ঢাকা ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে শাপলা ফুল তুলতো গিয়ে মারা গেছে ২ শিশু

শাপলা তুলতে গিয়েই পুকুরে ডুবে মারা যায় মাহিম ও রাহুল

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ সাত বছর বয়সী মাহিম ও পাঁচ বছরের রাহুল। শাপলা তোলার শখ তাদের। প্রতিদিনই বাড়ির লোকজনের চোখ ফাঁকি দিয়ে গ্রামের বিভিন্ন পুকুরে শাপলা তুলতো তারা।

এ শখই কাল হলো তাদের। সোমবার বিকেলে শাপলা তুলতে গিয়েই পুকুরে ডুবে মারা যায় মাহিম ও রাহুল। মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার রাওথা এলাকায়।

শিশু মাহিম পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর এলাকার মাহাবুর রহমানের ছেলে। চারঘাটের রাওথা এলাকার শফিকুল হকের একমাত্র ছেলে রাহুল। রাওথা এলাকায় নানা জিয়াউর রহমানের বাড়িতে থাকতো মাহিম। এ দুই শিশুর মৃত্যুতে পুরো এলাকায় এখন শোকের মাতম।

মৃত মাহিমের নানা জিয়াউর রহমান জানান, মাহিমের শাপলা তোলার এক ধরনের নেশা ছিলে। প্রতিদিনই বাড়ির লোকজনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সে বিভিন্ন পুকুরে শাপলা তুলতো।

সোমবার দুপুরের দিকে হঠাৎ করেই মাহিমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় মাহিমের সঙ্গে প্রতিবেশী শফিকুলের ছেলে রাহুলও নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে রেজাউল হক নামের এক ব্যক্তি জানান তাদের দুই শিশুকে স্থানীয়-

নবীর উদ্দিনের পুকুরের দিকে যেতে দেখেছেন। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এলাকাবাসীর সহায়তায় শুরু হয় পানিতে তল্লাশি। পরে ওই পুকুর থেকে মাহিম ও রাহুলের অচেতন দেহ উদ্ধার করা হয়।

দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই শিশুকেই মৃত ঘোষণা করেন। চারঘাট মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সমিত কুমার কুণ্ডু বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছে। এ নিয়ে আইনত ব্যবস্থাও নিচ্ছে পুলিশ।

ট্যাগস

রাজশাহীতে শাপলা ফুল তুলতো গিয়ে মারা গেছে ২ শিশু

আপডেট সময় ০৯:২৮:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অগাস্ট ২০২০

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ সাত বছর বয়সী মাহিম ও পাঁচ বছরের রাহুল। শাপলা তোলার শখ তাদের। প্রতিদিনই বাড়ির লোকজনের চোখ ফাঁকি দিয়ে গ্রামের বিভিন্ন পুকুরে শাপলা তুলতো তারা।

এ শখই কাল হলো তাদের। সোমবার বিকেলে শাপলা তুলতে গিয়েই পুকুরে ডুবে মারা যায় মাহিম ও রাহুল। মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার রাওথা এলাকায়।

শিশু মাহিম পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর এলাকার মাহাবুর রহমানের ছেলে। চারঘাটের রাওথা এলাকার শফিকুল হকের একমাত্র ছেলে রাহুল। রাওথা এলাকায় নানা জিয়াউর রহমানের বাড়িতে থাকতো মাহিম। এ দুই শিশুর মৃত্যুতে পুরো এলাকায় এখন শোকের মাতম।

মৃত মাহিমের নানা জিয়াউর রহমান জানান, মাহিমের শাপলা তোলার এক ধরনের নেশা ছিলে। প্রতিদিনই বাড়ির লোকজনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সে বিভিন্ন পুকুরে শাপলা তুলতো।

সোমবার দুপুরের দিকে হঠাৎ করেই মাহিমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় মাহিমের সঙ্গে প্রতিবেশী শফিকুলের ছেলে রাহুলও নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে রেজাউল হক নামের এক ব্যক্তি জানান তাদের দুই শিশুকে স্থানীয়-

নবীর উদ্দিনের পুকুরের দিকে যেতে দেখেছেন। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এলাকাবাসীর সহায়তায় শুরু হয় পানিতে তল্লাশি। পরে ওই পুকুর থেকে মাহিম ও রাহুলের অচেতন দেহ উদ্ধার করা হয়।

দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই শিশুকেই মৃত ঘোষণা করেন। চারঘাট মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সমিত কুমার কুণ্ডু বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছে। এ নিয়ে আইনত ব্যবস্থাও নিচ্ছে পুলিশ।