ঢাকা ০৫:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘শাপলা কলি’ প্রতীক নিতে সম্মত এনসিপি

অবশেষে নির্বাচন কমিশনের নতুন সংযুক্ত প্রতীক ‘শাপলা কলি’ নিতে সম্মত হয়েছে তরুণদের নেতৃত্বাধীন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এই কথা জানিয়েছেন।

পাটওয়ারী জানান, তারা প্রতীক হিসেবে শাপলা কলি নেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের সঙ্গে শাপলা কলির প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সিইসির সঙ্গে বৈঠক করতে নির্বাচন ভবনে আসেন। সঙ্গে ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক খালে খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা। বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।

গত বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) প্রতীকের তালিকা সংশোধন করে ‘শাপলা কলি’ যুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করে ইসি। জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল এনসিপির প্রতীক ইস্যুতে কিছুটা ছাড় দিয়ে বিকল্প হিসেবে ‘শাপলা কলি’ তালিকায় যুক্ত করে ইসি।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে এনসিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা শাপলা কলি নেবে না, তারা শাপলাই চায়। এমনকি ‘শাপলা কলি’ দিয়ে ইসি এনসিপি যে ‘বাচ্চাদের দল’ সেটা বোঝানোর চেষ্টা করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন দলটির কোনো কোনো নেতা।

প্রতীক ইস্যুতে সেদিন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছিলেন, ‘আমরা বরাবরই বলে আসছি, এনসিপি শাপলা চায়। এনসিপি শাপলা নিয়ে নির্বাচন করবে। শাপলার প্রশ্নে আমরা আপসহীন-শাপলা নিয়ে আমরা একবিন্দু ছাড় দিতে চাই না।’

২৩ সেপ্টেম্বর কমিশন নির্বাচনি প্রতীকের সংখ্যা ৬৯ থেকে বাড়িয়ে ১১৫ করে, তবে শাপলা বাদ রাখে। এর মধ্যে ৫১টি নিবন্ধিত দলকে দেওয়া হয়, বাকিগুলো স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ভবিষ্যৎ ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত থাকে।

এর মধ্যে ইসির সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেন দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ইসি এনসিপিকে চিঠি দিয়ে জানায়, অনুমোদিত প্রতীকের তালিকা থেকে একটি প্রতীক বেছে নিয়ে ৭ অক্টোবরের মধ্যে জমা দিতে হবে।

তবে শাপলাতে অনড় থাকে এনসিপি। বাধ্য হয়ে ফের প্রতীক পছন্দ করতে ইসির পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয় তরুণদের গড়া এই দলকে, যেখানে প্রতীক পছন্দের জন্য সময় দেওয়া হয়েছিল ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত। ওই চিঠির জবাবে এনসিপি ইসির কাছে লিখিতভাবে জানতে চায়, কোন মানদণ্ডে প্রতীক তালিকায় রাখা হয় বা বাদ দেওয়া হয়।

‘শাপলা কলি’ প্রতীক নিতে সম্মত এনসিপি

আপডেট সময় ০৫:০৭:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫

অবশেষে নির্বাচন কমিশনের নতুন সংযুক্ত প্রতীক ‘শাপলা কলি’ নিতে সম্মত হয়েছে তরুণদের নেতৃত্বাধীন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এই কথা জানিয়েছেন।

পাটওয়ারী জানান, তারা প্রতীক হিসেবে শাপলা কলি নেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের সঙ্গে শাপলা কলির প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সিইসির সঙ্গে বৈঠক করতে নির্বাচন ভবনে আসেন। সঙ্গে ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক খালে খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা। বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।

গত বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) প্রতীকের তালিকা সংশোধন করে ‘শাপলা কলি’ যুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করে ইসি। জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল এনসিপির প্রতীক ইস্যুতে কিছুটা ছাড় দিয়ে বিকল্প হিসেবে ‘শাপলা কলি’ তালিকায় যুক্ত করে ইসি।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে এনসিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা শাপলা কলি নেবে না, তারা শাপলাই চায়। এমনকি ‘শাপলা কলি’ দিয়ে ইসি এনসিপি যে ‘বাচ্চাদের দল’ সেটা বোঝানোর চেষ্টা করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন দলটির কোনো কোনো নেতা।

প্রতীক ইস্যুতে সেদিন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছিলেন, ‘আমরা বরাবরই বলে আসছি, এনসিপি শাপলা চায়। এনসিপি শাপলা নিয়ে নির্বাচন করবে। শাপলার প্রশ্নে আমরা আপসহীন-শাপলা নিয়ে আমরা একবিন্দু ছাড় দিতে চাই না।’

২৩ সেপ্টেম্বর কমিশন নির্বাচনি প্রতীকের সংখ্যা ৬৯ থেকে বাড়িয়ে ১১৫ করে, তবে শাপলা বাদ রাখে। এর মধ্যে ৫১টি নিবন্ধিত দলকে দেওয়া হয়, বাকিগুলো স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ভবিষ্যৎ ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত থাকে।

এর মধ্যে ইসির সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেন দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ইসি এনসিপিকে চিঠি দিয়ে জানায়, অনুমোদিত প্রতীকের তালিকা থেকে একটি প্রতীক বেছে নিয়ে ৭ অক্টোবরের মধ্যে জমা দিতে হবে।

তবে শাপলাতে অনড় থাকে এনসিপি। বাধ্য হয়ে ফের প্রতীক পছন্দ করতে ইসির পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয় তরুণদের গড়া এই দলকে, যেখানে প্রতীক পছন্দের জন্য সময় দেওয়া হয়েছিল ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত। ওই চিঠির জবাবে এনসিপি ইসির কাছে লিখিতভাবে জানতে চায়, কোন মানদণ্ডে প্রতীক তালিকায় রাখা হয় বা বাদ দেওয়া হয়।


Notice: ob_end_flush(): Failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471