ডেস্ক: মহাকাশ বিজ্ঞানীরা মহাকাশে ৫০টি নতুন গ্রহ। নাসার দেওয়া পুরোনো তথ্য ও বিজ্ঞানীরা নিজেদের বুদ্ধিমত্তার (এআই) সাহায্যে এই ৫০টি সম্ভাব্য গ্রহ শনাক্ত করেছেন।
তারা প্রথমবার এই কৌশলটি ব্যবহার করেছে এবং এই গ্রহগুলো বিশ্লেষণ করে কোনটি আসল এবং কোনটি নকল তা নির্ধারণে সফল হয়েছেন। জানা গেছে নতুন এই গ্রহগুলো নেপচুনের মতো বৃহত্তর এবং পৃথিবীর চেয়ে ছোটো। আর এই সৌরজগতের কক্ষপথগুলি যা ২০০ দিন থেকে এক দিনের হিসেবে সামান্য পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
এই বিষয়ে ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ওই ৫০ টি গ্রহের মধ্যে কোন কোন গ্রহগুলোর বৈধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তা জানতে গণনাও করেছিলেন। এই বিষয়ে আরও জানতে একটি মেশিন লার্নিং-ভিত্তিক অ্যালগরিদমকের সাহায্যে নাসার কেপলার মিশন থেকে গ্রহের নমুনা এবং মিথ্যা ধনাত্মক ব্যবহার করে বৈধ গ্রহগুলো শনাক্ত করতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
এরপর, গবেষকরা কেপলার থেকে প্রচলিত অবৈধ গ্রহদের একটি ডেটাসেট তৈরিতে অ্যালগরিদম ব্যবহার করেছিলেন। ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. ডেভিড আর্মস্ট্রং গ্রহের বৈধতার শর্ত নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলেছিলেন যে, ‘এর আগে কেউ মেশিন লার্নিং-এর কৌশল ব্যবহার করেনি।’
তিনি আরও বলেন যে, মেশিন লার্নিং গ্রহগুলোর বৈধতার র্যাংকিং নির্ণয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। এছাড়াও আজ পর্যন্ত আমাদের জানা গ্রহগুলোর প্রায় ৩০ শতাংশ কেবলমাত্র একটি পদ্ধতি ব্যবহার করে বৈধ হয়েছে।
আর গ্রহদের বৈধতা এবং অবৈধতা নির্ণয়ের জন্য নতুন এই পদ্ধতিগুলো খুবই কার্যকর। তবে মেশিন লার্নিং এটি খুব সহজেই নির্ণয় করতে পারে এবং বৈধ গ্রহদের আরও দ্রুত অগ্রাধিকার দিতে সহায়তা করে।
সূত্র: ঢাকা টাইমস