ঢাকা ১১:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মারা গেছেন পেরুর নোবেলজয়ী ঔপন্যাসিক মারিও বার্গাস ইয়োসা

পেরুর নোবেলজয়ী সাহিত্যিক মারিও বার্গাস ইয়োসা (৮৯) মারা গেছেন। তিনি মূলত স্প্যানিশ ভাষায় লিখতেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ৮৯ বছর বয়সে লিমায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায়।

খবরে বলা হয়, রবিবার এক পারিবারিক বিবৃতিতে তার ছেলে আলভারো ভার্গাস ইয়োসা বলেন, “গভীর শোক ও ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমরা জানাচ্ছি যে, আমাদের বাবা মারিও ভার্গাস ইয়োসা আজ লিমায় আমাদের মাঝ থেকে চিরবিদায় নিয়েছেন।”

মারিও বার্গাস ইয়োসার তিন সন্তান জানিয়েছেন, পারিবারিকভাবেই তারা বাবার শেষকৃত্য সারবেন, কোনো নাগরিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে না।

বিশ্বসাহিত্যের এই উজ্জ্বল নক্ষত্র রাজনৈতিক দমননীতি, স্বৈরতন্ত্রের ভয়াবহতা এবং ব্যক্তি স্বাধীনতার সংগ্রামকে নিজের সাহিত্যকর্মে তুলে ধরেছেন নিপুণভাবে। একসময় তিনি নিজ দেশ পেরুর প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন—সাহসী এক পদক্ষেপ, যা তার বিশ্বাস ও দায়বোধেরই প্রতিফলন।

‘আন্ট জুলিয়া অ্যান্ড দ্য স্ক্রিপ্টরাইটার’, ‘ডেথ ইন দ্য আন্দিজ’ এবং ‘দ্য ওয়ার অব দ্য এন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ এর মত সাহিত্যকর্মের স্রষ্টা বার্গাস ইয়োসাকে বিবেচনা করা হয় ২০ শতকের লাতিন আমেরিকান সাহিত্য আন্দোলনের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে।

ট্যাগস

মারা গেছেন পেরুর নোবেলজয়ী ঔপন্যাসিক মারিও বার্গাস ইয়োসা

আপডেট সময় ১২:৫৫:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

পেরুর নোবেলজয়ী সাহিত্যিক মারিও বার্গাস ইয়োসা (৮৯) মারা গেছেন। তিনি মূলত স্প্যানিশ ভাষায় লিখতেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ৮৯ বছর বয়সে লিমায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায়।

খবরে বলা হয়, রবিবার এক পারিবারিক বিবৃতিতে তার ছেলে আলভারো ভার্গাস ইয়োসা বলেন, “গভীর শোক ও ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমরা জানাচ্ছি যে, আমাদের বাবা মারিও ভার্গাস ইয়োসা আজ লিমায় আমাদের মাঝ থেকে চিরবিদায় নিয়েছেন।”

মারিও বার্গাস ইয়োসার তিন সন্তান জানিয়েছেন, পারিবারিকভাবেই তারা বাবার শেষকৃত্য সারবেন, কোনো নাগরিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে না।

বিশ্বসাহিত্যের এই উজ্জ্বল নক্ষত্র রাজনৈতিক দমননীতি, স্বৈরতন্ত্রের ভয়াবহতা এবং ব্যক্তি স্বাধীনতার সংগ্রামকে নিজের সাহিত্যকর্মে তুলে ধরেছেন নিপুণভাবে। একসময় তিনি নিজ দেশ পেরুর প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন—সাহসী এক পদক্ষেপ, যা তার বিশ্বাস ও দায়বোধেরই প্রতিফলন।

‘আন্ট জুলিয়া অ্যান্ড দ্য স্ক্রিপ্টরাইটার’, ‘ডেথ ইন দ্য আন্দিজ’ এবং ‘দ্য ওয়ার অব দ্য এন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ এর মত সাহিত্যকর্মের স্রষ্টা বার্গাস ইয়োসাকে বিবেচনা করা হয় ২০ শতকের লাতিন আমেরিকান সাহিত্য আন্দোলনের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে।