ঢাকা ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৪০ টির বেশি রিসোর্ট পুড়ে গেছে

সাজেক এখন ধ্বংস্তুপ

সোমাবার দুপুরে ভয়াবহ আগুনে প্রায় ১৪০টি রিসোর্ট, দোকান ও বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায় সোমবার দুপুরে পৌনে একটায় আগুনের সূত্রপাত ঘটে।এতে মুহূর্তেই আগুন আশপাশের রিসোর্টে ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টার পর স্থানীয় লোকজন, ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনীর সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আগুনে মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় ব্যবসায়ীর সূত্রে জানা যায়, দুপুর পৌনে একটায় একটি রিসোর্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। সাজেকের অধিকাংশ রিসোর্ট কাঠ ও বাঁশের তৈরি হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
সতরঞ্জি রিসোর্টের মালিক  নাইমুল ইসলাম জানান, ফেব্রুয়ারির  ২৮ তারিখ রিসোর্ট উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু আজকের আগুনের সব স্বপ্ন শেষে হয়ে গেছে। এতে আমার প্ প্রায় ৬০ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

মেঘেরর ঘর রিসোর্টের মালিক জয়নাল আবেদীন জানান, আমার সব কিছুই শেষ হয়েছে গেছে। দুপুরে দেখলাম অবকাশ রিসোর্টের কিছু দুরে আগুন। সেই আগুন  ছড়িয়ে পড়ে এবং দুটি রিসোর্ট ও একটি স্টেুরেন্ট মুহুত্বে পুড়ে যায়। পরে জ্বলতে থাকে একের পর এক রিসোর্ট। আমরা একবারে নিস্ব হয়ে গেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার জানান, সাজেক ভ্যালিতে দমকলের কোনও স্টেশন না থাকায় এবং পানির অভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগেছে। তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে খবর পাওয়ার পর নিকটবর্তী দমকল স্টেশন খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলা থেকে একটি ইউনিট রওনা দেয়। পাহাড়ি পথে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট পৌঁছতে সময় লাগে প্রায় দুই ঘণ্টা। এরপর আগুন নেভানোর কাজ শুরু করলেও  পানি না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়েছে। পরে  খাগড়াছড়ি সদর থেকে আরো দুইটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়।

রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ রুহুল আমিন জানান, ঘটনা স্থলে উপজেলা নির্বহী অফিসার আছেন। আগুন কিভাবে লেগেছে সেটি এখনো জানা যায় নি, এই বিষয়ে তদন্ত টিম কাজ করছে। এখনো ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের কাজ চলছে। শেষ হলে বিস্তারিত জানানো যাবে। কমিটির রিপোর্ট মন্ত্রনালযে পাঠানো হবে। সেখান থেকে যে নির্দশনা আসবে সেভাবে কাজ করা হবে।
রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ বলেন, সবমিলে ১৪০টি রিসোর্ট, দোকান ও বসতঘর পুড়ে গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে পানি ছিটানোর আলোচনা হলেও সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় সেটা আপাতত হচ্ছে না। এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের কাজ চলছে।

ট্যাগস

৪০ টির বেশি রিসোর্ট পুড়ে গেছে

সাজেক এখন ধ্বংস্তুপ

আপডেট সময় ০৮:২৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সোমাবার দুপুরে ভয়াবহ আগুনে প্রায় ১৪০টি রিসোর্ট, দোকান ও বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায় সোমবার দুপুরে পৌনে একটায় আগুনের সূত্রপাত ঘটে।এতে মুহূর্তেই আগুন আশপাশের রিসোর্টে ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টার পর স্থানীয় লোকজন, ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনীর সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আগুনে মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় ব্যবসায়ীর সূত্রে জানা যায়, দুপুর পৌনে একটায় একটি রিসোর্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। সাজেকের অধিকাংশ রিসোর্ট কাঠ ও বাঁশের তৈরি হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
সতরঞ্জি রিসোর্টের মালিক  নাইমুল ইসলাম জানান, ফেব্রুয়ারির  ২৮ তারিখ রিসোর্ট উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু আজকের আগুনের সব স্বপ্ন শেষে হয়ে গেছে। এতে আমার প্ প্রায় ৬০ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

মেঘেরর ঘর রিসোর্টের মালিক জয়নাল আবেদীন জানান, আমার সব কিছুই শেষ হয়েছে গেছে। দুপুরে দেখলাম অবকাশ রিসোর্টের কিছু দুরে আগুন। সেই আগুন  ছড়িয়ে পড়ে এবং দুটি রিসোর্ট ও একটি স্টেুরেন্ট মুহুত্বে পুড়ে যায়। পরে জ্বলতে থাকে একের পর এক রিসোর্ট। আমরা একবারে নিস্ব হয়ে গেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার জানান, সাজেক ভ্যালিতে দমকলের কোনও স্টেশন না থাকায় এবং পানির অভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগেছে। তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে খবর পাওয়ার পর নিকটবর্তী দমকল স্টেশন খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলা থেকে একটি ইউনিট রওনা দেয়। পাহাড়ি পথে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট পৌঁছতে সময় লাগে প্রায় দুই ঘণ্টা। এরপর আগুন নেভানোর কাজ শুরু করলেও  পানি না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়েছে। পরে  খাগড়াছড়ি সদর থেকে আরো দুইটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়।

রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ রুহুল আমিন জানান, ঘটনা স্থলে উপজেলা নির্বহী অফিসার আছেন। আগুন কিভাবে লেগেছে সেটি এখনো জানা যায় নি, এই বিষয়ে তদন্ত টিম কাজ করছে। এখনো ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের কাজ চলছে। শেষ হলে বিস্তারিত জানানো যাবে। কমিটির রিপোর্ট মন্ত্রনালযে পাঠানো হবে। সেখান থেকে যে নির্দশনা আসবে সেভাবে কাজ করা হবে।
রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ বলেন, সবমিলে ১৪০টি রিসোর্ট, দোকান ও বসতঘর পুড়ে গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে পানি ছিটানোর আলোচনা হলেও সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় সেটা আপাতত হচ্ছে না। এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের কাজ চলছে।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471