ঢাকা ১২:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :

নিখোঁজের একমাস পর না’গঞ্জ থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি

স্টাফ রিপোর্টারঃ   রাজধানীর পল্টন থেকে নিখোঁজের একমাস পর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে সুমন মিয়া (২৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সুমন মিয়া চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার আব্দুর রবের ছেলে। তিনি স্ত্রী ও এক মেয়েসহ পরিবার নিয়ে নয়া পল্টন ৮৮/৩ নম্বর বাসায় থাকতেন। বুধবার (১০ জুন) পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক  এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, একমাস আগে নিখোঁজ হয় সুমন মিয়া। এ ঘটনায় সুমনের পরিবার একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে।

তদন্তের একপর্যায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনানুযায়ী তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এছাড়া এ ঘটনার বিস্তারিত অনুসন্ধানে কাজ করছে পুলিশ।

নিহত সুমনের বড় ভাই সানাউল্লাহ জানান, বাসায় সুমন হাঁস ও কবুতর পুষতো। এ কবুতর ও হাঁস কিনতে গত ১১ মে বিকেলে নিজের মোটরসাইকেল নিয়ে সোনারগাঁও ফরিদাবাদ এলাকায় যায় সে।

এরআগে অনেকবার গিয়েছিলো। তবে ওই দিন যাওয়ার পর আর বাসায় ফেরেনি। তার ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পরিবার পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

তবুও কোথাও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না। সর্বশেষ পুলিশের সহায়তায় সুমনের কল লিস্ট থেকে দুইজনকে সন্দেহ করে মেয়ে দিয়ে ফাঁদ পেতে তাদের ধরা হয়।

এরপর পুলিশ তাদের দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে সুমনকে মেরে ফেলা হয়েছে। তার মরদেহ সোনারগাঁও ফরিদাবাদ এলাকার একটি পুকুরের কচুরি পানার নিচে রাখা হয়েছে।

এরপর মঙ্গলবার রাত আড়াইটায় পল্টন থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কচুরি পানার নিচ থেকে সুমনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ট্যাগস

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

নিখোঁজের একমাস পর না’গঞ্জ থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় ০৫:২৫:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুন ২০২০

স্টাফ রিপোর্টারঃ   রাজধানীর পল্টন থেকে নিখোঁজের একমাস পর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে সুমন মিয়া (২৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সুমন মিয়া চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার আব্দুর রবের ছেলে। তিনি স্ত্রী ও এক মেয়েসহ পরিবার নিয়ে নয়া পল্টন ৮৮/৩ নম্বর বাসায় থাকতেন। বুধবার (১০ জুন) পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক  এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, একমাস আগে নিখোঁজ হয় সুমন মিয়া। এ ঘটনায় সুমনের পরিবার একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে।

তদন্তের একপর্যায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনানুযায়ী তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এছাড়া এ ঘটনার বিস্তারিত অনুসন্ধানে কাজ করছে পুলিশ।

নিহত সুমনের বড় ভাই সানাউল্লাহ জানান, বাসায় সুমন হাঁস ও কবুতর পুষতো। এ কবুতর ও হাঁস কিনতে গত ১১ মে বিকেলে নিজের মোটরসাইকেল নিয়ে সোনারগাঁও ফরিদাবাদ এলাকায় যায় সে।

এরআগে অনেকবার গিয়েছিলো। তবে ওই দিন যাওয়ার পর আর বাসায় ফেরেনি। তার ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পরিবার পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

তবুও কোথাও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না। সর্বশেষ পুলিশের সহায়তায় সুমনের কল লিস্ট থেকে দুইজনকে সন্দেহ করে মেয়ে দিয়ে ফাঁদ পেতে তাদের ধরা হয়।

এরপর পুলিশ তাদের দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে সুমনকে মেরে ফেলা হয়েছে। তার মরদেহ সোনারগাঁও ফরিদাবাদ এলাকার একটি পুকুরের কচুরি পানার নিচে রাখা হয়েছে।

এরপর মঙ্গলবার রাত আড়াইটায় পল্টন থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কচুরি পানার নিচ থেকে সুমনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।