ক্রীড়া ডেস্কঃ সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে। জাতীয় দলে আর সুযোগ না পেয়ে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে নিয়েছেন অবসরের সিদ্ধান্ত।
তার আগে একইবছরের আইপিএলের খেলেছেন সবশেষ স্বীকৃত ম্যাচ। দীর্ঘসময় পর ফের ক্রিকেটে ফেরার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অলরাউন্ডার যুবরাজ সিংয়ের।
পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (পিসিএ) সেক্রেটারি পুনিত বালি চাইছেন যুবরাজ যেন অবসর ভেঙে ফের পাঞ্জাবের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে মাঠে নামেন।
তবে এখনও পর্যন্ত এর বিপরীতে কিছু জানাননি যুবরাজ। পিসিএর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই চুক্তিবদ্ধ নন যুবরাজ। এছাড়া এখন ক্রিকেটে ফিরতে হলে তাকে নিতে হবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) অনুমতি।
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন প্রদেশের কাছে বেশ কিছু ক্রিকেটারকে হারিয়েছে পাঞ্জাব। তার মধ্যে রয়েছেন মানান বোহরা এবং বারিন্দার স্রান।
যারা দুই মৌসুম আগে চন্ডিগড়ের হয়ে খেলার অনুমতি পেয়েছেন। এছাড়া তারুয়ার কোহলি মেঘালয় এবং জীবনজিৎ সিং চলে গেছে ছত্তিশগড়ে।
তাই পুনিত বালি চাইছেন পাঞ্জাবের তরুণ দলকে গোছানোর জন্য যুবরাজের অভিজ্ঞতা অনেক কাজে দেবে। যদিও ভারতের ক্রিকেটে অবসর ভেঙে ফেরার প্রক্রিয়াটা এত সহজ নয়।
বিশেষ করে কানাডা এবং আবুধাবিতে বিদেশি লিগ খেলায় যুবরাজের ফেরার পথটা আরও কঠিন। তবু আশা ছাড়ছেন না পুনিত বালি।
গত মাসে শুভমান গিল, প্রভুসিমরান সিং, আনমোলপ্রিত সিং, অভিষেক শর্মা এবং হারপ্রিত ব্রারদেরকে চন্ডিগড়ের কাছেই মুল্লানপুর স্টেডিয়ামে অনুশীলন করিয়েছেন যুবরাজ।
এটি দেখেই আশাবাদী হচ্ছেন পুনিত। তার মতে তরুণদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছেটা রয়েছে যুবরাজের। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে পুনিত বলেছেন, ‘চন্ডিগড়ে থাকা অবস্থায় আমাদের তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়ে যুবরাজ অনুশীলন-
শুরু করেছিল। গত কয়েক মৌসুম ধরে আমরা বিভিন্ন প্রদেশের কাছে খেলোয়াড় হারাচ্ছি। তাই আমাদের মনে হচ্ছে যুবরাজের অভিজ্ঞতা ও সামর্থ্য আমাদের দলে তরুণদের উৎসাহিত করতে পারবে।’
যুবরাজের পাঞ্জাবের হয়ে তিন ফরম্যাটেই খেলার অনুরোধ করেছেন পুনিত, ‘আমি তাকে অনুরোধ করেছিলাম তিন ফরম্যাটে খেলার। তবে সে জানিয়েছে শুধুমাত্র রঙিন পোশাকে খেলতে পারবে।
আমার এতেও আপত্তি নেই। আমি তার কাছ থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শোনার অপেক্ষায় আছি। গত কয়েকদিনে ছেলেদের নিয়ে অনেক পরিশ্রম করছে সে।’