ঢাকা ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আদিবাসী নেতা আলফ্রেড সরেন হত্যার কুড়ি বছরে ও মিলেনি বিচার

আলফ্রেড সরেন এর ২০ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁঃ দিন, সপ্তাহ, মাস এভাবে বছরের পর বছর। এরপর দেড় যুগ পেরিয়ে আদিবাসী নেতা আলফ্রেড সরেন হত্যার বিচারের অপেক্ষায় কেটে গেলো ২০ বছর।

আজ (১৮ আগস্ট) বহুল আলোচিত নওগাঁর আদিবাসী নেতা আলফ্রেড সরেন এর ২০ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে। ২০ বছর আগে আদিবাসী-

নেতা আলফ্রেড সরেন ভূমি দস্যুদের হাতে নির্মম ভাবে নিহত হলেও এখনো ওই মামলার কোন সুরাহা হয়নি। ওই মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে আদিবাসীদের রয়েছে সংশয়।

তাদের অভিযোগ জামিনে থাকা আসামিরা তাদের অব্যাহত ভাবে হুমকী-ধমকি দেয়ায় ইতোমধ্যে অনেক আদিবাসী পরিবার নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর আদিবাসী পল্লী ত্যাগ করে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে অন্যত্র।

অভিযোগ আছে বর্তমানে যে ক’টি পরিবার এখনো বসবাস করছে তারা ভূমিদস্যুদের ভয়ে জমিতে চাষাবাদ করতেও পারছেনা। ফলে পরিবারগুলো চরম অভাব-

অনটন ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করছে। পল্লীর ছেড়ে মামলার সাক্ষীরা চলে যাওয়ায় মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান আলফ্রেড সরেন হত্যা মামলার বাদী আলফ্রেডের ছোট বোন রেবেকা সরেন।

নিহত আদিবাসী নেতা আলফ্রেড সরেনের ২০তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আজ (১৮ আগস্ট) বেলা ১১টায় ১ মিনিট নীরবতা, সমাধি প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও স্থানীয় কদমতলীর মোড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পাশাপাশি ভীমপুরে আলফ্রেড সরেনের সমাধিতে-

শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সিপিপি নওগাঁ জেলা সভাপতি মহাসিন রেজা, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের উপদেষ্টা এবং বাসদের জেলা সমন্বয়ক-

জয়নাল আবেদীন মুকুল, পঞ্চানন বর্মা-সকালই পাহান-সোনামণি সরেন সহরা ও রেবেকা সরেনের নেতৃত্বে জাতীয় আদিবাসী ইউনিয়ন, রবীন্দ্রনাথ সরেন এর নেতৃত্বে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ।

এছাড়াও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক মায়ের শাহরিয়ার রেজা, জেলা কমিটির সেক্রেটারি শামীম আহসানসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

সরজমিন নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর আদিবাসী পল্লীতে গিয়ে দেখা যায়, আলফ্রেড হত্যা মামলার জামিনে থাকা আসামিদের অব্যাহত হুমকী ধমকিতে ২৪টি পরিবারের মধ্যে বর্তমানে ৯টি পরিবার সেখানে বসবাস করছে।

বাকীরা প্রাণ বাঁচাতে অন্যত্র চলে গেছে। তবে অন্য স্থান থেকে এখানে এসে নতুন ৯ টি পরিবার বসবাস শুরু করেছে। নিহত আলফ্রেড সরেনের বৃদ্ধ বাবা গায়না সরেনও মারা গেছেন।

আলফ্রেড সরেনের স্ত্রী জোছনা সরেন এই পল্লীতে থাকেন না। আলফ্রেডের রেখে যাওয়া ৪ বছরে মেয়ে ঝর্ণা সরেন বড় হয়েছে। বিয়ে করে থাকছে ঢাকায়। চাকরি করছে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে।

