ঢাকা ১২:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গৃহবধূ হত্যায় স্বামী-শ্বশুরের মৃত্যুদণ্ড

টাঙ্গাইল আদালত

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে গৃহবধূ তাসলিমা হত্যা মামলায় তার স্বামী ও শ্বশুরের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা গ্রামের জহিরুল ইসলাম (২৫) ও তার বাবা মজনু মিয়া (৫৫)।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি নাসিমুল আক্তার নাসিম বলেন, জহিরুল ইসলামের সঙ্গে একই উপজেলার কুঠিবয়রা গ্রামের সলিম উদ্দিনের মেয়ে তাসলিমা আক্তারের বিয়ে হয়।

বিয়ের পর থেকে যৌতুকের টাকা দাবি করে তাসলিমার ওপর নির্যাতন করা হতো। যৌতুকের দাবিকৃত দেড় লাখ টাকা না পেয়ে ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর তাসলিমাকে হত্যা করে মরদেহ যমুনা নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়।

তিনদিন পর ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী ঘাট থেকে তাসলিমার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে তার বাবা বাদী হয়ে ওই বছরের ১ ডিসেম্বর থানায় মামলা করেন।

পুলিশ তাসলিমার স্বামী জহিরুল ইসলাম ও শ্বশুর মজনু মিয়াকে গ্রেফতার করে। আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরবর্তীতে তারা জামিনে মুক্ত হন।

সোমবার তাদের আদালতে হাজির থাকার কথা থাকলেও আসামিরা উপস্থিত হননি। তাদের অনুপস্থিতিতেই আদালত রায় দেন। আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট খন্দকার ফায়েকুজ্জামান নাজিব মামলাটি পরিচালনা করেন।

ট্যাগস

গৃহবধূ হত্যায় স্বামী-শ্বশুরের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় ০৪:২২:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অগাস্ট ২০২০

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে গৃহবধূ তাসলিমা হত্যা মামলায় তার স্বামী ও শ্বশুরের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা গ্রামের জহিরুল ইসলাম (২৫) ও তার বাবা মজনু মিয়া (৫৫)।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি নাসিমুল আক্তার নাসিম বলেন, জহিরুল ইসলামের সঙ্গে একই উপজেলার কুঠিবয়রা গ্রামের সলিম উদ্দিনের মেয়ে তাসলিমা আক্তারের বিয়ে হয়।

বিয়ের পর থেকে যৌতুকের টাকা দাবি করে তাসলিমার ওপর নির্যাতন করা হতো। যৌতুকের দাবিকৃত দেড় লাখ টাকা না পেয়ে ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর তাসলিমাকে হত্যা করে মরদেহ যমুনা নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়।

তিনদিন পর ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী ঘাট থেকে তাসলিমার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে তার বাবা বাদী হয়ে ওই বছরের ১ ডিসেম্বর থানায় মামলা করেন।

পুলিশ তাসলিমার স্বামী জহিরুল ইসলাম ও শ্বশুর মজনু মিয়াকে গ্রেফতার করে। আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরবর্তীতে তারা জামিনে মুক্ত হন।

সোমবার তাদের আদালতে হাজির থাকার কথা থাকলেও আসামিরা উপস্থিত হননি। তাদের অনুপস্থিতিতেই আদালত রায় দেন। আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট খন্দকার ফায়েকুজ্জামান নাজিব মামলাটি পরিচালনা করেন।