ঢাকা ০৬:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে গৃহ হস্তান্তর করলেন প্রধান উপদেষ্টা

গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে বিশেষ আবাসন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ঘর হস্তান্তর করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার সকালে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

২০২৪ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলায় ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ৩০০টি পরিবারকে পূর্ণবাসনের লক্ষ্যে ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার।

উপকারভোগী পরিবারগুলো বাছাই করা হয় দুঃস্থতা, ঘর ক্ষতির ধরন, পেশা ও আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় নিয়ে। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি এবং সশস্ত্র বাহিনী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে তালিকা প্রণয়ন করা হয়।

ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়— ফেনীতে ১১০টি, নোয়াখালীতে ৯০টি, কুমিল্লায় ৭০টি ও চট্টগ্রামে ৩০টি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এবং সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তায় দুটি ডিজাইনের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। প্রথমটি ৪৯২ বর্গফুট, ব্যয় ৭,২৫,৬৯৪ টাকা; দ্বিতীয়টি ৫০০ বর্গফুট, ব্যয় ৭,২৬,৬৭৮ টাকা।

ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সুচারুভাবে এই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে।

গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রফেসর ইউনূস বলেন, “যারা বাড়ি পেয়েছেন, তাদের অভিনন্দন। দেশের মানুষের এই সহমর্মিতা সবসময় মনে রাখবেন।” তিনি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ভবিষ্যতেও এ ধরনের দায়িত্ব পেলে সেনাবাহিনী তা দক্ষতার সঙ্গে পালন করবে। তিনি জানান, ৩০০টির মধ্যে ২৯৮টি ঘর ইতোমধ্যে নির্মিত হয়েছে। ভূমি জটিলতায় দুটি ঘর নির্মাণ অসম্পূর্ণ রয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান। উপকারভোগীদের পক্ষ থেকে চারজন পরিবার ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুভূতি প্রকাশ করেন।

 

ট্যাগস

সর্বাধিক পঠিত

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে গৃহ হস্তান্তর করলেন প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০২:১৩:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে বিশেষ আবাসন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ঘর হস্তান্তর করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার সকালে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

২০২৪ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলায় ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ৩০০টি পরিবারকে পূর্ণবাসনের লক্ষ্যে ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার।

উপকারভোগী পরিবারগুলো বাছাই করা হয় দুঃস্থতা, ঘর ক্ষতির ধরন, পেশা ও আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় নিয়ে। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি এবং সশস্ত্র বাহিনী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে তালিকা প্রণয়ন করা হয়।

ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়— ফেনীতে ১১০টি, নোয়াখালীতে ৯০টি, কুমিল্লায় ৭০টি ও চট্টগ্রামে ৩০টি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এবং সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তায় দুটি ডিজাইনের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। প্রথমটি ৪৯২ বর্গফুট, ব্যয় ৭,২৫,৬৯৪ টাকা; দ্বিতীয়টি ৫০০ বর্গফুট, ব্যয় ৭,২৬,৬৭৮ টাকা।

ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সুচারুভাবে এই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে।

গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রফেসর ইউনূস বলেন, “যারা বাড়ি পেয়েছেন, তাদের অভিনন্দন। দেশের মানুষের এই সহমর্মিতা সবসময় মনে রাখবেন।” তিনি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ভবিষ্যতেও এ ধরনের দায়িত্ব পেলে সেনাবাহিনী তা দক্ষতার সঙ্গে পালন করবে। তিনি জানান, ৩০০টির মধ্যে ২৯৮টি ঘর ইতোমধ্যে নির্মিত হয়েছে। ভূমি জটিলতায় দুটি ঘর নির্মাণ অসম্পূর্ণ রয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান। উপকারভোগীদের পক্ষ থেকে চারজন পরিবার ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুভূতি প্রকাশ করেন।