ঢাকা ০১:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :

বদলগাছীতে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি পেলেন ১৫ আদিবাসী

আধাপাকা ইটের বাড়ি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

স্টাফ রিপোর্টার ,নওগাঁঃ  নওগাঁর বদলগাছীতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে আধাপাকা ইটের বাড়ি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের হতদরিদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা (আদিবাসী) আধাপাকা ইটের বাড়ি পেয়ে আনন্দে অশ্রুসিক্ত বাড়িগুলো পাওয়া ছিল যেন তাদের আলাদিনের চেরাগের মতো।

করোনার এ দুর্যোগ মুহূর্তে বাড়ি পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞা এবং তার সুস্থতা কামনা করেছেন হতদরিদ্র এ সুবিধাভোগীরা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে উপজেলায় ১৫টি আধাপাকা বাড়ি নির্মাণ করা হয়।

প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে চৌচালা টিনের ছাউনির দুইটি ঘর। যার মোট দৈর্ঘ্য ২২ ফুট এবং প্রস্থ ১০ ফুটসহ মেঝে পাকাকরণ। প্রতিটি ঘরে রয়েছে একটি করে কাঠের দরজা ও দুইটি করে জানালা।

ঘরের সঙ্গে লাগানো রয়েছে বাড়ির একপাশে রান্নাঘর, টয়লেট, স্টোররুম এবং অপরপাশে একটি পাকা বারান্দা ও সিঁড়ি। যেখানে বরাদ্দ ধরা হয়েছে প্রায় ৩০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।

হতদরিদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর (আদিবাসী) আদি পেশা কৃষি। তারা অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।প্রধানমন্ত্রীর এ ব্যতিক্রম উদ্যোগ তাদের জন্য যেন আশার আলো জাগিয়েছে।

তাদের বাড়ি দেয়ার পাশাপাশি সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য দেয়া হচ্ছে শিক্ষা উপকরণ।আধাইপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের সুবিধাভোগী বিজয় পাহান ও তার স্ত্রী দেবী রাণী পাহান বলেন, পরিবারের সদস্য সংখ্যা ছয়জন।

বাপ-দাদারা বাঁশের বেড়া ও টিনের ছাউনির কুঁড়েঘরে বসবাস করে আসছিল। দীর্ঘ সময় থেকে এ কুঁড়েঘরে কষ্টকরে বসবাস করে আসছি। যেখানে ঝড়-বৃষ্টিতে ঘরে পানি পড়ত। প্রধানমন্ত্রীর উপহা

একই গ্রামের বির্বল পাহান বলেন, বাবার জীবন কেটেছে বেড়ার ঘরে। বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে আমারও জীবনের বেশির ভাগ সময় কেটেছে বেড়ার ঘরে।

আদিবাসীরা

আমাদের খেটে খাওয়া সংসার। কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি ইটের পাকা বাড়িতে ঘুমাতে পারবো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদৌলতে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এখন খেয়ে না খেয়ে ইটের বাড়িতে নিশ্চিন্তে সন্তানদের নিয়ে ঘুমাতে পারছি।

বালুভরা ইউনিয়নের হযরতপুর গ্রামের সাবানা ভূইয়া, নয়াগাঁও গ্রামের জগনু পাহান, মথুরাপুর ইউনিয়নের জাবারীপুর গ্রামের লালভানু মালো জানান একই কথা।

তাদের সবারই অভাবের সংসার। সন্তানদের নিয়ে কুঁড়েঘরে গাদাগাদি করে বসবাস করতে হতো। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ইটের বাড়িতে এখন বসবাস করছেন।

আর এ ঘর পেতে কাউকে এক পয়সাও দিতে হয়নি। ইউএনও স্যার নিজে তদারকি করে ঘরগুলো তৈরি করে নিয়েছেন।

এছাড়া সন্তানদের লেখাপড়া সুবিধার জন্য শিক্ষা উপকরণও দিয়েছেন। তবে যে পরিমাণ ঘর দেয়া হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। আরও যারা অসহায় আছে তাদেরও বাড়ি তৈরি করে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

বাড়িটি আমরা বিনামূল্যে পেয়েছি। গত একমাস থেকে সেই বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছি।বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী-

কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু তাহির বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছেন।

ইতিপূর্বে বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে সুবিধাভোগীদের বাছাই করা হয়েছে। এরপর প্ল্যান অনুযায়ী বাড়িগুলো তৈরি করে তাদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

এ প্রকল্পের আওতায় তাদের জন্য ঘর তৈরি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণসহ সার্বিক বিষয়ে উন্নয়নে ২০১৯-২০ অর্থবছরে উপজেলা থেকে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তারা বাড়িতে বসবাস শুরু করেছেন।

ট্যাগস

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

বদলগাছীতে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি পেলেন ১৫ আদিবাসী

আপডেট সময় ১২:৪০:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুলাই ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার ,নওগাঁঃ  নওগাঁর বদলগাছীতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে আধাপাকা ইটের বাড়ি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের হতদরিদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা (আদিবাসী) আধাপাকা ইটের বাড়ি পেয়ে আনন্দে অশ্রুসিক্ত বাড়িগুলো পাওয়া ছিল যেন তাদের আলাদিনের চেরাগের মতো।

করোনার এ দুর্যোগ মুহূর্তে বাড়ি পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞা এবং তার সুস্থতা কামনা করেছেন হতদরিদ্র এ সুবিধাভোগীরা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে উপজেলায় ১৫টি আধাপাকা বাড়ি নির্মাণ করা হয়।

প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে চৌচালা টিনের ছাউনির দুইটি ঘর। যার মোট দৈর্ঘ্য ২২ ফুট এবং প্রস্থ ১০ ফুটসহ মেঝে পাকাকরণ। প্রতিটি ঘরে রয়েছে একটি করে কাঠের দরজা ও দুইটি করে জানালা।

ঘরের সঙ্গে লাগানো রয়েছে বাড়ির একপাশে রান্নাঘর, টয়লেট, স্টোররুম এবং অপরপাশে একটি পাকা বারান্দা ও সিঁড়ি। যেখানে বরাদ্দ ধরা হয়েছে প্রায় ৩০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।

হতদরিদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর (আদিবাসী) আদি পেশা কৃষি। তারা অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।প্রধানমন্ত্রীর এ ব্যতিক্রম উদ্যোগ তাদের জন্য যেন আশার আলো জাগিয়েছে।

তাদের বাড়ি দেয়ার পাশাপাশি সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য দেয়া হচ্ছে শিক্ষা উপকরণ।আধাইপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের সুবিধাভোগী বিজয় পাহান ও তার স্ত্রী দেবী রাণী পাহান বলেন, পরিবারের সদস্য সংখ্যা ছয়জন।

বাপ-দাদারা বাঁশের বেড়া ও টিনের ছাউনির কুঁড়েঘরে বসবাস করে আসছিল। দীর্ঘ সময় থেকে এ কুঁড়েঘরে কষ্টকরে বসবাস করে আসছি। যেখানে ঝড়-বৃষ্টিতে ঘরে পানি পড়ত। প্রধানমন্ত্রীর উপহা

একই গ্রামের বির্বল পাহান বলেন, বাবার জীবন কেটেছে বেড়ার ঘরে। বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে আমারও জীবনের বেশির ভাগ সময় কেটেছে বেড়ার ঘরে।

আদিবাসীরা

আমাদের খেটে খাওয়া সংসার। কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি ইটের পাকা বাড়িতে ঘুমাতে পারবো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদৌলতে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এখন খেয়ে না খেয়ে ইটের বাড়িতে নিশ্চিন্তে সন্তানদের নিয়ে ঘুমাতে পারছি।

বালুভরা ইউনিয়নের হযরতপুর গ্রামের সাবানা ভূইয়া, নয়াগাঁও গ্রামের জগনু পাহান, মথুরাপুর ইউনিয়নের জাবারীপুর গ্রামের লালভানু মালো জানান একই কথা।

তাদের সবারই অভাবের সংসার। সন্তানদের নিয়ে কুঁড়েঘরে গাদাগাদি করে বসবাস করতে হতো। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ইটের বাড়িতে এখন বসবাস করছেন।

আর এ ঘর পেতে কাউকে এক পয়সাও দিতে হয়নি। ইউএনও স্যার নিজে তদারকি করে ঘরগুলো তৈরি করে নিয়েছেন।

এছাড়া সন্তানদের লেখাপড়া সুবিধার জন্য শিক্ষা উপকরণও দিয়েছেন। তবে যে পরিমাণ ঘর দেয়া হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। আরও যারা অসহায় আছে তাদেরও বাড়ি তৈরি করে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

বাড়িটি আমরা বিনামূল্যে পেয়েছি। গত একমাস থেকে সেই বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছি।বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী-

কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু তাহির বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছেন।

ইতিপূর্বে বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে সুবিধাভোগীদের বাছাই করা হয়েছে। এরপর প্ল্যান অনুযায়ী বাড়িগুলো তৈরি করে তাদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

এ প্রকল্পের আওতায় তাদের জন্য ঘর তৈরি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণসহ সার্বিক বিষয়ে উন্নয়নে ২০১৯-২০ অর্থবছরে উপজেলা থেকে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তারা বাড়িতে বসবাস শুরু করেছেন।