স্টাফ রিপোর্টার: নারী পাচারকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার ইভান শাহরিয়ার সোহাগকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ শনিবার এই আদেশ দেন।
ইভানকে কারাগারে পাঠানোর এই আদেশ প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকার মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) স্বপন কুমার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, লালবাগ থানার মানবপাচার মামলায় গ্রেপ্তার নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার ইভান শাহরিয়ারকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
অপরদিকে, আসামি ইভানের পক্ষে আদালতে জামিন আবেদন করা হয়। আগামীকাল জামিন আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। এ নিয়ে এ মামলায় মোট ছয়জন আসামি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।
সিআইডির অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক শেখ রেজাউল হায়দার জানান, বৃহস্পতিবার রাতে মানব পাচার মামলায় ইভানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুবাই পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতে গত মাসে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) আজম খানসহ তাঁর নারী পাচারকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তারের কথা জানায়।
তাঁদের মধ্যে তিনজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সেই জবানবন্দির ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইভানকে। পুলিশ বলছে, জবানবন্দিতে আজম খান ও তাঁর সহযোগীরা বলেছেন, এই চক্র মূলত ‘নৃত্য কেন্দ্রিক’ । কয়েকজন নৃত্য সংগঠক ও শিল্পী এই নেটওয়ার্কের অংশ। জড়িত আছেন ছোটখাটো ক্লাবের কর্ণধারেরাও।
টখাটো ক্লাব বা প্রতিষ্ঠানের যেসব নৃত্যশিল্পী গায়েহলুদসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে নাচ করেন, তাঁরাই ছিলেন এই পাচারকারী চক্রের প্রধান টার্গেট। দেশের বেশ কিছু জেলায় তাঁদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত।
পাচারের শিকার ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথাবার্তার পর সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মৃণাল কান্তি সাহা গত ২ জুলাই লালবাগ থানায় একটি মামলা করেন।
এজাহারে পাচারকারী আজমেরা তিন ভাই ছাড়াও আল আমিন হোসেন ওরফে ডায়মন্ড, মো. স্বপন হোসেন, নির্মল দাস (এজেন্ট), আলমগীর (দুবাই ক্লাবের সুপারভাইজার), আমান (এজেন্ট) ও শুভকে (এজেন্ট) আসামি করা হয়।