ঢাকা ০২:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ মার্চ ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজিবি মহাপরিচালক

ভারতীয়রা সীমান্ত আইন না মানলে আরও কঠোর হবে বিজিবি

সীমান্ত হত্যা কোনোভাবে কাম্য নয় উল্লেখ করে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, ভারতীয় অনুপ্রবেশ যারা করেন তাদের সুন্দরভাবে নিয়মের মধ্যে গ্রেফতার করে হস্তান্তর করি আমরা, সেটা কতটুকু আর করা যাবে?

শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের প্রশিক্ষণ মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উখিয়া ব্যাটালিয়নসহ (৬৪ বিজিবি) চারটি ইউনিট উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

সম্প্রতি ভারতের নয়াদিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে সীমান্ত হত্যা নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে- জানতে চাইলে বিজিবি প্রধান বলেন, সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনার বিষয়টি প্রাধান্য এক নম্বরে ছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহত হয়েছে। সেই ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা থেকে এখন পর্যন্ত বিএসএফ সদরদপ্তর থেকে শুরু করে সবখানে বিজিবির পক্ষ থেকে অত্যন্ত জোরালো প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলনের পরে এই ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি, যেন অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে কেউ অনুপ্রবেশের চেষ্টা না করে। তবে আমরা জোরালো শক্ত ও কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানানোর পরে কিছু ছবি পেয়েছি। সেখানে সংঘবদ্ধ ১৫-২০ জন অবৈধভাবে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করছিল। তখন বিএসএফ বাধা দেওয়ার পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত হয়।

বিজিবি মহাপরিচালক আরও বলেন, সেই সংঘাতে বিএসএফ রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে ওই যুবকের পেটে লাগে। দুর্বল জায়গায় রাবার বুলেটেও কেউ মারা যেতে পারে। বাংলাদেশি যুবককে আহত অবস্থায় তারা (বিএসএফ) হাসপাতালে নিয়ে অপারেশন করিয়েছিল; তারপরেও তাকে বাঁচানো যায়নি।

মহাপরিচালক আরও বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশ হোক আর যাইহোক; হত্যা কোনো চূড়ান্ত সমাধান হতে পারে না। আরও যদি একটি (হত্যা) করা হয় আমরা পরবর্তীতে আরও কঠোর অবস্থানে যাবো।আমরা চেষ্টা করছি, ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে কেউ অনুপ্রবেশের চেষ্টা না করে।

মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে কোনো শঙ্কা আছে কি-না জানতে চাইলে বিজিবি ডিজি বলেন, কেউ যদি মিয়ানমার সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ না করে, (মাদক ছাড়া) তার নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি নেই। নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকলে আমরা (বিজিবি) তৈরি আছি।

ট্যাগস

বিজিবি মহাপরিচালক

ভারতীয়রা সীমান্ত আইন না মানলে আরও কঠোর হবে বিজিবি

আপডেট সময় ০২:১৪:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

সীমান্ত হত্যা কোনোভাবে কাম্য নয় উল্লেখ করে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, ভারতীয় অনুপ্রবেশ যারা করেন তাদের সুন্দরভাবে নিয়মের মধ্যে গ্রেফতার করে হস্তান্তর করি আমরা, সেটা কতটুকু আর করা যাবে?

শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের প্রশিক্ষণ মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উখিয়া ব্যাটালিয়নসহ (৬৪ বিজিবি) চারটি ইউনিট উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

সম্প্রতি ভারতের নয়াদিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে সীমান্ত হত্যা নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে- জানতে চাইলে বিজিবি প্রধান বলেন, সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনার বিষয়টি প্রাধান্য এক নম্বরে ছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহত হয়েছে। সেই ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা থেকে এখন পর্যন্ত বিএসএফ সদরদপ্তর থেকে শুরু করে সবখানে বিজিবির পক্ষ থেকে অত্যন্ত জোরালো প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলনের পরে এই ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি, যেন অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে কেউ অনুপ্রবেশের চেষ্টা না করে। তবে আমরা জোরালো শক্ত ও কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানানোর পরে কিছু ছবি পেয়েছি। সেখানে সংঘবদ্ধ ১৫-২০ জন অবৈধভাবে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করছিল। তখন বিএসএফ বাধা দেওয়ার পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত হয়।

বিজিবি মহাপরিচালক আরও বলেন, সেই সংঘাতে বিএসএফ রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে ওই যুবকের পেটে লাগে। দুর্বল জায়গায় রাবার বুলেটেও কেউ মারা যেতে পারে। বাংলাদেশি যুবককে আহত অবস্থায় তারা (বিএসএফ) হাসপাতালে নিয়ে অপারেশন করিয়েছিল; তারপরেও তাকে বাঁচানো যায়নি।

মহাপরিচালক আরও বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশ হোক আর যাইহোক; হত্যা কোনো চূড়ান্ত সমাধান হতে পারে না। আরও যদি একটি (হত্যা) করা হয় আমরা পরবর্তীতে আরও কঠোর অবস্থানে যাবো।আমরা চেষ্টা করছি, ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে কেউ অনুপ্রবেশের চেষ্টা না করে।

মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে কোনো শঙ্কা আছে কি-না জানতে চাইলে বিজিবি ডিজি বলেন, কেউ যদি মিয়ানমার সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ না করে, (মাদক ছাড়া) তার নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি নেই। নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকলে আমরা (বিজিবি) তৈরি আছি।