আলফ্রেড সরেন হত্যাকাণ্ডের এক বছরের মাথায় তার মা ঠাকুরানী সরেন মৃত্যুবরণ করেন।

গত ১৮ আগস্ট ২০০০ সালের এইদিনে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর আদিবাসী পল্লীতে হাতেম-গদাই গংদের সন্ত্রাসীদের হামলায় আদিবাসী নেতা আলফ্রেড সরেন নৃশংসভাবে খুন হন।

ওই ঘটনায় সন্ত্রাসীরা ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে আদিবাসী পল্লীর ১১টি পরিবারের বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাটসহ অগ্নিসংযোগ করে। ওই সময় তাদের-

হামলায় আদিবাসী মহিলা-শিশুসহ প্রায় ৩০ জন মারাত্মক আহত হয়। ওই সন্ত্রাসী ঘটনার পর নিরাপত্তার জন্য সেখানে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয় । পরে তা গুটিয়ে নেয়া হয়।

এ মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এবং নওগাঁ জেলা সিপিবি’র সভাপতি এ্যাড. মহসীন রেজা জানান, আলফ্রেড সরেন হত্যার ঘটনায় তার বড় ভাই কমল সরেন ছোট বোন রেবেকা সরেন বাদী হয়ে হত্যা ও জননিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় পুলিশ ৯১জন আসামীর নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। এর মধ্যে পুলিশ কয়েক জন আসামীকে গ্রেফতার করে। ওই সময় নওগাঁ দায়রা-

জজ আদালতে মামলার সাক্ষী গ্রহণ শুরু হয় এবং ৪১জন সাক্ষীর মধ্যে সেই সময় ১৩ জনের সাক্ষী গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছিল। ৪ দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর জননিরাপত্তা আইন বাতিল করে।

ওই সময় পলাতক সীতেষ চন্দ্র ভট্টাচার্য ওরফে গদাই (প্রয়াত) ও হাতেম আলীসহ ৬০ জনের অধিক আসামী জননিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করলে জননিরাপত্তা আইনের সকল রিট হাইকোর্ট খারিজ করে দেয়।

এর ফলে আসামীরা জামিনে বেড়িয়ে আসে। এরপর বাদিগন অ্যাপিলেড ডিভিশনে মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে আলফ্রেড সরেন হত্যা মামলাটি অ্যাপিলেড-

ডিভিশন শুনানি অন্তে পূর্নাঙ্গ শুনানির জন্য হাইকোর্ট ডিভিশনে প্রেরণ করেছে। তিনি রিটগুলো দ্রুত শুনানি করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবী জানান।

জাতীয় আদিবাসী পরিষদের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন মুকুল বলেন, আদিবাসী নেতা আলফ্রেড সরেনকে হত্যার পর অগ্নিসংযোগ করে, নারী ও শিশুদের উপর নির্যাতন করে।

হত্যার পর জাতীয় আদিবাসী পরিষদের নেতৃত্বে জাতীয় নেতৃবৃন্দ নিয়ে ১৮/২০ হাজার লোকের সমন্বয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করে পরবর্তীতে সফল লড়াই করেছিলাম। তিনি বলেন, সারা দেশে আদিবাসীদের উপর নির্যাতন হচ্ছে।

সরকারের নিকট অবিলম্বে আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করন ও পৃথক স্বাধীন ভূমি কমিশন গঠনসহ হত্যাকারীদের-

দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান।নিহত আলফ্রেড সরেনের ছোট ভাই মহেশ্বর সরেন বলেন, আসামিরা এখনও আমাদেরকে হত্যার হুমকী দিচ্ছে।

৬৩ বিঘা জমির মধ্যে ৩৩ বিঘা জমি তারা জবরদখল করে নিয়ে নিয়েছে। বাকী ৩০ বিঘা জমিরও ভূমি অফিসের যোগ সাজেসে চেক কেটে নিয়েছে।

আমার ভাই হত্যার পর আদিবাসীরা অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করেছে বিচারের দাবীতে। হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

