নববর্ষকে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐক্যের বড় উপলক্ষ্য উল্লেখ করে এসময় উপদেষ্টা বলেন, ‘এবার থেকে আমরা এ উৎসবকে জাতীয়ভাবে পালন করা শুরু করলাম। আমি মনে করি এটা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐক্য এবং সম্মিলনের একটি বড় ধাপ। কারণ এরপর থেকে বাংলাদেশ এভাবেই চলবে।
তিনি বলেন, ‘এর আগের বছরগুলোতে এই শোভাযাত্রাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক গোষ্ঠী তাদের প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার কাজে ব্যবহার করেছে। এবার আমরা শুধু ফ্যাসিস্টটের মুখাবয়ব ব্যবহার করেছিল। কারণ ফ্যাসিস্ট কোনো রাজনীতির অংশ নয়, ফ্যাসিবাদ সবচেয়ে বড় অশুভ শক্তি। এটা ছাড়া এখানে আর কোথাও রাজনীতির কিছু পাবেন না।’
‘তবে হ্যাঁ, রাজনীতি কি আছে—বাংলাদেশের রাজনীতি। অর্থাৎ বাংলাদেশের সব জনগোষ্ঠীকে দেখবেন। বাংলাদেশের সব ঐতিহ্যকে দেখবেন, মানে সেই আকবর আমলের ঐতিহ্য, সুলতানি আমলের ঐতিহ্য ও এর পরের ঐতিহ্য। সবকিছুর মিশ্রণ এখানে দেখতে পাবেন। ফলে কোনো টিপিক্যাল, সংকীর্ণ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এখানে নেই,’ বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আজ থেকে ২০-৩০ বছর পর হয়তো আমরা এই পৃথিবীতে থাকব না। কিন্তু আজকের বছরটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে, কারণ এরপর থেকে বাংলাদেশে এভাবেই চলবে।’