ঢাকা ০৬:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে যা পেয়েছি তার তুলনা হয় না: হামজা চৌধুরী

  • ক্রীড়া ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১১:৪৮:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
  • ৫৮৮ Time View

বাংলাদেশ দলের হয়ে প্রথম খেলতে এসে হামজা চৌধুরী দেখেছিলেন জনস্রোত। শুধু জনস্রোত বললে ভুল হবে, ভক্ত-সমর্থকদের সঙ্গে ভালোবাসার স্রোত তো ছিলই। বাংলাদেশের মানুষদের এমন বাঁধহীন ভালোবাসা মুগ্ধ করেছে হামজাকে। তাঁর ক্লাব লেস্টার সিটিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই মিডফিল্ডার জানিয়েছেন, হৃদয়ের অনেকটা অংশ বাংলাদেশেই।

হামজাকে শিকড় যেন এখনো টানছে হৃদয়ের গভীর থেকে। বাংলাদেশ সফরের স্মৃতিচারণ করে হামজা বলেন, আমরা প্রথম যখন সেখানে যাই, তখন আমি আমার গ্রামে ফিরে যাই একেবারে গ্রামীণ একটা জায়গা ছিল সেটা। আমি বড় হওয়া পর্যন্ত আমার শৈশবের বড় একটা অংশ ছিল এই গ্রামেই।

বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা ও গ্রহণযোগ্যতায় হামজা কতটা আপ্লুত হয়েছিলেন, সেটা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন বলে জানান এই মিডফিল্ডার। বললেন, (বাংলাদেশে অভ্যর্থনা) ভাষায় প্রকাশ করার নয়। ছেলেরা এটা নিয়ে অনেক কথা বলে, এটা পরাবাস্তব। আমার মনে হয় না, এই মাত্রার ভালোবাসা কখনো স্বাভাবিক মনে হবে।

যুক্তরাজ্যে খেলে থাকলেও ভালোবাসার এমন উষ্ণতা সেখানে খুব একটা পাওয়া যায় না বলেই মনে করেন হামজা। বাংলাদেশে পাওয়া ভালোবাসার সঙ্গে তুলনা করতে চান না অন্য কোনো কিছুর, ফুটবলার হিসেবে আমরা যুক্তরাজ্যে অনেকটাই মনোযোগ পাই, কিন্তু ওখানে (বাংলাদেশে) যেটা পেয়েছি, তার সঙ্গে এর কোনো তুলনা হয় না। এটা অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা।

কেউ কেউ এই অভিজ্ঞতাকে ভয়ংকর বা অতিরিক্ত বললেও হামজার কাছে এটা হৃদয়ের কাছের ব্যাপার, মানুষ বলতে পারে এটা ভীতিকর বা বাড়াবাড়ি, কিন্তু সত্যি বলতে, এটা আমার হৃদয়ের অনেকটা জায়গা নিয়েছে। তারা সবাই শুধু ইতিবাচক এবং আমাকে ভালোবাসা দেখাতে সেখানে আছে, তাই এটা খুবই ভালো অনুভূতি।

ট্যাগস

বাংলাদেশে যা পেয়েছি তার তুলনা হয় না: হামজা চৌধুরী

আপডেট সময় ১১:৪৮:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশ দলের হয়ে প্রথম খেলতে এসে হামজা চৌধুরী দেখেছিলেন জনস্রোত। শুধু জনস্রোত বললে ভুল হবে, ভক্ত-সমর্থকদের সঙ্গে ভালোবাসার স্রোত তো ছিলই। বাংলাদেশের মানুষদের এমন বাঁধহীন ভালোবাসা মুগ্ধ করেছে হামজাকে। তাঁর ক্লাব লেস্টার সিটিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই মিডফিল্ডার জানিয়েছেন, হৃদয়ের অনেকটা অংশ বাংলাদেশেই।

হামজাকে শিকড় যেন এখনো টানছে হৃদয়ের গভীর থেকে। বাংলাদেশ সফরের স্মৃতিচারণ করে হামজা বলেন, আমরা প্রথম যখন সেখানে যাই, তখন আমি আমার গ্রামে ফিরে যাই একেবারে গ্রামীণ একটা জায়গা ছিল সেটা। আমি বড় হওয়া পর্যন্ত আমার শৈশবের বড় একটা অংশ ছিল এই গ্রামেই।

বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা ও গ্রহণযোগ্যতায় হামজা কতটা আপ্লুত হয়েছিলেন, সেটা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন বলে জানান এই মিডফিল্ডার। বললেন, (বাংলাদেশে অভ্যর্থনা) ভাষায় প্রকাশ করার নয়। ছেলেরা এটা নিয়ে অনেক কথা বলে, এটা পরাবাস্তব। আমার মনে হয় না, এই মাত্রার ভালোবাসা কখনো স্বাভাবিক মনে হবে।

যুক্তরাজ্যে খেলে থাকলেও ভালোবাসার এমন উষ্ণতা সেখানে খুব একটা পাওয়া যায় না বলেই মনে করেন হামজা। বাংলাদেশে পাওয়া ভালোবাসার সঙ্গে তুলনা করতে চান না অন্য কোনো কিছুর, ফুটবলার হিসেবে আমরা যুক্তরাজ্যে অনেকটাই মনোযোগ পাই, কিন্তু ওখানে (বাংলাদেশে) যেটা পেয়েছি, তার সঙ্গে এর কোনো তুলনা হয় না। এটা অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা।

কেউ কেউ এই অভিজ্ঞতাকে ভয়ংকর বা অতিরিক্ত বললেও হামজার কাছে এটা হৃদয়ের কাছের ব্যাপার, মানুষ বলতে পারে এটা ভীতিকর বা বাড়াবাড়ি, কিন্তু সত্যি বলতে, এটা আমার হৃদয়ের অনেকটা জায়গা নিয়েছে। তারা সবাই শুধু ইতিবাচক এবং আমাকে ভালোবাসা দেখাতে সেখানে আছে, তাই এটা খুবই ভালো অনুভূতি।