ট্যাগস

আদিবাসী নেতা আলফ্রেড সরেন হত্যার কুড়ি বছরে ও মিলেনি বিচার

আপডেট সময় ০৪:৫০:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অগাস্ট ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁঃ দিন, সপ্তাহ, মাস এভাবে বছরের পর বছর। এরপর দেড় যুগ পেরিয়ে আদিবাসী নেতা আলফ্রেড সরেন হত্যার বিচারের অপেক্ষায় কেটে গেলো ২০ বছর।

আজ (১৮ আগস্ট) বহুল আলোচিত নওগাঁর আদিবাসী নেতা আলফ্রেড সরেন এর ২০ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে। ২০ বছর আগে আদিবাসী-

নেতা আলফ্রেড সরেন ভূমি দস্যুদের হাতে নির্মম ভাবে নিহত হলেও এখনো ওই মামলার কোন সুরাহা হয়নি। ওই মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে আদিবাসীদের রয়েছে সংশয়।

তাদের অভিযোগ জামিনে থাকা আসামিরা তাদের অব্যাহত ভাবে হুমকী-ধমকি দেয়ায় ইতোমধ্যে অনেক আদিবাসী পরিবার নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর আদিবাসী পল্লী ত্যাগ করে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে অন্যত্র।

অভিযোগ আছে বর্তমানে যে ক’টি পরিবার এখনো বসবাস করছে তারা ভূমিদস্যুদের ভয়ে জমিতে চাষাবাদ করতেও পারছেনা। ফলে পরিবারগুলো চরম অভাব-

অনটন ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করছে। পল্লীর ছেড়ে মামলার সাক্ষীরা চলে যাওয়ায় মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান আলফ্রেড সরেন হত্যা মামলার বাদী আলফ্রেডের ছোট বোন রেবেকা সরেন।

নিহত আদিবাসী নেতা আলফ্রেড সরেনের ২০তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আজ (১৮ আগস্ট) বেলা ১১টায় ১ মিনিট নীরবতা, সমাধি প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও স্থানীয় কদমতলীর মোড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পাশাপাশি ভীমপুরে আলফ্রেড সরেনের সমাধিতে-

শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সিপিপি নওগাঁ জেলা সভাপতি মহাসিন রেজা, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের উপদেষ্টা এবং বাসদের জেলা সমন্বয়ক-

জয়নাল আবেদীন মুকুল, পঞ্চানন বর্মা-সকালই পাহান-সোনামণি সরেন সহরা ও রেবেকা সরেনের নেতৃত্বে জাতীয় আদিবাসী ইউনিয়ন, রবীন্দ্রনাথ সরেন এর নেতৃত্বে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ।

এছাড়াও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক মায়ের শাহরিয়ার রেজা, জেলা কমিটির সেক্রেটারি শামীম আহসানসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

সরজমিন নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর আদিবাসী পল্লীতে গিয়ে দেখা যায়, আলফ্রেড হত্যা মামলার জামিনে থাকা আসামিদের অব্যাহত হুমকী ধমকিতে ২৪টি পরিবারের মধ্যে বর্তমানে ৯টি পরিবার সেখানে বসবাস করছে।

বাকীরা প্রাণ বাঁচাতে অন্যত্র চলে গেছে। তবে অন্য স্থান থেকে এখানে এসে নতুন ৯ টি পরিবার বসবাস শুরু করেছে। নিহত আলফ্রেড সরেনের বৃদ্ধ বাবা গায়না সরেনও মারা গেছেন।

আলফ্রেড সরেনের স্ত্রী জোছনা সরেন এই পল্লীতে থাকেন না। আলফ্রেডের রেখে যাওয়া ৪ বছরে মেয়ে ঝর্ণা সরেন বড় হয়েছে। বিয়ে করে থাকছে ঢাকায়। চাকরি করছে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে।

