পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা যাচ্ছেন না। তিনি চলে যাবেন বলেননি। তিনি অবশ্যই থাকছেন। আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব বড় দায়িত্ব, এই দায়িত্ব ছেড়ে আমরা যেতে পারবো না।’
শনিবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে এনইসি সম্মেলনকক্ষে উপদেষ্টা পরিষদের এই বৈঠক শুরু হয়। বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে বৈঠক শেষ হয়।
এর আগে এনইসি সম্মেলনকক্ষে বেলা ১১টায় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শুরু হয়। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে একনেক সভা শেষ হয়। সভা শেষ হওয়ার পরই এই অনির্ধারিত বৈঠক শুরু হয়। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে বৈঠকে ১৯ জন উপদেষ্টা অংশ নেন।
জরুরি কাজ থাকায় বেলা দুইটার একটু পরে বৈঠক থেকে বের হয়ে আসেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি জানান, বৈঠকে নির্বাচন, সংস্কার এবং জুলাই ঘোষণা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করা হবে। এ সময় তিনি প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের বিষয়ে কিছু বলেননি।
এর কিছু পরে পররাষ্ট উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়াকে বের হতে দেখা যায়।
সভাসূত্রে জানা যায়, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপদেষ্টাদের বাইরে আর কাউকে রাখা হয়নি। একনেক বৈঠক শেষে একে একে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, পরিকল্পনাসচিবসহ সব সরকারি কর্মকর্তাকে এনইসি কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে দেখা গেছে। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় উপদেষ্টা পরিষদের এই বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হচ্ছে।
আজ বিকেলে বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার।