স্টোক করে মারা যেতে পারে বলে আমার ধারণা।

ল্যাবে পরীক্ষা করলেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অভিমান্য চন্দ্র বলেন, ‘বিষয়টি অবহিত হয়েছি। আলমগীর হোসেন কোন পশুচিকিৎসক নন।

তিনি একজন প্রজনন কর্মি। এ ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল হালিম জানান, ‘অভিযোগের বিষয়ে অবহিত নই। তবে, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগস

মান্দায় পশুচিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভূল চিকিৎসায় গরু মৃত্যুর অভিযোগ

আপডেট সময় ০৮:১১:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ: নওগাঁর মান্দায় ভূল চিকিৎসায় ভূমিহীন পরিবারের একটি ষাঁড় গরুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে কথিত পশুচিকিৎসকের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে একমাত্র সম্বল গরুটি হারিয়ে দিশোহারা হয়ে পড়েছে পরিবারটি। ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী জামাল হোসেন।

স্থানীয়রা জানান, ভূমিহীন জামাল হোসেন পাকুড়িয়া গ্রামে সরকারি একটুকু সম্পত্তিতে ছোট্ট বসতঘর নির্মাণ করে সপরিবারে বসবাস করে আসছিলেন।

জামাল হোসেনের শারীরিক পরিশ্রমের আয় দিয়ে কোন রকমে সংসারের ভরণ-পোষণ চলে। তাদের এ দুরাবস্থায় বেসরকারি সংস্থা আশ্রয় একটি বাছুর গরু দান করে।

গরুটি প্রতিপালন করে বড় করছিল তারা। ভূল চিকিৎসা দিয়ে গরুটি মেরে ফেলায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে পরিবারটি।

ভুক্তভোগী জামাল হোসেন জানান, ‘আমার ঘরে বিবাহযোগ্য একটি মেয়ে রয়েছে। গরু বিক্রির টাকায় মেয়ের বিয়ে দেব এমন সিদ্ধান্ত ছিল আমাদের।

কিন্তু এক মাস আগে গরুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে গ্রামীণ পশু চিকিৎসক সাহাপুর গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্মরণাপন্ন হই। তখন গরুটিকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলেন তিনি।

এজন্য আমার নিকট থেকে ৭ হাজার টাকা বিল আদায় করা হয়েছে।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে আলমগীর ডাক্তার আমার বাড়িতে গিয়ে গরুর খোঁজখবর নেন।

এ সময় আমি বলি গরু সুস্থ রয়েছে।এরপরও আমার অনিচ্ছার বিরুদ্ধে ভিটামিনের কথা বলে তিনি গরুকে কয়েকটি ইনজেকশন পুশ করেন। এর দু’এক মিনিটের মধ্যেই মাটিতে পড়ে সটফট করতে করতে মারা যায় গরুটি।

এ ঘটনা দেখে অমার হাত থেকে ইনজেকশনের অ্যাম্পুলটি নিয়ে সটকে পড়েন আলমগীর হোসেন। এ ঘটনায় জামাল হোসেন বাদি হয়ে কথিত পশুচিকিৎসক আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে সুবিচার চেয়ে অভিযোগ দাখিল করেছেন।

এ বিষয়ে কথিত পশুচিকিৎসক আলমগীর হোসেন বলেন, গরুটিকে আমি শুধুমাত্র ভিটামিন ইনজেকশন পুশ করেছি। এতে গরুটি স্টোক করে মারা যেতে পারে বলে আমার ধারণা।

ল্যাবে পরীক্ষা করলেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অভিমান্য চন্দ্র বলেন, ‘বিষয়টি অবহিত হয়েছি। আলমগীর হোসেন কোন পশুচিকিৎসক নন।

তিনি একজন প্রজনন কর্মি। এ ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল হালিম জানান, ‘অভিযোগের বিষয়ে অবহিত নই। তবে, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।