আলফ্রেড সরেন হত্যাকাণ্ডের এক বছরের মাথায় তার মা ঠাকুরানী সরেন মৃত্যুবরণ করেন।

গত ১৮ আগস্ট ২০০০ সালের এইদিনে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর আদিবাসী পল্লীতে হাতেম-গদাই গংদের সন্ত্রাসীদের হামলায় আদিবাসী নেতা আলফ্রেড সরেন নৃশংসভাবে খুন হন।

ওই ঘটনায় সন্ত্রাসীরা ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে আদিবাসী পল্লীর ১১টি পরিবারের বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাটসহ অগ্নিসংযোগ করে। ওই সময় তাদের-

হামলায় আদিবাসী মহিলা-শিশুসহ প্রায় ৩০ জন মারাত্মক আহত হয়। ওই সন্ত্রাসী ঘটনার পর নিরাপত্তার জন্য সেখানে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয় । পরে তা গুটিয়ে নেয়া হয়।

এ মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এবং নওগাঁ জেলা সিপিবি’র সভাপতি এ্যাড. মহসীন রেজা জানান, আলফ্রেড সরেন হত্যার ঘটনায় তার বড় ভাই কমল সরেন ছোট বোন রেবেকা সরেন বাদী হয়ে হত্যা ও জননিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় পুলিশ ৯১জন আসামীর নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। এর মধ্যে পুলিশ কয়েক জন আসামীকে গ্রেফতার করে। ওই সময় নওগাঁ দায়রা-

জজ আদালতে মামলার সাক্ষী গ্রহণ শুরু হয় এবং ৪১জন সাক্ষীর মধ্যে সেই সময় ১৩ জনের সাক্ষী গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছিল। ৪ দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর জননিরাপত্তা আইন বাতিল করে।

ওই সময় পলাতক সীতেষ চন্দ্র ভট্টাচার্য ওরফে গদাই (প্রয়াত) ও হাতেম আলীসহ ৬০ জনের অধিক আসামী জননিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করলে জননিরাপত্তা আইনের সকল রিট হাইকোর্ট খারিজ করে দেয়।

এর ফলে আসামীরা জামিনে বেড়িয়ে আসে। এরপর বাদিগন অ্যাপিলেড ডিভিশনে মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে আলফ্রেড সরেন হত্যা মামলাটি অ্যাপিলেড-

ডিভিশন শুনানি অন্তে পূর্নাঙ্গ শুনানির জন্য হাইকোর্ট ডিভিশনে প্রেরণ করেছে। তিনি রিটগুলো দ্রুত শুনানি করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবী জানান।

জাতীয় আদিবাসী পরিষদের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন মুকুল বলেন, আদিবাসী নেতা আলফ্রেড সরেনকে হত্যার পর অগ্নিসংযোগ করে, নারী ও শিশুদের উপর নির্যাতন করে।

হত্যার পর জাতীয় আদিবাসী পরিষদের নেতৃত্বে জাতীয় নেতৃবৃন্দ নিয়ে ১৮/২০ হাজার লোকের সমন্বয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করে পরবর্তীতে সফল লড়াই করেছিলাম। তিনি বলেন, সারা দেশে আদিবাসীদের উপর নির্যাতন হচ্ছে।

সরকারের নিকট অবিলম্বে আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করন ও পৃথক স্বাধীন ভূমি কমিশন গঠনসহ হত্যাকারীদের-

দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান।নিহত আলফ্রেড সরেনের ছোট ভাই মহেশ্বর সরেন বলেন, আসামিরা এখনও আমাদেরকে হত্যার হুমকী দিচ্ছে।

৬৩ বিঘা জমির মধ্যে ৩৩ বিঘা জমি তারা জবরদখল করে নিয়ে নিয়েছে। বাকী ৩০ বিঘা জমিরও ভূমি অফিসের যোগ সাজেসে চেক কেটে নিয়েছে।

আমার ভাই হত্যার পর আদিবাসীরা অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করেছে বিচারের দাবীতে। হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।